পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৮৪৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

tä . - ম্বন্ধ ভিন্ন ভিন্ন যে'ত আদির লিখিত বা অলিখিত নয়ম চালাইয়া কাহা ক্লও মিগ্রহ, কাহাকেও অনুগ্রহ করা {য় । এরূপ করিলে সাম্প্রদায়িক বাটোয়ারাটার জাতীয় ঐক্য স্থাপনে বাধাঙ্গীতরূপ অনিষ্টকারিতার আংশিক প্রভিকারও না-হইয়াং নুতন ভেদ-নিয়ম প্রয়োগহেতু ঐ অনিষ্টকারিতা বাড়ি। অতএব মিঃ জিন্ম প্রথম দৰ্ত্তটি গ্রহণযোগ্য নহে। প্রথম সত্ত্বটির সন্ধ আরও আপত্তি আছে। তাহার একটি বলিতেছি। সম্মিলিত নিৰ্ব্বাচকমণ্ডলীর দ্বারা দক্ষিলিত নিৰ্ব্বাচনো উদেশ্য এই নিবন্ধিকার তৃতীয় অন্নচ্ছেদে কিছু বলিয়ছি। অপর উদ্দেশু, সদস্তপদপ্রার্থীদের ধৰ্ম্ম কি তাঁহা বিবেচিত না-হইয়া সদস্যের কাজ করিবার যোগ্যতা তাহীদের করূপ আছে, তাহাই যেন বিবেচিত হয়। কিন্তু মিঃ জিয়া প্রথম সর্বটির মধ্যে এই জেদ রহিয়াছে, যে, মুসলমান নির্বাচকদের সংখ্যা বাড়াইতেই হইবে । ਭੋਂ এই যে, যে-হিন্দু সদস্যপদপ্রার্থী ও বে-মুসলমান সদস্যপদপ্রার্থী অধিকাংশ মুসলমান নিৰ্ব্বাচকের ভোট পাইবেন, তিনিই বেন নিৰ্ব্বাচিত হন এবং হিন্দু নিৰ্ব্বাঙ্গদের ভোটের প্রভাব যেন অনুভূত না বা খুব কম টুভূত হয়। সম্মিলিত নিৰ্ব্বাচকমণ্ডলীর স্বাগ সম্মিলিত নৰ্ব্বাচনের যে যে উদেশ্ব পূৰ্ব্বে লিখিত হইয়ছে, মিঃ জিন্নর সর্বটির অন্তর্নিহিত উদ্বেগু ভাহার ঠিক বিপরীত এবং তাকে অসিদ্ধ করিবার উপায় মাত্র । অতএব এই স কারণেও মিঃ জিন্নার প্রথম সর্বটি গ্রহণধোগ্য নহে । চতুর্থ সত্তটিতে আছে যে, বঙ্গে ইউরোপীয়দিগকে (তাহাদের সংখ্যাহিসাবে প্রাপ্য নহে এরূপ ) অত্যন্ত বেশী যে আসনগুলি দেওয়া হইয়াছে, ভহাদের হাত হইতে তাহার কৃয়েকটা পাওয়; গেলে মুসলমানরা তাহার শতকরা ক্টোটামুটি ৫৫টি ওহিদুরা মোটামুটি শতকরা ৪৪টি পাইবে। "ইহা কালনেরি লঙ্কাভাগের মত ; ইউরোপীয়ের কোন শুনি ছাড়িয়া দিব না, হিন্দু মুসলমানে বখরাও হইবে না। বাহা হউক, ইহা অগ্রাসঙ্গিক —সকলেই জানেন, অন্ততঃ সকলেরই জানা উচিত, যে, শুধু লোকসংখ্যা হিসাবেও বঙ্গে சிகா rவி - அவr கir বিবিধ প্রসঙ্গ—মিঃ জিয়ার রক্ষার;সর্বত দেওয়া হয় নাই। লোকসংখ্যা হিসাবে মুসলমানদের স্বত পাওনা হয়, তাহাদিগকেওঁ তাহা দেওয়া হয়\নাই বটে, কিন্তু হিন্দুদিগকে যতগুলা আসন ইতে বঞ্চিত করা হইয়াছে, মুসলমানদিগকে ততগুলা হইতে বঞ্চিত করা হয় নাই । সুতরাং ইউরোপীয়দিগের নিকট হইতে, কিংবা সাধারণত সকল খ্ৰীষ্টিয়ানদিগের নিকট হইতে কতকগুলি আসন পাইলে তাহার বেশীর ভাগ স্তায়ানুসারে হিন্দুদেরই পাওয়া উচিত। কিন্তু মিঃ জিয়ার চতুর্থ সৰ্ত্ত বেশীর ভাগ মুসলমানদিগকেই দিতে বলিতেছে । এই কারণে এই সত্ত্ব গ্রহণযোগ্য নহে । খসড়া চুক্তিপত্রটি সম্বন্ধে আরও একটি বক্তব্য আছে। উহার কোথাও এ কথা লেখা নাই, যে, হিন্দু মুসলমান শিখ কেবল নিৰ্ব্বাচনের জন্ত নহে, পরস্তু স্বরাজ-সংগ্রাম চালাইবার জন্ত মিলিত হইবে । যে-কেই স্বরাজ-সংগ্রাম চালাইবে, সে-ই ইংরেজের বিরাগভাজন এবং অনুগ্রহ হইতে বঞ্চিত হইবে। খসড়া চুক্তিপত্রটিতে এই প্রকারে ইংরেজের বিরাগভাজন হইতে প্রস্তুতির কোন লক্ষণ নাই । তাঁহাতে কেবল ইহাই দেখা যাইতেছে, যে, ইংরেজের অনুগ্রহে মুসলমানেরা যাহা পাইয়াছেন, মিঃ জিন্না তাহা সমস্তই রাথিতে চান এবং মুসলমানদের জন্ত আরও কিছু লাভ চান । মন্দ্রিীজের কংগ্রেণী নেতা ঐযুক্ত "ক্ত:গ:পালাচারী বঙ্গের হিন্দুদিগকে স্বাৰ্থত্যাগ করিতে উপদেশ দিয়াছেন, মুসলমানদিগকে কিছু ত্যাগ করিতে বলেন নাই। খবরের কাগজে ইহাও বাহির হইয়াছে, যে, তিনি এইরূপ বলিয়াছেন, যে, সব প্রায় ঠিকঠাক হইয়া গিয়াছিল, কংগ্রেস এবং মুসলিমলীগ তাহাতে রাজী হইতেন, কেবল বাহিরের লোকদিগের সহিত ( “outsiders”দের সহিত } আলোচনা করিয়া তাহাদিগকে রাজী করিতে যাওয়ায় চেষ্টাটা পও হইয়াছে। পঞ্জাবের কথা আমাদের বল৷ উচিত নয়, তাহা খুব ভাল করিয়া আমাদের জানাও সাই । বাংলাদেশের হিদুল প্রাই ত্রযুক্ত রাঙ্গগোপালাচারীর দলের বাহিরের লোক বটে, কিন্তু দুঃখের বিষয় সম্প্রদায়ি বাটোয়ারার বিরুদ্ধে তাঁহাদেরই অভিযোগ একটা বড় অভিযোগ । শ্ৰীযুক্ত রাজগোপালাচারীর ခ္ယူ ႏိုင္ၾ ফৰিয়ারীকে বাদ ধিয়া বিচার চলে, ত চলুক ।