পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৮৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

७२. শান্ত মানুষ খুনের কথায় আবার লাফাইরা উঠিল। চীৎকার করিয়া বলিতে লাগিল—আমিও খুন করব । শীগগির তৈলকন বলে দাও—নইলে জানু থাকবে না— গতিক আরও ভয়ানক হইয়া দঁাড়াইল । ঘণ্টাখানেক পরে দড়াম করিয়া দরজায় লাথি । চকচকে একখানা বলির খড়গ হাতে পাগল ঘরের মধ্যে আসিয়া লাফাইতে লাগিল । —গর্দানে একটা কোপ•••বাস ! বলিয়া হা-হ করিয়া ছাত ফাটাইয়া হাসি। বলিল—বলে দাও শীগগির— রতন সেখানে ছিল, আকুল চীৎকারে কাদিয়া উঠিল। যে যেখানে ছিল, আসিয়া পড়িল । মুকেশী আসিতেই ভালমানুষের মত তার হাতে খাড়াখানা দিয়া পাগল হাসিয়া বলিল—ঠাট্টা করছিলাম। –কিন্তু ভাল কথা নয় মা । সন্ন্যাসীর মুখ শুকাইয়া গিয়া এতটুকু ; তাহারই মধ্যে একটু হাসির মত ভাব করিয়া বলিতে লাগিলেন—আজকের দিনট ওকে শিকল দিয়ে রাখ। একেবারে গোড়া ধরে টান দিয়েছি কি না, তাই অমন । মস্ত্রের ফলট হাতে হাতে দেখে নাও । —ছাই মস্তোর, মিথ্যে কথা । পাগল চোখ পাকাইয়া উঠিল। বলিতে লাগিল—ঠাকুর, অনেক ঠকেছি। জবুথবু বুঝিয়ে পালিয়ে যাবে—সে হচ্ছে না। রাতে আমি ঘুমুই নি—তিন বছর ধুমুই নি। ভাল চাও ত বলে দাওআর নয়ত এক-শ কুচি ক’রে রেখে যাব, কেউ ঠেকাতে পারবে না— $ বাস্তবিক, ঠেকানো মুস্কিল। মুকেশী নিরস্ত করিতে গেলে মাথা ঝাকাইয়া পাগল বলিয়া উঠিল—বলছ কি, সুকেশী। ও জানে, তবু বলবে না। আমি খাইনে, ঘুমুই নে —থোকা মরল চোখের দেখা দেখি নি—ঘর-সংসার সমস্ত ভুলে গেছি—চাকরি ছাড়লাম,—পাগল হলাম— কেবল একটু-একটু-একটুখানি-সামান্ত এতটুকু چtsفي سب গাছটা মাত্র বাকী। সন্ন্যাসী জানে, তবু বলবে না। . . আর পাগলের প্রলাপ নয়, আগাগোড়া কাহিনী গ্রন করির বলি যাইতেছে যে চোখের জল রাখা দায়। ఎనిధిసి মুকেশীর মা সন্ন্যাসীর পায়ের উপর পড়িয়া মাথ কুটি লাগিল—বাবা তুমি সমস্ত জান বলে দাও । বাছ আমার সেরে উঠুক।--তুমি আমাদের বাচাও— পাগলও আসিয়া নতজানু হইয়া মিনতি করিতে লাগিল —ব’লে দাও-ব’লে দাও— সন্ন্যাসী মুকেশীর দিকে চাহিলেন । করুণ সজল চোথে সে চুপ করিয়া ছিল, সেও আসিয়া পায়ের উপর পড়িল—ঠাকুর, আমি সমস্ত বিশ্বাস করি । তুমি আমাকে বাচাও—ওঁকে ব’লে দাও— সন্ন্যাসী উঠিয়া দঁাড়াইয়া অমরনাথকে ডাকিলেন—এস আমার সঙ্গে— দুজনে সমস্ত বিকাল বনে বনে ঘুরিয়া সন্ধ্যার পর এক বোঝা গাছ-গাছড়া লইয়৷ উত্তরের কোঠায় অধিষ্ঠান করিল। তারপর দাউ-দাউ করিয়া উনান জলিল। পাত্রের উপর জল ফুটিতেছে। ঘরে মাত্র একটা মিটমিটে আলো । রাত্রি ক্রমে গভীর হইল । জল টগবগ করিয়া ফুটিতেছে । আবছা অন্ধকারে উনানের উপর বড় বড় ফুলকী উঠিতেছে । গাঢ় নীল জলের বর্ণ। উগ্র কটু গদ্ধে ঘরের বাতাস বিষের মত লাগিতেছে । আগুনের তাপে অমরনাথের সর্বাঙ্গে ঘামের ধারা চলিয়াছে। চোখ তুলিয়া জিজ্ঞাসা করিল—এইবার } সন্ন্যাসী বলিলেন—সবুর । চারিদিকে আবার নিঃশন্ধতা, কেবল আগুনে ও ফুটন্ত জলে মিলিয়া একটা অদ্ভুত ধরণের ক্ষীণ আওয়াজ । আফু খানিক পরে সন্ন্যাসী জলপ্ত একখানা চেলাকাঠ তুলিয়া আর একবার পাত্রের ভিতরটা দেখিলেন । —এখন ? ঘাড় নাড়িয়া সন্ন্যাসী বলিলেন—উছঅমরনাথ অধীরকণ্ঠে কহিল—একেৰারে শুকিয়ে গেল কখন তবে ? . —ণ্ডকোক। সন্ন্যাসী নিরুগে কণ্ঠে বললেনশুকিয়ে এক বিব থাকবে তখন কৰিরি দিয়ে তার পর— - : चमब्नव निबिड़े बल का? शिषण भाभिङ गाणि ।