পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৮৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কাতিক ख अँवख्so كانوا রাসী টিপি-টিপি নিজের ঘরে গিয়া ঘুমস্ত রতনের কাধে তি দিলেন । —ওরে রতন, ওঠ-বেটা, ওঠ,রতন বার-দুই উ-উ করিল, কিন্তু উঠবার লক্ষণ দেথাইল iা। তখন সন্ন্যাসী হাত ধরিয়া টানিতে লাগিলেন । ঠির ভিতর সেই সোনার বালা, রোজ রাত্রে গুইবার ময় বালা তার চাই। ঠক্‌ করিয়া বালা মেজের উপর ডাইা পড়িল । মুকু পায়ের শব্দ । মুখ বাড়াইয়া সন্ন্যাসী আবছা দেখিলেন, ঠিক দরজার Fাছে অমরনাথ চুপটি করিয়া দাড়াইয়া আছে। তিক্ত কণ্ঠে কহিলেন—আবার এই অবধি ধাওয়া করেছ ? বকেল থেকে এক পা আগ-পাছ হ’তে দিচ্ছ না— hাপারটা কি ? —না না ঠাকুর, তা নয় । ঘরের মধ্যে আসিয়া অমরনাথ হাতে সন্ন্যাসীর পদধূলি মাথায় লইল । হাসিয়া বলিল— o: ঠকেছি কি না-যাবার সময় সাধু মশায়রা প্রায়ই য়ের ধুলো না দিয়ে চলে যান--- তাই— উত্তরের কোঠায় ফিরিয়া আসিয়া সন্ন্যাসী কাঠি ডুবাইয় ল মাপিয়া মুখ বিকৃত করিলেন । বলিলেন—যা ভেবেছি এক বট বেশী শুকিয়েছে। দোষ তোমার বাপু । ই পই ক’রে বললাম,—ফটকিরি না ফেলে তুমি আমায় টাকতে গেলে কেন ? —এতে হবে না ? সন্ন্যাসী বলিলেন—অসম্ভব । —বেশ! তাতে কি ? এক মুহূৰ্ত্ত দ্বিধা না করিয়া অবিচল খে অমরনাথ পাত্র উপুড় করিয়া ঢালিল। তখনই চড়াইবার উদ্যোগ। একটু ক্লাস্তি নাই, একটি সেকেও র নষ্ট করিবার উপায় নাই, এমনি ভাব। . সন্ন্যাসী দরজায় পা বাড়াইয়াবলিলেন—এবার আমার म | ! —আর একটু। বলিয়া পাগল পথ জাটকাইয়। আবার স্যাসী পায়ের ধূর্ণ লইয়া খলিল— সোনা যখন চকচক কৰে ঐ জলের নীচে, বিশ্রামপ্লাম তখন তার আগে পাবাড়ালে ধাড়া দিয়ে ইঠাঙে দুই কোপ। বলিয়া উদাম হাসিতে হাসিতে বলিল—ঠাটা করলাম, ঠাকুর—মিছে কথা । ঠাকুর কিন্তু আবার স্বস্থানে ফিরিয়া কাঠ হইয়া বসিলেন। তখন আকাশে শুকতারা দপদপ করিতেছে, পূৰ্ব্বকাশে রক্তিম আভা । বিশাল পাত্র পরিপূর্ণ হইয়া আবার জল চড়িল । হিসাব করিয়া সমস্ত উপকরণ পরিমাপ করিয়া অমরনাথ জলের মধ্যে ঢালিয়া দিল । সকালবেলা মুকেশী আসিয়া সে ঘরে ঢুকিতেই সন্ন্যাসী হাসিলেন—অনেকটা কান্নার মত হাসি । বলিলেনআজও সমস্ত দিন ছুটি নেই মা, এই সিদ্ধি হ’তে রাত্তির হয়ে যাবে । তত ক্ষণ এই ঘরে আটক । ঘাড় কাৎ করিয়া হাসিমুখে আবদারের ভজিতে মুকেশী বলিল—না—না, আমি নিয়ে যাচ্ছি। আমার একটু দরকার আছে । লক্ষ্মিটি, যাবে ? অমরনাথ হাসিয়া বলিল—খুব—খুব! তুমি ওঁর কথা বিশ্বাস করলে, মুকেশী ? সমস্ত ঠাট্টা— বাহিরে আসিয়া সন্ন্যাসী ইপি ছাড়িলেন। মুকেশী বলিল—আমার সিফুর ? —কালকে ভোরে । আজই হ’ত, কিন্তু সমস্ত রাত্রি ষে ছাড়লে না। না আর নয়, নেহাৎ ছড়িবে না যখন, আজই দেব সোনা ক’রে । কাল সকালে দেব তোর ভৈরবীসিদুর । তার পর তোদের মুখে-স্বচ্ছদে রেখে বিদায় নিয়ে চলে যাব--- মুকেশী বলিল—হবে ত ঠাকুর ? সত্যি বলচ, হবে ? তার চোখ ছল-ছল করিয়া আসিল । বলিল-ভাঙা কপাল, বিশ্বাস হ’তে চায় না-•• আমার গোপালের গয়না কি ভেঙে ফেলেছ ? সন্ন্যাসী বলিলেন—স্থ । গঢ়শ্বরে মুকেশী বলিল—যেন সিদ্ধি হয় ঠাকুর। বড় মুখে ছিলাম, এখন আর কিছুই নেই। গোপাল নেই— তার গয়নাও দিয়ে দিলাম—ওঁকে যেন ফিরে পাই । নিঃশব্দে মাখায় হাত দিয়া সন্ন্যাসী আশীৰ্ব্বাদ করিলেন। : । गम७ नि शौ ॰भ' क्षणं श्रवण श्रैष्ठु।