পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৯০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8يقا অমরনাথ নিষ্পলক সেই দিকে তাকাইয়া । সারাদিন খায় নাই, তিলাদ্ধ উঠে নাই। এবারে বড় সাবধান, কিছুতেই কেনি ক্রটিতে যাহাতে পও না হইতে পারে । সন্ন্যাসীকেও সমস্তটা দিন একরকম ঠায় বসাইয়া রাখিয়াছে, উঠিবার চেষ্ট করিলে দেয়ালে-টাঙানো চকচকে সেই থ*াড়াখানা দেখাইয়া এমন ঠাট্টা করে যে উঠিতে ভরসায় কুলায় না । সন্ধার কাছাকাছি হকেশীকে খবর দিয়া আনাইয়া সন্ন্যাসী বলিলেন—আমার জন্ত নয় মা, আমার এ-সমস্ত অভ্যাস আছে। যেমন ক’রে পার চারটি ওর মুখে দিয়ে দাও,- নইলে অনর্থ করবে। যত্ন ক’রে বুঝিয়ে-মুজিয়ে বসাও । আজকে শেয-মুখ, তাই বড় বাড়াবাড়ি। খুব সাবধান আজকের দিনটা । সুকেশী অনেক বলিয়া-কহিয়া অমরনাথকে থাইতে বসাইল । সেই ঘরেই—যর হইতে এক পা আজ সে নড়িতে পরিবে না । কয়েক গ্রাস মাত্র মুখে পুরিয়াছে,–সন্ন্যাসী কাঠি দিয়া নীল জল নাড়িতেছিলেন, হঠাৎ চে'চাইয়া উঠিলেন- দাও-ফটকিরি দাও এইবার— অমরনাথ খাওয়া ফেলিয়া লাফাইয়া উঠিয়া ফটকিরির গুড়া লইয়া বসিল । জল শুকাইতে লাগিল। সুকেশীর মা ছুটিয়া মাসিয়াছেন, রতন আসিয়াছে, এতগুলি চোখের দৃষ্টি ঠিকরিয়া যাইতেছে। হুকেশীর বুকের মধ্যে এমন চিব-চিব করিতেছে, যদি— এমনি সময়ে জল শুকাইয়। পাত্রের মধ্যে ঝকমক করিয়া डेठेिल সোনা ! সোনা ! সোনা ! প্রকাও পাত্রটি অমরনাথ সিংহের বিক্রমে মেজের উপর উপুড় করিয়া ফেলিল । অল্প জল এক পাশে গড়াইয়া গেল—পড়িয়া রহিল ছোট একটি সোনার ভাল। হাত থরথর করিয়া কঁাপিতেছে, অমরনাখ তাড়াতাড়ি কষ্টিপাথর লইয়া দু-তিনট টান দিল । রেখাগুলি বিছাতের মত পাথরের গায়ে জলিতে লাগিল । সোনা ! - সে চীৎকারে তার হৃৎপিও বুজিবা ফাটিা थाम्न। হাল্কা একটা পুস্টলীর মত সন্ন্যাস্ত্রীকে কাধের উপর ఫ్రాఛిధి ఏ বসাইয়া অমরনাথ সারা বাড়িময় তাওব নাচিয় বেড়াইতে লাগিল । তারপর শাস্ত হইল যখন, অমরনাথ একেবারে সুস্থ স্বাভাবিক মানুষ । সে-রাত্রে সে-অঞ্চলে যত কিছু মিলিতে পারে, সমস্ত দিয়া সন্ন্যাসীর সেবা হইল। অমরনাথ স্নান করিল, তেল মথিল, ফরসা জাম পরিল, দিব্য সহজ মানুষের মত হাসিয়া আনন্দ করিয়া অনেক ক্ষণ ধরিয়া খাইল । তার পর আবার ধীরে ধীরে উত্তরের কোঠার দিকে চলিল দেখিয়া মুকেশীর মা সভয়ে প্রশ্ন করিলেন—ওদিকে যে ? সন্ন্যাসীকে লক্ষ্য করিয়া হাসিয়া অমরনাথ বলিল— বাবা থাকতে থাকতে আর একটা জাল চড়িয়ে দিই গে। প্রক্রিয়াটা পাকাপাকি শিখে নেওয়া দরকার-ভুলচুক না থাকে । এবারে একেবারে শ-খানেক ভরির মত ব্যবস্থা করা যাক— ম। তবু মুদ্র আপত্তি তুলিলেন–রাত্তিরটা থাকলে হত। বাবা ত থাকবেন এখানে, আমি ছেড়ে দেব না । —ক’দিন থাকেন ঠিক কি, আর একবার দেখিয়ে শুনিয়ে নেওয়া ভাল। দেরি করা কিছু নয়— অমরনাথ চলিল। পিছন হইতে সুকেশী বলিল— আমি যাচ্ছি গো, আমিও শিখে নেব। মাও হাসিয়া সঙ্গ ধরিলেন । একটি পাগল ছিল, সোনায় এখন সবসুদ্ধ পাগল করিয়া দিয়াছে ! সন্ন্যাসী ক্লস্তিকণ্ঠে বলিলেন–কিন্তু আমি যাব না । আমি বিশ্রাম চাই— সুকেশী কাছে আসিয়া করজোড়ে মিনতি করিতে লাগিল—একটুখানি-জারস্তুটা বড় গোলমেলে শুনেছি। শুধু এটে আপনি দেখিয়ে দেবেন। এবারে আমি শিখে নিতে চাই । - সন্ন্যাসী ইঙ্গিত করিয়া বলিলের—ভৈরবী-সিদ্ধর } সুকেশী বলিল-থাক গে। - সমস্ত ঠিকঠাক করিয়া কাজ স্বল্প করিতে দুপুর রাত্রি হইয় গেল। অমরনাথ প্রণা, কুরিয়া কছিল--ছেৰে গুয়ে পড়ন গে, বাবা। ীি আটকায় কোন জায়গায়, তখন নহয় ডেকে নিয়ে আল ৷ o