পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/১১০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ఏ98ఎ কোন বাসনা-বেদন বিকার জন্মায় নাই। তাই সে যাহাই অভিনয় করিতেছে, তাহার স্পষ্ট সত্য প্রতিরূপ নিজেকে দিয়া ফুটাইয়া তুলিতে পারিতেছে। অভিনয় শেষ হইলে ম্যাজিষ্ট্রেটের স্ত্রী তাহাকে ডাকিয়া স্মিতহাস্তে একটুখানি আলাপ করিলেন । তঁহারই দেওয়া একরাশি বই, সোনার মেডেল ও ফুলের ভারে নিৰ্ম্মল যখন বিব্রত হইয় দাড়াইয়াছিল, তাহার শিথিল হস্ত হইতে দুই-একটা জিনিষ স্থলিত হইয়৷ এদিকে-ওদিকে পড়িয়া যাইতেছিল, তখন যামিনী পিছন হইতে নিঃশব্দে আসিমা তাহার হাত হইতে জিনিষগুল লইয়া কহিল, “চলুন। আপনার বাবা ট্যাক্সি ঠিক করে অনেক ক্ষণ থেকে দাড়িয়ে আছেন " দ্বারাস্তরাল হইতে চঞ্চল। তাহার সঙ্গিনীর গা টিপিয়৷ তরল কহিল, “কিন্তু তোরা যাই বলিস, নিৰ্ম্মল যতটা সর সাজতে চায়, আসলে ও তা নয় । ওর অনেকখানি পোজ ( ঢং ) ” “নিশ্চয়।” “ত কি আর আমরাও বুঝতে পারিনে !” “আর তোরা যাই বলিস, নিৰ্ম্মলার চেয়ে যুথিকা ঢে ভাল আবৃত্তি করে ” “আমারও তাই মনে হয় ।” “যুথিকার উচ্চারণগুলো খাটি ইংরেজী।” “হবে না কেন ? ওদের বাড়ির পার্টিতে সাহেব-স্নবো আসা প্রায়ই ত লেগে রয়েচে । তা ছাড়া যুথিকার দা ফি ইংরেজী টকিভে ( সবাক ছায়াচিত্র প্রদর্শনে ) ওকে নি কহিল, “দেখ লি, আমি সেই কালেই বলেছিলুম, যায়। একটাও বাদ দেয় না।” There is something... ( so fo কিছু আছে... )। ক্রমশঃ পচিশে বৈশাখ শ্ৰীশৌরীন্দ্রনাথ ভট্টাচাৰ্যা বাজ তোরা শাখ, সেই মধু-ধারা ধন্য হোক পচিশে বৈশাখ । রবিরূপে হ’ল মূৰ্ত্তিহার। কোন সে আদিম উধা-চক্রবাল-তলে, হেরেছি। তারে বিষ্ণুনাভিপদ্মদলে, অনাদি শ্ৰীমুন্দরের আনন্দের রসপদ্মদলে, জন্মজন্মান্তর বহি কোটি মূৰ্ত্তি ধরিল সে ছলে । প্রথম সে মূৰ্ত্তি নিল রূপে, গগনে অখণ্ড মহাকাল— স্মৃষ্টির অনন্ত মহামুরে খণ্ডে খণ্ডে বেঁধে দিল তাল। সেই তালে বন্দী হ’ল তিথিরূপে আনন্দসুন্দর, সে বন্ধন-গ্রন্থি হতে ঝরিল ঝঝর, ব্রহ্মের মানস-মধু-ধারা। সারা সৃষ্টি চিত্তহার চাহিল উন্মনে, কোন পুণ্যক্ষণে— স্বজনের নব ছন্দে গানে বহি এল যুগযুগান্তর, গ্রহ হতে ফিরি গ্রহান্তরে চন্দ্রে স্বর্ষ্যে করিল সুন্দর হেরিলাম স্বৰ্গলোকে তারপর তমসার তীরে, তারোপরে অকস্মাৎ কালগভঁচিরে, বঙ্গে রবি হইল উদয়, চিরন্তনী স্বষ্টির বিস্ময়। বাজে তারি জয়শাখ, পচিশে বৈশাখ ।