পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/১১১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নন্দলাল বস্থ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর স্পিনোজ ছিলেন তত্ত্বজ্ঞানী, তার তত্ত্ববিচারকে তার ব্যক্তিগত = পরিচয় থেকে স্বতস্থ করে দেখা যেতে পারে , কিন্তু যদি মিলিয়ে দেপ৷ স্থল হয় তবে ঠার রচন। আমাদের কাছে উজ্জ্বল হয়ে ওঠে । প্রথম সেই সমাজ ঠাকে নিৰ্ম্মমভাবে ত্যাগ করেছে কিন্তু কঠিন দু:খেও তাকে তিনি ত্যাগ করেনলি । সমস্ত জীবন সামান্ত কয় পয়সায় 1র দিন চলুত ; ফ্রান্সের রাজা চতুর্দশ লুই তাকে মোট অঙ্কের সন দেবার প্রস্তাব করেছিলেন, সত্ত্ব ছিল এষ্ট যে ষ্টার একটি বই iঙ্গার নামে উৎসর্গ করতে হবে ; iম্পনোজ। রাজি স্থলেন ন! । রি কোনো বন্ধু মৃত্যুকালে তা ন সম্পত্তি ঠাকে উইল করে দেন, সম্পত্তি তিনি গ্রহণ মণ করে দাতার ভাইকে দিয়ে দেন । তিনি তত্ত্বজ্ঞানী ছিলেন, আর তিনি যে মানুষ ছিলেন এ দুটোকে এক কাঠায় মিলিয়ে দেখলে তার সত্য সাধনার যথার্থ স্বরূপটি পাওয়া য়, বোঝা যায় কেবলমাত্র তার্কিক বুদ্ধি থেকে তার টুম্ভব নয়. স্টার পূর্ণ স্বভাব থেকে তার উপলব্ধি ও প্রকাশ । শিল্পকলায় রসসাহিত্যে মানুষের স্বভাবের সঙ্গে মামুষের রচনার ধন্ধ বোধ করি আরো ঘনিষ্ঠ । সব সমযে তাঁদের একত্র করে খবার সুযোগ পাইনে । যদি পাওয়া যায় তযে তাদের কষ্মের কৃত্রিম সতীত। সম্বন্ধে আমাদের ধারণ স্পষ্ট চোতে পারে। স্বভাববকে স্বভাবশিল্পীকে কেবল যে আমর। দেখি তাদের লেখায়, তাদের তের কাজে ত৷ নয়, দেখা যায় তাদের ব্যবহার তাদের দিনধারায়, :দর জীবনের প্রাত্যহিক ভাষায় ও ভঙ্গীতে চিত্রশিল্পী নমালাল বস্থার নাম আমাদের দেশের অনেকেরই জাম frছ। নিঃসন্দেহ আপন আপন রুচি মেজাজ শিক্ষা ও প্রথাগত ভ্যাস অনুসারে তার ছবির বিচার অনেকে অনেক রকম করে কেন । এরকম ক্ষেত্রে মতের ঐকা কথনে সত্য হোতে পারে না, ৰত প্রতিকুলতাই অনেক সময়ে শ্রেষ্ঠতার প্রমাণরূপে দাড়ায়। কিন্তু কটে থেকে নানা অবস্থায় মানুষটিকে ভাল করে জানবার সুযোগ মি পেয়েছি। এই সুযোগে যে-মানুষটি ছবি অঁাকেন তাকে পূর্ণ শ্রদ্ধ করেছি বলেই তার ছবিকেও শ্রদ্ধার সঙ্গে গ্রহণ করতে রেছি। এই শ্রদ্ধায় যে দৃষ্টিকে শক্তি দেয় দেই দৃষ্টি প্রতাক্ষের ধীরে প্রবেশ করে | শমালালকে সঙ্গে করে নিয়ে একদিন চীনে জাপানে ভ্ৰমণ করতে য়েছিলুম। আমার সঙ্গে ছিলেন আমার ইংরেজ বন্ধু এলম্হসূর্ট । নি বলেছিলেন, নন্দলালের সঙ্গ একট। এডুকেশন । তার সেই ধাটি একেবারেই যথার্থ। নমালালের শিল্পদ্ধৃষ্টি অত্যন্ত খাটি, তার চার-শক্তি অস্তদশী। একদল লোক আছে আর্টকে যারা কৃত্রিম ণীতে সীমাবদ্ধ করে দেথতে ন পারলে দিশেহারা হয়ে যায় । রকম করে দেথা থোড়া মানুবের লাঠি ধরে চলার মত, কটা বাধা বাহু আদর্শের উপর তর দিয়ে নজির মিলিয়ে বিচার র। এই রকমের যাচাষ্ট-প্রণালী মুক্তিয়ম সাজানোর কাজে দে জিনিষ সরে গেছে তার সীমা পাওয়া যায়, তার সমস্ত . লাগে । পরিচয়কে নিঃশেষে সংগ্রহ করা সহজ, তাই বিশেষ ছাপ মেরে তাকে কোঠায় বিভক্ত করা চলে। কিন্তু যে , আর্ট অতীত ; ইতিহাসের স্মৃতিভাণ্ডারের নিশ্চল পদার্থ নয়, সজীব বৰ্ত্তমানের সঙ্গে যার নাড়ীর সম্বন্ধ, তার প্রবণতা ভবিষ্যতের দিকে ; সে চলছে, সে এগোচ্চে, তার সস্তৃতির শেষ হয়নি, তার সভার পাক৷ দলিলে BBBB BBB BB BS BBB BB BBBS BBBBD DD তার। যুতের লক্ষণ মিলিয়ে জীবিতের জন্তে শ্রেণীবিভাগের বাতায়মহীন কবর তৈরি করে । নন্দলাল সে জাতের লোক নন, আর্টি স্তার পক্ষে সজীব পদার্থ। তাকে তিনি স্পর্শ দিয়ে দৃষ্টি দিয়ে দরদ দিয়ে জানেন, সেই জন্তই তার সঙ্গ এডুকেশন। যার ছাত্ররূপে BB BSB BBBB BBB BBDD BBBB BB BBBB বলে মনে করি,-ইrর এমন কোনো ছাত্র নেই এ কথা যে নী অনুভব করে৮ে এবং স্বীকার না করে । এ সম্বন্ধে তিনি তার নিজের গুরু অবনীন্দনাথের প্রেরণ। আপন স্বভাব থেকেই পেয়েছেন সহজে । ছাত্রের অল্পণিহিত শক্তিকে বাহিরের কোনো সনাতন ছাচে ঢালাই করবার চেষ্টা তিনি কখনোই করেন না ; সেই শক্তিকে তার নিজের পথে তিনি মুক্তি দিতে চান এবং তাতে তিনি কৃতকার্য হন যে হেতু গর নিজের মধ্যেই সেই মুক্তি আছে। কিছুদিন হোলো, বোম্বায়ে নপলাল তার বর্তমান ছাত্রদের একটি প্রদর্শনা পুলেছিলেন। সকলেই জানেন, সেখানে একটি স্কুল অফ আর্টস্ আছে, এবং একথাও বোধ হয় অনেকের জানা আছে সেই স্কুলের অনুবৰ্ত্তীর আমাদের এদিককার ছবির প্রতি অবজ্ঞা প্রকাশ কোরে লেখালেগি কোরে আসছেন । তাদের নালিশ এই যে, আমাদের শিল্পশ্বষ্টিতে আমরা একটা পুরাতন চালের ভঙ্গিম স্থষ্টি করেছি, সে কেবল সস্তায় চোখ ভোলাবার ফন্দী, বাস্তব সংসারের KBBSBBBBS BBB BB BB S BBBBS BBBBBB BBBB প্রতিবাদ করিনি,--ছবিগুলি দেখানে। হোলে। । এতদিন যা ব’লে স্তার বিরূপ কোরে এসেছেন, প্রত্যক্ষ দেখতে পেলেন তার সম্পূর্ণ বিরুদ্ধ প্রমাণ । দেখলেন বিচিত্র ছবি, তাতে বিচিত্র চিত্তের প্রকাশ, বিচিত্র হাতের স্থাদে, তাতে না আছে সাবেক কালের নকল ম৷ আছে আধুনিকের ; ত ছাড়া কোনো ছবিতেই চলতি বাজারদরেব প্রতি লক্ষ্য মাত্র নেই। যে নদীতে স্রোত অল্প যে জডে ক'রে তোলে শৈবালদামের ব্যুহ, তার সামনের পথ যায় "দ্ধ হয়ে । তেমন শিল্পী সাহিত্যিক অনেক আছে যারা আপন অভ্যাস এবং মুদ্রাভঙ্গীর দ্বারা আপন আচল সীমা রচনা করে তোলে । তাদের কৰ্ম্মে প্রশংসাযোগ্য গুণ থাকতে পারে কিন্তু সে আর বঁাক ফেরে না, এগোতে চায় না, ক্রমাগত আপনারি লঞ্চল ত্যাপলি করতে থাকে, নিজেরই কুতকৰ্ম্ম থেকে তার নিরস্তর নিজের চুরি চলে । আপন প্রতিভার যাত্রাপথে অভ্যাসের জড়ত্ব দ্বারা এই সীমা বন্ধন নন্দলাল কিছুতেই সহ্য করতে পারেন না। আমি তা জানি । তাপণীয় মধ্যে র্তার এই বিক্সোছ কতদিম দেখে আসছি। সৰ্ব্বত্রই এই বিদ্রোহ