পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/১১৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বৈশাখী আর্থিক দুৰ্গতি মোচন sg. তাহারা পারিশ্রমিক লাভ করে –পানাও যায়; এরোপ্লেন হইতে ঔষধ দিম। পান দূর করিবার কল্পনা কাৰ্য্যে পরিণত করা যাইবে না । কেহ কেহ বলেন, পান পরিষ্কার করিলে আবার হইবে স্বতরাং পরিষ্কার করিয়া লাভ কি ? ইহা অলসের উক্তি। উড়িষ্যায় দেখা গিয়াছে, যে-সব পুষ্করিণী হইতে পান। তুলিয়া ফেলা হইয়াছে, সেগুলি পরিষ্কারই আছে । কোন দেশই এরূপ বিপদে নিশ্চেষ্ট থাকে না । অষ্ট্রেলিয়ার গবেষণা-সমিতির গত বৎসরের যে কাৰ্য্যবিবরণ তথায় পালর্ণমেণ্টে পেশ হইয়াছে, আমরা তাহার এক খণ্ড পাইয়াছি। তাহাতে দেখিতে পাই, ঐ দেশে যে-সব উদ্ভিদ অনিষ্টকর ও বাড়িয়া যাইতেছে, সে-সকল নষ্ট করিবার জন্য নানা উপায় পরীক্ষা করা হইতেছে—এমন কি যে-সব কীটপতঙ্গ এই সব উদ্ভিদ নষ্ট করে বিদেশ হইতে তাহা আনিয়া ছাড়িম্বা দেওয়া হইতেছে । উহা হইতে আমরা নিম্নলিখিত বিবরণ উদ্ধৃত করিতেছি ---- “Consignments of soven species of insects attacking St. John's wort have been received from abroad, und a iumber of sono of thoin have already boon liberated n the districts where the weed is a post...In 1933, iberations were made in Queensland of a seedily which Attacks Noogoora burr.” এদেশে আচার্য্য জগদীশচন্দ্র যে সহজ উপায় নির্দেশ করিয়াছেন, তাহার পরীক্ষা করিলে সুফল ফলিতে পারে ; কারণ, এদেশে শ্রমিকের পারিশ্রমিক অল্প । এইরূপ কাৰ্য্য যে পল্লীগ্রামের পুনর্গঠনকার্য্যে সহায় হয়, তাহা বলাই বাহুল্য । সরকার যে বিবৃতি প্রকাশ করিয়াছেন, তাহাতে বলা হইয়াছে – কমিশনারকে যে-সব সমস্যার বিষয় বিবেচনা করিতে হইবে, সে-সকলের সংখ্য অল্প নহে। পল্লীগ্রামের অর্থনীতিক উন্নতি সাধন সম্বন্ধে নানা প্রস্তাবও বিচার করিতে হইবে । দৃষ্টান্তস্বরূপ বলা যাইতে পারে, পল্লীগ্রামের অধিবাসীদিগের ঋণের বিষয় বিশেষভাবে বিবেচনা করিয়া দেখিতে হুইবে । বাহাতে কৃষকের ঋণভার লঘু হয় এবং কৃষিকার্য্যের জন্য সে আবশ্যক অর্থ পাইতে পারে, তাহার ব্যবস্থা করিতে হইলে তাহাকে নানা প্রস্তাব বিচার করিতে হইবে । সে-সব প্রস্তাবের মধ্যে নিম্নে কয়েকটি উল্লেখ করা গেল— ( ১ ) স্বেচ্ছায় অর্থাৎ আইনের সাহায্য না লইয়া ঋণ মিটাহয় লওয়া । ( ২ ) বৰ্ত্তমানে যে-ঋণ পুঞ্জীভূত হইয়াছে, তাহা মিটাইয় লইতে বাধ্য করা অর্থাং সে-বিষয়ে আইন করা। ( ৩ ) যাহাতে পল্লীগ্রামে লোক সহজে দেউলিয়া হইতে পারে, আইনে তাহার ব্যবস্থা কর । ( ৪ ) কৃষক যাহাতে অমিতব্যয়ী হইয়া পুনরায় ঋণগ্রস্ত ন। হয়, তাহার ব্যবস্থা করা । ( a ) জমিবন্ধকী ব্যাঙ্ক প্রতিষ্ঠা কর । ( ৬ ) কৃষকের যে টাকা প্রয়োজন হয় তাহার অধিকাংশ দিবার জন্য ঋণদান প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা কর । বলা বাহুল্য, এই সব ব্যবস্থা বিচারকালে বাংলার সমবায় অনুষ্ঠানের অবস্থা বিবেচনা করিতে হইবে । কৃষককে মহাজনের নাগপাশ হইতে মুক্ত করিয় তাহার আবশ্বক অর্থ পাইবার স্ববিধ করিয়া দিবার উদ্দেশ্যেই সমবায় ঋণদান সমিতিগুলি প্রবৰ্ত্তিত হইয়াছিল। সেগুলির ফল যে আশাকুরূপ হয় নাই, তাহা অস্বীকার করিবার উপায় নাই । অল্পদিন পূর্বে এদেশে সমবায় সমিতিসমূহের প্রতিনিধিদিগের যে সম্মিলন হুইয়াছিল তাহাতে দেখা গিয়াছে, জাৰ্ম্মান যুদ্ধের সমম্ব হইতে সমবায় প্রতিষ্ঠানসমূহের যে অবনতি আরম্ভ হইয়াছে তাহা নিবারণ করা যায় নাই। ইহার কারণ কি ? কারণ যাহাই কেন হউক না, এই অবনতির নিদান নির্ণয় করিতে হইবে। বিশেষ নূতন যে-সব প্রতিষ্ঠান ত করিতে হইবে, সে-সকল সমবায় নীতিতে গঠিত করাই প্রয়োজন হইবে । জমিবন্ধকী ব্যাঙ্ক প্রতিষ্ঠার পরীক্ষা আরম্ভ হইমুছে । এ-বিষয়ে যে তৎপরতা দেখা গিয়াছে, তাহা প্রশংসনীয়। প্রথমে পাচটি ব্যাঙ্ক প্রতিষ্ঠিত হইবে । ময়মনসিংহে প্রথমটির উদ্বোধনকাৰ্য্য সম্পন্ন করিবার সময় মন্ত্রী তাহার উদেশ্ব বিস্তুত করিয়াছেন। এবার বঙ্গীয় ব্যবস্থাপক সভায় বাংলা-সরকারের যে বজেট পেশ হইয়াছে তাহাতে এই বাবদে ৪০ হাজার টাকা বরাদ হইয়াছে। ইহা কেবল ব্যাঙ্কের কৰ্ম্মচারী প্রভৃতির বেতনের জন্ত । মন্ত্রীর উক্তিতে প্রকাশ– “ডিবেঞ্চার” ঋণ করিয়া এই-সব ব্যান্ধের মূলধন সংগৃহীত श्व ७ीयर वङ भिन्नब छछ थ१ शूशैड श्व, ততদিন ।