পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/১১৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বৈশাখ বং তাঁহাতে পল্লীগ্রামের পুনর্গঠনকাৰ্য্য সহজে সম্পন্ন েৈব—অস্ততঃ সে-কার্য্যে সাহায্য হইবে । সরকারী বিবৃতির শেষাংশে লিখিত হইয়াছে :কমিশনারকে আর একটি বিষয় বিশেষভাবে বিবেচনা রিতে হইবে। বাংলার যে-সব অঞ্চল লোকশূন্ত ও শ্রহীন েৈতছে, সে-সব অঞ্চলে বন্যার জলে সেচ ব্যবস্থা করিলে থাৎ যাহাতে বন্যার জল জমিতে যায় তাহা করিলে উপকরম্ভাবনা আছে । সঙ্গে সঙ্গে বর্তমান ও পরবর্তী সেচের লের আম্বের বিষয়ও বিবেচনা করিতে হইবে । পলিপূর্ণ বন্যার জল জমিতে আসিলে যে জমির উর্বরতা ৰ্দ্ধিত হয় এবং ম্যালেরিয়ার প্রকোপও প্রশমিত হয়, তাহ। ক দিকে যেমন ডাক্তার বেণ্টলী, অপর দিকে তেমনই সেচঘিয়ে বিশেষজ্ঞ স্তর উইলিয়ুম উইলকক্স দৃঢ়তা সহকারে লিম্বা গিয়াছেন। স্তর উইলিয়ম মিশরে এইরূপ ব্যবস্থার রিা অসাধ্য সাধন করিয়া অক্ষয় যশ অর্জন করিয়া গয়াছেন। তিনি পরিণত বয়সে স্বতঃপ্রবৃত্ত হইয়া বাংলার বস্তা পরীক্ষা করিয়া বলিয়াছিলেন–জমিতে বন্যার ল প্রবেশ বন্ধ হওয়াতেই পশ্চিম-বঙ্গের দুর্দশ ঘটিয়াছে । ধগুলি এই দুৰ্দ্দশা আরও দ্রুত করিতেছে । কি পায়ু অবলম্বন করিলে ইহার প্রতিকার হয়, তিনি হাও বুঝাইয়া দিয়াছিলেন । দুঃখের বিষয়, তখন তাহার পদেশ গৃহীত হয় নাই। কিন্তু এখন সেচের প্রয়োজন ও পযোগিত উপলব্ধ হইতেছে। কিরূপে বন্যার জল জমিতে বেশ করান যায়, তাহার বিষয় বিবেচিত হইবে জানিয়া Iামরা প্রীত হইয়াছি । আমাদিগের মনে হয়, আজ যখন নূতন পদ্ধতি প্রবর্তিত ইতেছে, যখন বাংলার শ্রীহীন পল্লীগ্রামকে ঐসম্পন্ন করিবার— ংিলার দুর্দশা দূর করিবার উপায় আলোচিত হইতেছে, খন যদি পুনর্গঠন-কৰ্ম্মচারী স্তর উইলিয়ম উইলকক্সের স্তিাবটি পরীক্ষা করিয়া তাহা কাৰ্য্যে পরিণত করিবার কথা লেন, তবে ক্লষি, স্বাস্থ্য ও সেচ তিন বিভাগই তীহাকে fহায্য করিতে অগ্রসর হইবেন । এতদিন এই পথে রাট বাধা ছিল—অর্থাভাব । এবার সে বাধা দূর হইবার স্তাবনা লক্ষিত হইতেছে। মণ্টেগু-চেমসফোর্ড শাসন-সংস্কার বৰ্ত্তনাবধি বাংলা-সরকারের আর্থিক দুৰ্গতির অস্ত ছিল না । ^\Z আর্থিক দুৰ্গতি মোচন సెళ বাংলার জনমত ও বাংলা-সরকার উভয়েই সেই জন্য বলিয়া আসিয়াছেন— (১) পাটের উপর যে রপ্তানি-শুষ্ক আদায় হয়, তাহার সব টাকা বাংলার প্রাপ্য ; সে টাকা বাংলাকে প্রদান করা হউক ; (২) বাংলায় যত টাকা আয়কর হিসাবে আদায় হয়, তত টাকা আর কোন প্রদেশে আদায় হয় না ; সে টাকার কতকাংশও বাংলার প্রাপ্য । দীর্ঘকাল আন্দোলনের ফলে পালামেণ্ট প্রস্তাব করিয়াছেন, —পাটের উপর রপ্তানি-শুল্কের আয়ের অৰ্দ্ধাংশ পাটউৎপাদনকারী প্রদেশগুলিকে যথাযথভাবে বণ্টন করিয়া দেওয়া হইবে এবং সেই জন্যই পালামেণ্ট বাংলার আয়ে তাহার ব্যয় সস্কুলান হইবে, ধরিয়া লইয়াছেন । এবার ভারতসরকার সেই হিসাবে বাংলাকে তাহার প্রাপ্য ঐ টাকার অৰ্দ্ধাংশ দিতে উদ্যত হইয়াছেন। ফলে বাংলা এবার আর পূর্ববং আর্থিক দুৰ্গতি দুঃখ ভোগ করিবে না । অতঃপর বাংলা উৎপাদক কাজের জন্য ঋণগ্রহণ করিতেও পরিবে । বলা বাহুল্য, যাহাতে পাটের শুল্কের সব টাকাই বাংলা পায়, সেজন্য এখনও আন্দোলন পরিচালিত করিতে হইবে এবং আয়করের কতকাংশও পাইবার চেষ্টা করিতে হইবে । সেবিষয় আজ আমাদিগের আলোচ্য নহে । আজ আমরা বাংলার আর্থিক দুৰ্গতি মোচনের স্থায়ী উপায়ের কথাই বলিতেছি । বাংলার অর্থনীতিক অবস্থা সম্বন্ধে অনুসন্ধান জন্য ষে সমিতি গঠিত হইয়াছে, তাহার সদস্যদিগের নাম প্রকাশিত হইয়াছে । তাহারা সরকারের নির্দিষ্ট বিষয়ে অনুসন্ধানে প্রবৃত্ত হইবেন । সরকার তাহাদিগকে কোন কোন বিষয়ে অমুসন্ধান করিতে বলিবেন, তাহাও কমিশনার স্থির করিম দিবেন । কমিশনার কোন বিশেষ বিভাগের অধীন থাকিবেন না, পরস্তু লাটপরিষদের আর্থিক সমিতির সভাপতির অধীনে কাজ করিবেন । গভর্ণর, তাহার শাসনপরিষদের সদস্যত্রয় ও মন্ত্রিত্রেয়—এই কয়জনে বাংলার গভর্ণরের পরিষদ গঠিত। ইহার মধ্যে তিন জনকে লইয়া আর্থিক সমিতি । পরিষদের সর্বাপেক্ষ পুরাতন সদস্য স্যর প্রভাসচন্দ্র মিত্র, অর্থসচিব এবং কৃষি ও শিল্প বিভাগের ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী এই কয়জন এই সমিতির সদস্য ছিলেন । সার ཁང་དང་སྔར་