পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/১৩০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ృYఉ তুই বড় ইয়ে হয়েছিস । বিপদের সময় মানুষকে নিয়ে ੇ ? — ঠাট্টা ? ককখনো না । দুঃখ করছি। বলিয়া বিভ চেষ্ট-চরিত্র করিয়া মুখখান মলিন করিল। বলিল-বিপদই বটে। এমন সাধু সজ্জন লোকেরও এমনি দুৰ্গতি হয়। থানায় নিম্নে বটতলায় নাকি খাড়া দাড় করিয়ে দিল। তখন দীরোগীকে ধরমবীপ বলে সমস্ত বেল ধরে ভেউ ভেউ করে কান্না । বাবার কাছে গল্পটা শুনে অবধি—। কথা আর শেষ করিতে পারিল না ; প্রবল দুঃথের যন্ত্রণাতেই বোধ করি বিছানার উপর একেবারে লুটোপুটি থাইতে লাগিল । কিন্তু উমারাণী তাহাতে যোগ দিল না, মান হাসিম বলিল—কিন্তু, বুড়ো হোক, যাই হোক—ঐ কেদার মিত্তির ছাড়া তোর সইকে আর কার মনে লাগল বল দিকি ? একটু চুপ থাকিয়া গভীর কণ্ঠে বলিতে লাগিল - দাদুর অবস্থা দেখে কান্না আসে ভাই । বুড়ে মানুষ, এ দেশ সে দেশ করে এক একটা সম্বন্ধ নিয়ে আসেন ; মুখ ফিরিয়ে চলে যায়, সঙ্গে সঙ্গে দাদুর আহার-নিদ্র ত্যাগ। আজ এই দুপুর থেকে ষ্টেশনে যাবার ঝোক । বলেন, কলকাতার ছেলে পাড়াগায়ে আসছে, পথঘাট চেনে না— আগে গিয়ে বস। ভাল । যেন কলকাতার ছেলেকে থাতির করে গাড়ী আজ সকাল সকাল পৌছে যাবে। গাড়ী ত এল এতক্ষণে, আর সেই সন্ধো থেকে ষ্টেশনে গিয়ে বসে আছেন । বিভার চোখে জল আসিয়া পড়িল। দুই জনে বড় ভাব । উমার হাত ধরিয়া টানিয়া বলিল— বসে বসে ঐ সব ভাবছিস । আজকে বর আসবার দিন, আনন্দ করতে হয় । চল দিকি রান্নাঘরের দিকে— হঠাৎ উমারাণী বলিল--বিভা, দিবি ? —কি ? --তোর ঐ গামের রঙটা । বড় ভয় করছে। ওরা দেখে শুনে চলে গেলে কাল আবার তোকে ফিরে দেব । বিভা একেবারে আগুন হুইয়া উঠিল—তুই হিংস্থক, তুই কাণ । একবার আয়না ধরেও দেখিল নে ? উমারাণী বলিল-সে ভাই, তোর চোখে । তুই যদি গুরুষ হডিস একটা জিনিষ ধার "প্রবাসী; লাগিল—তা হলে নিশ্চয় তোকে বিয়ে করতাম। SSR) গ্রীব দোলাইয় প্রবলকণ্ঠে বিভা বলিতে বিয়ে ন৷ করে সকালে ঘাড়ের উপর এক কিল, আর সন্ধ্যায় আর এক দফা। বলিতে বলিতে পরম স্নেহে উমাকে সে জড়াইয়ু ধরিল। বলিল চুলোয় যাকগে কেদার মিত্তির। আমি ছাড়া আর কারো চোখে লাগে না— বটে ? আজকে তবে কি হচ্ছে মণি ? ছবি দেখে যে পাগল হয়ে রাজপুত্ত্বর ছুটেছে— --আলবৎ } রাজপুত্র অর্থাৎ প্রশস্ত। কলিকাতায় কলেজে পড়ে । ফোটোগ্রাফ দেখিয়া বিচার বিবেচনা করিয়া অবশেষে আঞ্জ সে নিজেই আসিতেছে । সদযুগোপাল ষ্টেশনের বেঞ্চে বসিয়া বসিয়া ঝিমাইতেছিলেন । চারিদিকে ফঁাক মাঠ, বড় শীত করিতে লাগিল। চাদরট গায়ে দিয়া কৰ্ম্মটার ভাল করিয়া গলায় জড়াইয়। সোজ হইয়! বসিক্ষেন । অবশেষে গাড়া আসিল । কলিকাতার ছেলে, দেখিয়াই চেনা যায় । দুজন আসিয়াছে। একজন টুকটুকে মুন্দর, চশম-পরা । অপব জন ফর্শ তেমন নয়, লম্ব চওঁড় স্থগঠিত দেহ । গা ট্রী হইতে মামিয় সেই সৰ্ব্বাগ্রে পরিচয় দিল—আমার নাম নিমাই গোস্বামী, নিবাস নীলগঞ্জ । পাত্র কিছুতে এল না। সদয়গোপালের এমন ভাব হইল, বুঝি ঐথানেই বসিয় পড়িবেন । নিমাই বলিতে লাগিল-এত করে বললাম, চলে যাই প্রশাস্ত, আজকালকার দিনে এতে আর লজ্জা কি ? শিয়ালদহে এসেও টানাটানি । কিছুতে নয়। আমাদের দু’ গাড়ীতে তুলে দিয়ে আসছি বলে চম্পট । কিন্তু বয়স কম হইলে কি হয়, নিমাই গোস্বামী অতিশয় বিবেচক ব্যক্তি । বাড়ি পৌছিয়া বলিল- এই রাত্তিরে আজt আর হাঙ্গাম হজ্জ্বত করে কাজ নেই। আমরা কে ! দেখা-টেখা হবে একেবারে সেই আসল মানুষের সঙ্গে শুভদৃষ্টির সময় । আমরা দেখব শুধু তরিবংট। বরঞ্চ খাবার টাবার গুলো খুকীকে দিয়ে পরিবেশন করান। তাতে আন্দাজ পাওয়া যাবে-— বিভা ছুটিয়া গিয়া উমারাণীকে চিমটি কাটিল - যা খুকী,