পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/১৩২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ية لأدا সদয়গোপালের মুখ শুকাইল, দেবত রুষ্ট হইয়াছেন। কিন্তু অপরাধ ত উহার কিছুই নয় । “নিমাই হাসিমুখে বুদ্ধকে নির্ভয় করিল। বলিল---আর কত দেখবো ? ঐ ত হোলো। অনর্থক কলেজ কামাই করে দরকার কি ? সদমগোপাল শুনিলেন না, ষ্টেশন অবধি সঙ্গে সঙ্গে চলিলেন । গাড়ী প্রায় আসিয়া পড়িয়াছে । হঠাৎ নিমাই অবাক করিম দিল। বলিল-মাপ করবেন আমাকে ; একটু মিথ্যাচার হয়েছে । পাত্র নিজেই এসেছে । বিভীর সন্দেহ ঠিক তাহা হইলে । বৃদ্ধ দুই স্তিমিতচোগের সকল প্রত্যাশ লইয়া চশমাধারীর দিকে তাকাইলেন । গোস্বামী পুনশ্চ বলিয়া উঠিল –আজ্ঞে আমিই প্রশান্ত– আরও আশ্চৰ্য্য হইয়া সদস্যগোপাল বলিলেন— আপনার বাড়ি কি তবে— কথা পুফিয়া লইয়া প্রশাস্ত বলিল –নীলগঞ্জ নয় । জন্মে দেখিনি কখনো । তারপর উচ্চকণ্ঠে হাসিয়া উঠিয়া বলিতে লাগিল—পরিচয় দিলে কি আর অমনি করে দেথা যেতো! তা ছাড়া অন্যায়টাই বা কি ? আপনার সঙ্গে ত ঠাট।-তামাসারই সম্পর্ক । সাহস পাইম এতক্ষণ পরে বুদ্ধ মুখ তুলিলেন । ঢোক গিলিয়া বলিলেন-মেয়ে তবে পছন্দ হয়েছে দাদা ? —হয়েছে ।--ফর্শাটি । আপনার ঐ যে বলছিলেন না ? সদযুগোপালের কথা ফুটিল না । তারপর অনেকক্ষণ পরে কথা যখন বলিলেন, যেন হাহাকারের মতো শুনাইল । বলিলেন—ও ভুবন চৌধুরীর মেয়ে, ওর পাত্রের অভাব কি ? আথার এই মা-বাপ মরা বাছার একটা গতি করে দাe তোমরা--- প্রশান্ত উদাসীনের মতো আর একদিকে চাহিয়া রহিল। তারপর বলিল–গাড়ী এসে পড়েছে ; আচ্ছ, নমস্কার । স্কুবন চৌধুরী মশায়কে বলবেন ঐ কথা। আয় সুনীল *ড়িয়ে রইল যে— * * * গাড়ী আসিয়া দাড়াইয়াছে ; কিন্তু চশমাধার ছেলেটি নড়িল না। এক মুহূৰ্ত্ত সে সেই সৰ্ব্বারা বুদ্ধের দিকে তাঙ্কাইল কথা লে কাল হইতে রত্ন ৰেক্ট কহে নাই, কে হয় ఏ983 গাড়ীর সামনে থমকিয়া দাড়াইয়া বলিল—আমার নাম সুনীলকুমার রায়, বাড়ি প্রশাস্তদের ওখানে । আমার সম্বন্ধে একটু খোজ খবর করে দেখবেন। আমি অযোগ্য, কিন্তু যদি আপনার পৌত্রীকে— বৃদ্ধ যেন পাগল হইয়া উঠিলেন, শুষ্ক চোখ এতক্ষণে সজল হইয়া উঠিল । অধীর আকুলকণ্ঠে বরদ্বার বলিতে লাগিলেন--আমার উমরাণীকে নেবে তুমি ? দুঃখিনীকে পায়ে ঠাই দেবে তুমি দাদা ? অঙ্কুট স্বরে সুনীল বলিল - যদি দেন দয়া করে। এবং তারপর সে-ই বা আর কি কি বলিল, বুড়াই বা কি বলিতে লাগিলেন গাড়ীর শব্দে লোকজনের কোলাহলে তাঙ্গর একবর্ণ শোনা গেল ন । বৃত্তাস্ত শুনিয়া ভুবন চৌধুরী মহাখুপী । বলিলেন--বেশ হয়েছে, দিব্যি হয়েছে । এক ঢিলে দুই পাপী । হীরের টুকরো ছেলে ও দু'টি। দেখেই বুঝেছি— এবং আরও ভাল করিয়া বুঝিবার জন্য পরদিনই রগুণ। হইয়া গেলেন। ফিরিতে দিন আষ্টেক দেরী হইল । খিড়কীতে পা দিয়াই আনন্দোচ্ছ্বাসে বলিয়া উঠিলেন-উলু দাও 진 - S উদ্যোগীপুরুষ । একেবারে বিয়ের তারিখ পর্য্যন্ত ঠিক । সামনের চৈত্রট বাদ দিয়া বৈশাখ মাসের এগারোই । হাত-পা ধুইয়। চৌধুরী মহাশয় বৈঠকখানায় গিয়া দেখিলেন, সদমগোপাল আসিয়া ফরাসের একপাশে চুপচাপ বসিয়া আছেন । ইঁ, সম্বন্ধ বটে। সেই কথাটাই সৰ্ব্বাগ্রে উঠিয়া পড়িল । এমন ঘর-বর ভুবন স্বপ্নেও ভাবিতে পারেন মাই প্রায় বেকুব হইতে বসিয়াছিলেন ; তারপর বুদ্ধি করিয়৷ , নিজের হাতের হীরার আংটি বরের আঙুলে পরাইয়া মান বঁাচাইয়া আসিয়াছেন । সদস্থগোপাল খুৰ ঘাড় নাড়িয় ভুবনের বুদ্ধির তারিফ করিলেন, তারপর কাছে গিয়া কাশিম গলাট পরিস্কার করিয়া সসঙ্কোচে জিজ্ঞাসা করিলেন-হুঁ্য ভুবন, আর ঐ খবরটা নিয়েছিলে কিছু ? ভুবন বলিলেন- নেব না কি রকম ? সে-ও ত এবাড়ি ওবাড়ি। ওটাও ভাল সম্বন্ধ। উনিশ আর বিশ। বরঞ্চ