পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/১৩৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S38 লাল লাল ফুলের কুঁড়ি দেখা দিয়াছে। গাঙের দিক হইতে আকাশে মেঘের কোলে কোলে এক ঝণক সাদা পার্থী উড়িম্বা যাইতেছে। যেন শ্বেতপদ্মের মালা ; সে মালা কখনো দীর্ঘ হইতেছে-কখনো আঁকিয়া বাকিয় তার কাটিয়া যাইতেছে। "ক্রমে সন্ধ্যা হইয়া আসিল । তখনে দুজনে বসিয়া আছে। সেদিন বাড়ি ফিরিয়া সকল কাজকৰ্ম্ম সারিয়া উমাপ্রাণী একেল তার জানালাটিতে বসিল। বাহিরে ছোট্ট উলুক্ষেতের উপর ঝাপসা ঝাপসা অন্ধকার । তাহারই সীমানা দিম৷ সারবন্দী টেলিগ্রাফ-পোষ্টগুলা। যেন রাত্রি জাগিয় তাহার সাস্ত্রীর মতো রেললাইন পাহারা দিয়া দাড়াইয়া আছে । উমার মনের উপর তন্দ্র চাপিয়া বসিল, বিয়ে যেন তার আজই। আলো জালিয়া বাজনা বাজাইয় বড় জাকজমক করিয়া ষ্টেশন হইতে বর তাদের বোধনতলায় আসিয়া দাড়াইয়াছে ; চীৎকার কোলাহলে কান পাতা যায় না। বিভা মল বাজাইয় ছুটিল বর দেখিতে। সে-ও ছুটিল। গুডুম করিয়া তার পিঠে বিভা দিল এক কিল । —যাচ্ছিস কোথা পোড়ারমুখী ? বসে থাক পিড়ির উপর। একদিনে লোভ মেটে নি ? শুভদৃষ্টি হয়ে যাক, তারপর দেখিস যত খুলী । অনেকক্ষণ ধরিয়া অনেক যুক্তি পরামর্শের পর ঠিক হইল, শুভকৰ্ম্ম কিছুতে ফেলিয়া রাখা যাইবে না ; যেমন করিয়া হোক ঐ এগারোই এক দিনে দুইটি সারিতে হইবে । জুজন চৌধুরী অনেক মুন্সিয়ানা করিয়া একখানা চিঠি লিখিলেন। পড়িয়া দেখিয়া সদগোপাল খুব খুশী হইলেন। কিন্তু নিশি রায় অবিচল। জবাব আসিল, জ্যৈষ্ঠের শেষাশেষি ছাড়া কোন ক্রমে বিয়ে হইবার ধো নাই । ঐযানের পরীক্ষার জন্য অস্ববিধা তেমন নয় ; দু-তিনটা দিনে এমন কি আর জাসিয়া যাইবে । আসল কথা, ওদিককার গোছ-গাছ সমস্ত হইয়া উঠিবে না। বাড়ির মধ্যে প্রথম ছেলে, অতএব-ইত্যাদি ইত্যাদি। - গুর্জনী ও যুদ্ধাঙ্গুলে":কাল্পনিক টাকা বাজাইয়া, ভুবন চৌধুরী কথাটা পরিষ্কার বরিয়া দিলেন। s লাগোপাল আরও কৰি উঠিলেন- এগারোই খুকীয় ఏరి83 বিয়ে আমি দেবোই। মুনীল কিছু জানে না ; সে অামার ভোলানাথ —সমস্ত ঐ বুড়োর কারসাজি । ইতিমধ্যে বৃত্তাস্ত শুনিয়া একদিন কেদার মিত্র মহাশয় স্বয়ং চলিয়া আদিলেন। উপযুপিরি শোক ও বিপদের অবধি নাই, কিন্তু সে সব সত্ত্বেও তিনি এক কথার মাস্থ্য ; ভদ্রলোকের উপকারার্থ ঐ এগারোই তারিখেই তিনি রাজী। মাথা নাড়িম্বা পরম গম্ভীরভাবে কেদার কহিলেন--নিশি রামুকে আমি জানি মশায়,—দু-এক হাজারের কৰ্ম্ম নয়। মিছে মিছি হয়রান হচ্ছেন। আমাকেও হয়রান করছেন । —দেখা যাক । সদয়গোপাল ও ভুবন চৌধুরী যাত্রা করিলেন । এবং মন্ত্রবলেই নিশি রায়ের গোছ-গাছের সমস্ত অসুবিধা দূর হইয়া গেল। আর কোন আপত্তি রহিল না। তারপর এক দিন গ্রামের মেয়েরা আনন্দ উংসব সারিয়া যে যার বাড়ি চলিয়া গিয়াছে, মৃদয়গোপাল ভুবনের বৈঠকখানায় নিবিষ্ট মনে ফর্দ করিতে বসিয়াছেন, সেই সময়ে উমরাণী চুরি করিয়া দ'দুর দেরাজ হইতে টাকার ছাপ-মারা চন্দন-মাখানো লগ্ন-পত্র টানিম্ন বাহির করিল। সঙ্গে সঙ্গে বাহির হইল, ষ্টাম্প-আঁটা আর একখানি কাগজ । এগারোই বৈশাখ পাশাপাশি দুই বাড়িতে পাল্প দিয়৷ রস্কনচৌকি বাজিতেছে। সায়গোপালের "র্তির আর অবধি নাই। সন্ধ্যার পর জ্যোংস্কার যেন প্লাবন বহিস্থা যাইতে লাগিল । ঘটিয়াছেও বেশ-দুইটা লগ্ন। উমারাণী বয়সে একটু বড়, তার বিয়ে প্রথম লগ্নে হইবে। শেষের লগ্নে বিভার। ভুবনই বিবেচনা করিয়া এই রকম ব্যবস্থা করিয়াছেন। বরাসন এক জায়গাতেই ; খাওয়া দাওয়া नमख३ ७कञ्च श्रय । `नकांब्र गांउँौड झझे बग्न मांगिाद । আলে। জালিয়া বাজনা. বাঙ্গাইয়ু সঞ্চলে ষ্টেশনে বর আনিতে গিয়াছে । -- সৰ্ব্বাঙ্গে অলঙ্কায় ঝলমল করিয় , উমরাণী বলিয়৷ DBS DD DBBD BBB BH BBDS DDD হাসিয়া স্থ জনে কি গল্প করিতেছে । এমমি সমঙ্গে কঠাৎ