পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/১৩৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

&=1*nef বাহির বাড়িতে আৰ্ত্তনাদ। সময়গোপাল ছুটিয়া আসিলেন । যেখানে তার বসিয়াছিল সেইখানে আসিয়া উমার চুলের মুঠি ধরিয়া পিড়ি হইতে মাটিতে ফেলিলেন । নিজেও আছড়াইয়া পড়িলেন। চীৎকার করিয়া উঠিলেন-হতভাগী— বিহ্বল উমারাণী ; বিভা কাদিয়া উঠিল। সদষ্মগোপাল আকাশ ফাটাইম চীৎকার করিতে লাগিলেন— হতভাগী, এত লোকে মরে তুই মরিস না কেন ? ঘেন্না করে না ? গলায় দড়ি দিগে যা, কুয়োয় ঝাপ দিয়ে পড়গে যা । য{—যা—বলিয়া সবলে তাহাকে ঠেলিমা দিলেন। বিভা আকুল হইয় প্রশ্ন করিতে লাগিল—কি হয়েছে দাছ, কি হয়েছে বলুন শিগগির – আর কথা নাই। বৃদ্ধের সম্বিং নাই। সেইখানে এলাইয়া পড়িয়াছেন। ভুবন চৌধুরীও ছুটিয়া আসিয়াছেন, আরও কে কে আসিয়াছে। বিভা ঝাপাইয়া বাপের কোলে পড়িয়া কাদিতে কঁাদিতে বলিল-কি হয়েছে ? ও বাবা, কি হয়েছে বল আমায়— ভুবন একবার উমারাণীর দিকে তাকাইলেন, পাষাণ প্রতিমার মতো স্থির নির্নিমেষভাবে সে বসিয়া আছে। বিভা বলিতে লাগিল—বলছ না কেন বাবা ? বলে, বলে, পায়ে পড়ি তোমার-- ভুবন বলিলেন -- মুনীল আসে নি। শুধু একলা 2 - একজনে প্রশ্ন করিল-গাড়ি ফেল করেছে ? —না গো । সৰ্ব্বনাশ করেছে । বিয়ের সওদা করতে নিজেই কলকাভা যায় । তারপর আর পাত্তা নেই। আজকে বাপের কাছে হঠাৎ এই টেলিগ্রাম। ওরা এনে দিল । টেলিগ্রামখানা সকলে পড়িল । ঘটনা সংক্ষিপ্ত। অবস্থগতিকে স্বনীলকুমার কলিকাতাতেই বিবাহ করিয়া বসিয়াছে। ঝোকের মাথায় একটা কথা দিয়া বসিয়াছিল বটে, কিন্তু সেই হইতে ভাবিতে ভাবিতে লৈ পাগল হইয়া উঠিয়াছে। বাবা যেন তাঁকে ক্ষমা করেন । এবং উপসংহারে বাপকে আশ্বাস দিছে, দু-এক দিনের মধ্যেই তার পুত্রবধুর भूसंक्र्थन परिक् । * ..., - লাগোপাল চেতনা পাইয়৷ জাৰ্ত্তনাদ ক্ষরিতে লাগিলেন— বর $24. আমার কি হবে ? ও বাবা ভুবন, কি উপায় হবে আমার r জাত গেল, মান ইজ্জত গেল। ঐ হতভাগী কালামুখী বাপ থেয়েছে, মা খেয়েছে, আমার জাতকুল খেলে, আমাকে থেয়ে ফেল্পে -- যুবকের দল তখন ক্ষেপিয়া উঠিয়া চেঁচামেচি শুরু করিয়াছে—বেইমান । আমরা ত তাকে দেখেছি ; ঠিক চিনব । গাড়ি পাহারা দেব—দেখি, বউ নিয়ে কবে যায়। হিড় হিড় করে নামিয়ে এনে অষ্টেপিষ্টে জুতো সদয়গোপাল উঠিয়া আলো ও লাঠি হাতে লইলেন। —কোথায় যান ? —কেদারের কাছে। তার দয়ার শরীর, সে কথা ফেলবে না। ভুবন চমকিয় বলিলেন—কেদার মিত্তির ? — ই বাবা । এক্ষুনি যাব । আজ রাত্রের মধ্যেই ঐ আপদ বিদায় করব । তোমরা কেউ যাবে সঙ্গে ? দু-একজন সঙ্গ লইল । আশ্চৰ্য্য, উমারাণীর চোখে জল নাই। ধীরে ধীরে সে-ও উঠিয় দাড়াইল । সেখানে তখন একেল মাত্র বিভা। সভয়ে সে জিজ্ঞাসা করিল—কোথা যাচ্ছিল ? উমারাণী সহজ কণ্ঠে বলিল—যাক্ট, একটু ঘুমিয়ে নি গে। কেদার মিত্তিরের খুব দয়, নিশ্চয় আসবেন। এলে উঠৰ তারপর আর একটি কথাও বলিল না, বিছানায় গিয়া পাশ ফিরিয়া সে শুইয়া পড়িল। বিভা ডাকাডাকি করিতে বলিল—ঘুমুই ভাই । তোরও লগ্ন একটু পরে। তুই যা। হয়ত চুপি চুপি কাদিয়া লজ্জ ও অপমানের ভার একটু লঘু করিবে। বিভী আর কিছু না বলিয়া উঠিল। তখন এ বাড়ী একেবারে নিস্তব্ধ, উৎসবের খাজনা কোলাহল সমস্ত থামিয়া গিয়াছে। এখানে ওখানে মুখোমুখি দু-চারি জন ফিসফিস করিয়া বোধ করি এইসব আলোচনাই করিতেছিল। টং টং করিয়া ঘড়ি বাজিয়া যাইতেছে,--নম, সাড়ে নয়, দশ... মিথ্যা কথা; মিখ্যা কথা ! কথাটা মনে করিয়া উমারাণীর