পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/১৭৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

bd: কলিকাতায় ইংরেজদের দৈনিক তিন খানা ছিল । এখন কমিম্বা এক খানায় ঠেকিয়াছে। ‘ইণ্ডিয়ান ডেলা নিউস্ অনেক বৎসর আগে উঠিয়া যায়। ইংলিশম্যান কয়েক বৎসর হইল সাপ্তাষ্টিকের আকার ধারণ করে । সম্প্রতি সাপ্তাহিক ইংলিশম্যানও ভারতের ভাবী স্বাধীনতার বিরুদ্ধে ‘বিদ্বেষcogs’ (hymn of hate ) coof: stifosi cosms করিয়াছে । দেশী কাগজের প্রতিযোগিতার প্রবলতার ইহ একটি প্রমাণ। কিন্তু এক দিকে যদিও ইংরেজ সাংবাদিককে ও সংবাদপত্রের স্বত্বাধিকারীকে হটিতে হইয়াছে, অল্প দিকে বঙ্গের বাহিরের সংবাদপত্র এবং সংবাদপত্রের স্বত্বাধিকারী কলিকাতায় নিজেদের স্থান করিয়া লইতেছে । উদ্যোগিতার দ্বার সর্বত্ব অবারিত থাকা ভাল। এলাহাবাদের কাগজখানার যেমন কলিকাতায় কাটতি হইতেছে, তেমনই মাজাজী স্বত্বাধিকারীর দৈনিক ইংরেজী কাগজও কলিকাতা হইতে বাহির হুইতেছে। বাঙালী স্বত্বাধিকারীর ইংরেজী দৈনিক বঙ্গের বাহিরে কোন জায়গায় নাই । বাঙালী সাংবাদিকদের দৃষ্টি আর একটা বিষয়ে পডিয়া থাকিবে । পাটনা হইতে ‘ইণ্ডিয়ান নেশুন’ নামক একখানি দৈনিক একবার বাহির হইয়া বন্ধ হয়। উহা আবার বাহির হইতেছে । উহার সম্পাদক লওয়া হইয়াছে বিহার, বাংলা ও উড়িষ্যা ডিঙাইয়া মাম্রাজ প্রেসিডেন্সী হইতে । আগ্রাঅযোধ্যা প্রদেশও নিকটতর ছিল । সেখান হইতেও লওয়া বা পাওয়া যায় নাই । এই সম্পাদকটির যোগ্যতা সম্বন্ধে কিছু বলিতেছি না-সে-বিষয়ে কিছু জানি না । বাঙালী সাংবাদিকদিগকে কেবল লক্ষ্য করিতে বলিতেছি, যে, আজকাল তাহাদিগকে লোকে চায় ন বা পুছে না। তাহার অঙ্কুমিত অন্যতম কারণ, তাহারা পরস্পরকে পুছেন না ; যেখানে কোন প্রতিযোগিতা নাই—প্রতিযোগিতার ক্ষেত্রই নাই, সে-স্কুলেও বাঙালী সংবাদপত্রপরিচালকদের অ-সহযোগিতা ও ঈর্ষার প্রমাণ পাওয়া যায়। কার্ধ্য উল্কারের জন্য অতিভদ্র, এমন কি খোসামোদকারী, কিন্তু অস্ত সময়ে নিজমূৰ্ত্তিধারী, এরূপ লোকও আছেন । ক্ষুদ্রতম কাগল্পও বৃহত্তম কাগজের বাস্তবিক সহযোগী। প্রজেক কাগজেই এমন কিছু থাকে, যাহা জ্ঞাতব্য এবং যাহা অল্প কাগজে পাওয়া যায় না । ২৫ প্রবাসী;* ఏవ)8) কলিকাতার স্বাস্থ্য বড় শহর মাত্রেরই স্বাস্থ্য ভাল রাখা অতিশয় কঠিন— বিশেষতঃ সেই রকম শহরের যেখানে স্থলপথে জলপথে আকাশপথে দেশবিদেশ হইতে নানা রকমের মানুষ ও অন্য জীব এবং বাণিজ্যদ্রব্য আসে, এবং তাহদের সঙ্গে নানা রোগবীজ আসে। কিন্তু রোগের আগমন এইরূপে হইতে পারে বলিম কোন শহরেরই অন্য সব স্থানের সহিত সম্পর্ক ত্যাগ করা চলে ন—সম্পর্ক ত্যাগ করা উচিতও নহে । যাহা করা যায় ও করা উচিত, তাহা নগরপালদিগের দ্বারা নগরের স্বাস্থ্যরক্ষার যথোচিত ব্যবস্থা এবং র্যাহারা স্বাস্থ্যতত্ত্ব বুঝেন তাহাদের দ্বার স্বাস্থ্যতত্ত্বের প্রচার। ইংরেজী সাপ্তাহিক কলিকাতা মিউনিসিপ্যান গেজেটের সাধারণসংখ্যাসমূহে শহরের স্বাস্থ্যসম্বন্ধীয় তথ এবং রোগের প্রতিষেধক উপায় ও রোগের প্রতিকার সম্বন্ধী প্রবন্ধাদি থাকে। তা ছাড সম্পাদক মধ্যে মধ্যে যে একটি স্বাস্থ্যসংখ্যা বাহির করেন, তাহাতে এরূপ জিনি প্রচুর থাকে। এই সংখ্যাগুলি, এবং বার্ষিক সংখ্যাগুলিরও পঠিতব্য জিনিষ, চিত্র ও মুদ্রণের উৎকর্ষে এইজাতী পত্রিকাসমূহের মধ্যে যে স্থানটি অধিকার করিম আছে তাহা অনন্যস্থলভ। সম্প্রতি যে যষ্ঠ স্বাস্থ্যসংখ্যা বাহির হইয়াছে, তাহ কলিকাতায় বর্তমান ঋতুতে প্রাকৃভূত রোগসমূহের ভয়ে ভীত লোকদের বিশেষ ভাবে স্রষ্টব্য। “ক্যালকাটা ক্লীকৃ” বিলাতে যেমন লগুনে রয়্যাল সোসাইটি আছে, ভারতবর্ষে সেই-রকম একটি বৈজ্ঞানিক সভা ( ইণ্ডিয়ান একাডেমি অব | সামেন্স ) প্রতিষ্ঠিত করিবার কথা অনেক দিন হুইল উঠিয়াছে। বিষয়টির সম্পূর্ণ বৃত্তান্ত ও জালোচনা গত মার্চ মাসের ‘মডার্ণ রিভিউ পত্রিকার একটি প্রবন্ধে আছে । তাহা মালিক কাগজের প্রবন্ধ এবং কলিকাতার মাসিক্ষের প্রবন্ধ ; মুক্তরাং কলিকাতার দৈনিক কাগজওয়ালায় অহা না-পড়িতে বাধ্য; এবং তাছার শিরোনামটা, মেৰিয়া থাকিলেও তাহার উলেগ না-করিতে বাধ্য"। (এই প্রবন্ধ হোলোলুলুর ক্ষোন কাগজে থাকিলে অবশ্য উদ্ধৃত হইতে পারিত ) সেই জন্ত যক্ষ দক্ষিণ-ভারত হইতে বৈজ্ঞানিক স্তর চজশেখর বেঙ্কট রাষনের