পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/১৮০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ՖՓԵ» রাজাদিগকে ও তাঁহাদের প্রতিনিধিদিগকে ফেডারেশুনে আন হইতেছে, ব্রিটিশ ভারতের স্বাঞ্জাতিকদিগকে সম্পূর্ণ হীনবল করিবার জঙ্ক । হীনবল করা হইবে নানা উপায়ে। একটা উপায়, ইউরোপীয়দিগকে অভ্যস্ত বেশী প্রতিনিধি দান,আর একটা উপায় দেশী রাজাদিগকে বেশী করিয়া প্রতিনিধি দান, তৃতীয় উপায় মুসলমানদিগকে বেশী প্রতিনিধি দান, এবং চতুর্থ উপায় হিন্দুদিগকে দ্বিখণ্ডিত করিয়া “সবর্ণ” হিন্দু ও “অবনত” হিন্দুদিগকে আলাদা আলাদা প্রতিনিধি দান । এ ছাড়া আরও অনেক উপায় আছে । তাহার আলোচনা গত দু-তিন বৎসরের প্রবাসীতে অনেক বার করিয়াছি। ৩। ফেডারেগুনের স্বীক্ষ ষা পরিকল্পনায় হিন্দুরা কি কি দেখিতেছেন ? - झम्लू বিপদ ইহা অনেক বার বলা হইয়াছে। ফেডার্যাল ব্যবস্থাপক .ே অংশে থাকিবে ২৫০টি আসন । মাত্র ১০৫টি “অবনত” হিন্দুসমেত সকল হিন্দুর পাইবে। বাকী ১৪৫টির অধিকাংশ মুসলমান, ལྡིར་བ་། কিরিজী, দেশী খ্ৰীষ্টিয়ান প্রভৃতির পাইবে, যাহারা অনুগ্রহীত বলিষ্মা গবষ্মেন্টের অনুগত। অর্থাৎ হিন্দুরা যদিও সংখ্যায় অন্য সকলের সমষ্টির বহুগুণ, তথাপি তাহাদিগকে সংখ্যালষিষ্ঠ সম্প্রদায়ে পরিণত করা হইবে । ইহাতেও সস্তুষ্ট না হইয় শ্বেতপত্ররচয়িতার সমগ্র ফেন্ডার্যাল ব্যবস্থাপক সভায় রাজাদের প্রতিনিধিদিগকে রাজ্যগুলির লোকসংখ্যাকুপাতে প্রাপ্য অপেক্ষা অনেক বেশী আসন দিতেছেন। তাহাতে হিন্দুদিগকে একেবারে নগণ্যত্বে পরিণত করা হইবে । ইহার উপর হিন্দুদের আরও বিপদ ঘটাইবার প্রয়োজন আছে কি ? ৪ । খদি কেন্ডায়াল পরিকল্পনা পরিত্যক্ত হয়, এবং যদি ব্রিটিশশাসিত প্রদেশগুলিতেই শাসনসংস্কার মঞ্জুর করা হয়, তাহ কি হিন্দুদের অনুমোদল পাইৰে P যাহাকে সরকারপক্ষীয় লোকেরা বলেন প্রভিনগুলি অটনমি অর্থাৎ প্রাদেশিক আত্মকর্তৃত্ব, ইহা যদি সেই চীজ হয়, তাহা হইলে বলি, ইহাতে ভারতীয়েরা সস্তুষ্ট হইবে না । তাহার কেন্দ্রীয় ভারত-গবন্মেণ্টেও “দায়িত্ব’ চাষ। অবশু নির্দিষ্ট দু-চার বৎসরের জন্ত খাছা ভারতবর্ষের হিভের জন্য আবশ্বক এরূপ কোন কোন বিষয় গবষ্মেন্টের হাতে রক্ষিত থাকিতে পারে। e । হিন্দুরা কি সাইমন কমিশনের সুপারিশগুলি পছন্দ করিযে, DB BB BB BBS BB B BB BBBDDD BBBD DDBBBB अश्वाग्रे श्रेष्व मा ? সাইমন কমিশনের সুপারিশগুলি প্রধান মন্ত্রীর সম্প্রদায়িক বাটোত্মারার চেয়ে জল বটে। কিন্তু তাহাতেও হিন্দুদের প্রতি সম্পূর্ণ ন্যায়বিচার করা হয় নাই। তাহ ছাড়িয়া দিলেও, হিন্দুরা ও অন্য স্বাজাতিক "ভারতীয়ের এমন একটি রাষ্ট্রীয় পৰিলা বাহাতে ८कटौब बांब्रिज्र थॉक्रिब, ५ष९ पाइ প্রবাসী ... " ఏరి83 কয়েক বৎসরের মধ্যে আপন! আপনিই, অর্থাৎ ত্রিটিশ জাতির বা পালেমেন্টের পুনর্বিচার ব্যতিরেকে, ভারতবর্ষকে পূর্ণ স্বশাসনে, অন্তত: ডোমনিয়নৰে, উপনীত করিবে । আমরা উপরে যে প্রশ্নাবলী দিলাম, দেখা যাইতেছে, যে, তাহা হিন্দুদের জন্য। অন্য লোকদিগকে কিরূপ প্রশ্ন করা হইয়াছে জানি না। ভিন্ন ভিন্ন লোকসমষ্টিকে আলাদা আলাদা প্রশ্ন করা হইয়া থাকিলে, তাহার মধ্যেও ভেদনীতি বিদ্যমান মনে করা যাইতে পারে ; দেশী রাজাদিগকে ঋণদান দেশী রাজার বলেন, তাহাদের সম্পর্ক সাক্ষাৎভাবে ব্রিটিশ নৃপতির সহিত, তাহারা তাহারই ভক্ত। ভারতগবন্মেন্টের কাজে, অর্থাৎ ভারতীয় ব্যবস্থাপক সভায়, তাহদের স্বদেশী লোকদের সামান্য একটু ক্ষমতা আছে বলিয় তাহারা ঐ সভায় তাহাদের রাজ্যের বা তাহাদের কোন কিছুর আলোচনা বরদাস্ত করিবেন না । কিন্তু ধার চাহিবার বেলা তাহারা ব্রিটিশ নৃপতির বা ব্রিটিশ পালেমেন্টের কাছে হাত পাতিতে পারেন না ; হাত পাতেন ভারত-গবন্মেন্টের কাছে এবং ভারত-গবন্মেণ্টকে ঋণের আবেদন ভারতীয় ব্যবস্থাপক সভায় উপস্থিত করিতে হয় । ইহাতে মহামহিম রাজা মহাশয়দের আত্মসম্মানে আঘাত লাগে না । এরূপ ঋণ দেওয়া অত্যন্ত অন্যায়। ঋণ আদায় হইবে কিনা তাহার কোন স্থিরতা নাই। বাহাওঅলপুরের নবাবের কাছে পাওনা কয়েক কোটি টাকা খুব সম্ভব পাওয়৷ যাইবে না । তার পর, এই যে ঋণ দেওয়া হয়, ইহা উদ্বৃত্ত টাকা হইতে নয়। ভারতীয় বজেটে ঘাটতি লাগিয়াই আছে। ঘাটুতি পুরণের জন্য ব্রিটিশ ভারতের গরীব লোকদের উপর ট্যাক্স বসাইম টাকা আদায় করা হয় । এইরূপে সংগৃহীত টাকা হইতে বহু লক্ষ, কখন কখন বহু কোটি টাকা অমিতব্যয়ী স্বেচ্ছাচারী সেই সব রাজাকে দেওয়া হয়, যাহাদের প্রজাদের উপর ব্যবহার সম্বন্ধে ব্রিটিশ ভারতের ট্যাক্সদাতাদের কিছুই বলিবার অধিকার নাই । নারীদের উপর অত্যাচার ১৯৩২-৩৩ সালের বাংলা দেশের যে সরকারী শাসনবৃত্তাস্ত সম্প্রতি বাহির হইয়াছে, তাহাতে নারীদের উপর অত্যাচারমূলক অপরাধ সম্বন্ধে একটি অস্থচ্ছেদ আছে। তাহাতে বলা হইতেছে, যে, এইরূপ অপরাধ বাড়িয়া চলিতেছে, এই বেসরকারী ধারণাটা ঠিক নয়। শাসনৰুজ্ঞান্ডে অপরাধের যে সংখ্যাগুলি দেওয়া হইয়াছে, তাহার নিকুর্গত। পরীক্ষা করিবার উপায় মাই। কিন্তু সেগুলি নিতুল বলিয়৷