পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/১৮২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

| 33ుడా - "প্রবাসী; ఏనD8వ বেকারদের জন্য বিলাতী ব্যয় আমাদের দেশে কর্তৃপক্ষ বেকারসমস্ত বিষয়ে বক্তৃত৷ করেন, তাও খুব বেশী বার নয়, এবং বড়লাট পৰ্য্যস্ত, “মহাতেঙ্গা” ( "high-spirited" ) যুবকেরা বেকার থাকায় বিপজ্জনক বিপথে যায়, তাহার জন্য দুঃখও করিয়াছেন। কিন্তু কাৰ্য্যতঃ এই অবস্থার প্রতিকারের জন্য প্রধানতঃ ঋপ্তিরই ব্যবস্থ৷ ইয়ছে। বিলাতী ব্যবস্থা অন্য প্রকার। ভূতপূৰ্ব্ব প্রধান মন্ত্ৰী মিঃ লয়েড জঙ্গ’ সম্প্রতি একটি বক্তৃতায় বলিয়াছেন, যে, ১৯২- সাল হইতে এ-পর্য্যস্ত জলস বেকারদিগকে ভিক্ষ দিবীর নিমিত্ত ব্রিটেন ১১০,০ •,• •,• • • এক শত দশ কোটি পাউণ্ড খরচ করিষ্কাছে। তাহ মোটামুটি ১৪৬৭ (চৌদ্ধ শত সাতষট্টি ) কোটি টাকার সমান। তিনি মনে করেন, এই টাকাটা ভিক্ষা দেওয়ায় বেকারদের কেবল নৈতিক অবনতি হইয়াছে। কিন্তু এই ব্যয় না করিলে খুব অসন্তোষ হইভ, হয়ত বিপ্লব ঘটিত। তিনি মনে করেন, কোন জনহিতকর সাৰ্ব্বজনিক পূৰ্ব বা অন্য কাজে ইহা ব্যয় করিস্থা সেই কাজে বেকারগিকে লগাই দিলে স্বফল হইত। তাহ সত্য কথা। ভারতবর্ষে কিন্তু এরূপ কোনপ্রকার ব্যবস্থাই হয় নাই, ঘদিও এদেশে বেকারের সংখ্যা ব্রিটেনের চেয়ে ঢের বেশী। আমাদের ক্ষমর্তা-খণমিল্প—আমরা কয়েক কোটি টাকা সরকারী ঋণ করিয়া তাহার স্বদ হইতে বঙ্গের সর্বত্র বিদ্যালয় চালাইতাম এবং তাহাতে সমুদয় বেকার যোগ্য শিক্ষিত যুবককে শিক্ষক নিযুক্ত করিতাম। উত্তর-পশ্চিম সীমাস্তে সামান্ত একএকটা অভিযানের জন্ত ২-২৫৩০ কোটি ঋণ বাড়িয়া স্থায় । তাহা শোধও হয়। শিক্ষার জন্য ঋ৭ তাছার চেয়ে কম হুইত এবং তাহ শোধও হইত। কিছু শিক্ষাকে সরকার অবশু প্রয়োজনীয় মনে করেন না। চাটর্জি মুখার্জি বানার্জি বাংলা দেশে কে বে প্রথমে ইংরেজীতে চাটার্জি মুখাঞ্জি বানার্জি ইত্যাদি পদবী লিখিতে আরম্ভ করেন, জানি না। তাহার প্রতি একটুও ক্লভজ্ঞতা অহম্ভব করিতেছি না । আবি নিজেও কুক্ষণে ছেলেবেল ইংরেজীতে চ্যাটেজি লিখিতে জারগু করিয়াছিলাম, তাহা এখনও চালাইতে হইতেছে। কিন্তু তা বাগয় বাংলায় চাটাজি মুখার্জি ইত্যাদি অস্য। চাটুজো, মুখুঙ্গো, প্রভৃতি কি দোষ করিল ? এগুলি লিপিতে বেণী জায়গা লাগে না, বেশী অক্ষরও লাগে না। বাংলা বক্তৃতায় ও খবরের কাগজে আর এক উপদ্রব দেপিতে পাই। পণ্ডিত মদনমোহন মালৰী মালব্য নহেন। তিনি নিজেও লেগেন মালবীন্থ। অথচ বাঙালীরা উহাকে ‘মালবা’ না করিয়া ছাড়িবেন না। গোখলেকে গোথেল, নটরাজনকে নটরঞ্জন, নটেশনকে নেটসন, রামকে রমণ অনেকেই করেন । নামগুলির প্রতি তাহদের একটু দম্ব থাকা অবিশুক ।