পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/১৮৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুষ্কোটি জীবিধুশেখর ভট্টাচাৰ্য্য বৌদ্ধ ধর্শ্বে প্রধানত দুইটি মধ্য ম পথে র কথা দেখা যায়। নিৰ্ব্বাণলাভের জন্য যে, অষ্ট-অঙ্গযুক্ত পথের ("আষ্টাঙ্গিক মার্গ) কথা বগা হইয়াছে, ইহা প্রখম মধ্য ম পথ ; কারণ এক দিকে বিষয়সম্ভোগে অত্যন্ত আসক্তি, এই এক জ ন্ত বা কোটি ; আর অন্য দিকে শরীরকে নিতান্ত ক্লেশ দিয়া তপস্যা করা, এই অপর অস্ত বা কোটি ; এই উভয়কেই পরিত্যাগ করিয়৷ ইহাদের মধ্য অবলম্বন করিয়া ঐ পথের নির্দেশ করা হইয়াছে। দ্বিতীয় মধ্য ম পথে পরস্পরবিরুদ্ধ কতকগুলি মত পরিহার করিম তাহাদের মধ্য অবলম্বন করিম্ব চলিবার কথা আছে। ঐ পরস্পরবিরুদ্ধ মতগুলি এইরূপ —অস্তি, নাস্তি ; নিত্য, অনিত্য; মুখ, দুঃখ ; আত্মা, অনাত্মা ; শূন্ত, অশূন্ত ; ইত্যাদি। এই দ্বিতীয় মধ্য ম পথে র সম্বন্ধে না গা ৰ্জ্জু ন নিজের মূ ল মধ্য মক কা রিকা স্ন ( ১৫.৭ ) বলিয়াছেন – “কাত্যারনাববাদেচ অস্তি নান্তীতি চোতরম্ । প্রতিষিদ্ধং ভগবত ভাবাভাকবিভাবিন ॥” “যিনি ভাব ও অভাব উভয়কেই ভাল করিয়া ভাবিয়া দেখিয়াছেন সেই ভগবান কা ত্যা স্ন না ব বা দ ( সু ত্রে ) আছে’ ও ‘নাই’ এই উভয়কেই নিষেধ করিয়াছেন।" না গা জুনে র এই কথার মূল কাশ্য পপ রি বর্ভে (Staël Halstein-Hays, §e». RB-5 §§es-e» ) এইরূপ দেখা যায় – “অন্তীতি কাশ্বাপ অল্পমেকোহন্তঃ, নান্তীত্যয়ং দ্বিতীয়োহস্তং । যদনয়োখয়োরস্তুরোমর্শ্যম্ ইয়মুচ্যতে কাষ্ঠপ মধ্যম প্রতিপদ ভূতপ্রত্যবেক্ষ ” "হে কা শু প, ‘আছে’ এই এক অস্ত, আর “নাই” এই দ্বিতীয় অস্ত। যাহ। এই উভয় অস্তের মধ্য, তাহাকেই মধ্য ম পথ বলা হয়, ইহা দ্বারা পরমার্থের প্রত্যবেক্ষণ হয়।” এই কথাটি পালিতেও (সং যুক্ত নি কা , PTS, ২. ১৭ ) পাওয়া যায় – SBBD DBB B D BH DD BB BBBS BBB BBB DD স্থতিয়ে ক্ষন্তে । তথাগতে ধৰ্ম্মং দেসেতি ।” “হে কী ত্যা য়ন, সমস্ত আছে এই এক অস্ত, সমস্ত নাই’ এতে তে কচ্চায়ন উভে জন্তে অনুপগম্ম মৰিয়মেন - “ এই দ্বিতীয় অস্ত। হে কা ত্যা স্ব ন, এই উভয় জতেই গমন না করিয়া ত থাগ ত মধ্য দ্বারা ধৰ্ম্ম দেশনা করেন।” না গা জুনি যে মত প্রচার করিয়াছেন তাহা এই দ্বিতীয় মধ্য ম পথে প্রতিষ্ঠিত বলিম্বা তাহার নাম হইয়াছে মধ্য ম ক ; এবং এই মত অনুসরণ করিয়া চলেন বলিয়া তাহার অনুগামিগণ মা ধ্য মি ক । মা ধ বা চা র্য্য নিজের সব দর্শন সং গ্র হে লিখিয়াছেন যে, না গা জুনে র অমুগামিবর্গের প্রজ্ঞা মধ্যম রকমের ছিল বলিমা তাহদের নাম হইয়াছে মা ধ্য মি ক। বলাই বাহুল্য, এ ব্যাখ্যা নিতান্ত কল্পিত । না গা জুনি পূৰ্ব্বোক্ত এই দুইটি অস্তের সম্বন্ধে বলিয়াছেন ( মূল মধ্য ম ক ক রি ক, ৫. ৮ ) :– “অস্তিত্বং যে তু পশুপ্তি নাস্তিত্বং চান্সৰুজ । তাখানাং তে ন পশুস্তি দ্রষ্টব্যোপশমং শিবম্ ॥" যাহার। বস্তুসমূহের অস্তিত্ব ও নাস্তিত্ব দর্শন করে, তাহাদের বুদ্ধি অল্প, তাহারা বস্তুসমূহের দর্শনীয় যে উপশম । নিবৃত্তি ), যাহা শিব, তাহ দর্শন করিতে পারে না ।" জ্ঞান সা র স মুচ্চ স্ত্র নামে একখানি ক্ষুদ্র পুস্তক আছে। ইহার মূল সংস্কৃত এখনও পাওয়া যায় নাই। তিব্বতী ভাষায় ইহার একথানি অতুবাদ অাছে ( ত ফু র, মৃদো, চ. ; Cordier, III. p. 267 ) । ইহাতে তাহার নাম যে, যে স্, সঞিঙ, পো, কু ন ল স. ব তু স প। ইহা অা ধ্য দে বের রচনা বর্ণিমা উক্ত হইয়াছে। ইহার ২৮শ শ্লোকটি বহু বৌদ্ধ ও অবৌদ্ধ সংস্কৃত গ্রন্থে উদ্ধৃত হইয়াছে। শ্লোকটি এই – “ন সৰু নাসন্ ন সদসলু ন চাপ্যযুভয়াত্মকম্। চতুষ্কোটিবিনিমুক্তং তত্ত্বং মাধ্যমিক ধিন্থঃ ” “মাধ্যমিকের জানেন যে, তত্ত্ব হইতেছে চতুষ্কোটি-বর্জিত, সেই চারিটি কোটি এই—( ) সং নহে, (২) অসৎ নহে, (৩) সৎ ও অসৎ এই উভয় নহে, এবং ( a ) সং নহে ও অসং নহে এই উভয়ও নহে ১ ১ । এখানে মা ও ফ্য কারি কর (৪৮৩) নিম্নলিখিত পঙক্তিটি তুলনীয়— “অস্তি নাব্যক্তিমাষ্ঠীত নাস্তি মাষ্ট্ৰীতি বা পুনঃ ”