পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/১৯৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S१३ * - so - رہت9۔د リタ* এসে গেল। এই বঁাশের ঘেরাট হবে যেন আমার স্ত্রী, আমি যেন চাকরি করে বাড়ি আসূচি, হাতে অনেক জিনিষপত্র । ঘরে যেন সবে ঢুকেছি, এমন ভাব ক'রে বললাম—“ওগো কই, কোথায় গেলে, ফুলকপিগুলো নামিয়ে নাও না 7 ছেলেটার জর আজি কেমন আছে ?” মেয়েরা সব হেসে এ ওর গায়ে গড়িয়ে পড়ল । আমার উৎসাহ গেল আরও বেড়ে । আমি বিরক্তির স্বরে বললাম—“আঃ, ঐ তো তোমার দোষ ! কুইনিন দেওয়৷ আজ খুব উচিত ছিল। তোমার দোযেই ওর অমুখ যাচ্ছে না। খেতে দিয়েছ কি ?” আমার স্ত্রী অপ্রতিভ হয়ে খুব নরম স্বরে কি একটা জবাব দিভেষ্ট রাগ পড়ে গেল আমার । বললাম—“ওই পুটুলিট খোলে, তোমার এক জোড়া কাপড় আছে আর একটা তরল আলতা—” মেয়েরা আবার খিল খিল করে হেসে উঠল। বীরুর ছোটবৌদিদি মুখে কাপড় গুজে হাসতে লাগল। আমি বললাম—“ইয়ে করে, আগে হাতপা ধোমার জল দিয়ে একটু চায়ের জল চড়াও দিকি ? সেই কখন ট্রেনে উঠেচি–ঝ াকুনির চোটে আর এই দু-কোশ হেঁটে খিদে পেয়ে গিয়েচে—আর এই সঙ্গে একটু হালুয়া—কাগজের ঠোঙা খুলে দেখ কিসমিস এনেচি কিনে, বেশ ভাল কাবুলী—“ বীরুর কাকীমা তো ডাক ছেড়ে হেসে উঠলেন। বীরুর মা বললেন—“ছোড়া পাগল ! কেমন সব বলচে দেখ, মাগো মা উঃ—আর হেসে পারিনে ...” বীরুর ছোটবৌদিদির দম বন্ধ হয়ে যাবে বোধ হম হাসতে হাস্তে। বললে—“উঃ মা, আমি যাবো কোথায় । ওর মনে মনে ওই সব সখ আছে, ওর ইচ্ছে ওর বিয়ে হয়, বেী নিয়ে অমূনি সংসার করে—উ, মা রে ।” সন্ধ্যা উত্তীর্ণ হয়ে গেছে। আমি রান্নাঘরে বসে স্ত্রীর সঙ্গে গল্প করচি। রান্না এখনও শেষ হয়নি। আমি বললাম— “চিংড়ি মাছটা কেমন দেখলে, খুব পচেনি তো ? কালিয়াটায় ঝাল একটু বেশ করে দিও।” বীক্ষর কাকীমা বললেন, “হ্যা রে, তুই কি কেবলই খাওয়দাওয়ার কথা বলবি বেয়ের সঙ্গে ?” কিন্তু আমি আর কি ধরণের কথা বলব খুজে পাইনে । ভাবলাম খানিকক্ষণ, আর কি কথা বলা উচিত ? আমি এই ধরণের কথাই সকলকে বলতে শুনেচি স্ত্রীর কাছে । ভেবে ভেবে বললাম, “খুকীর জন্যে জামাটা আনবো, কাল ওর গায়ের মাপ দিও তো ? অার জিগ্যেস কোরো কি রং ওর পছন্দ-না, না—এখন আর ঘুম ভাঙিয়ে জিগ্যেস করবার দরকার নেই, ছেলেমানুষ ঘুমুচ্ছে, থাক্ । কাল সকলেই—খুব গম্ভীর মুখে এ-কথা বলতেই মেয়ের আবার হেসে উঠল দেখে আমি ভারি খুশী হয়ে উঠলাম। আরও বাহাদুরী নেবার ইচ্ছায় উৎসাহের স্বরে বললাম** “আমি নেপালী নাচ জানি—চা-বাগানে নাচতো আমি দেখে দেখে শিখেচি ।” মেয়েরা সবাই বলে উঠলে, “তাও জানিস না কি ? বারে, তা তো তুই বলিসনি কোনো দিন ? দেখি— দেখি—” “কিন্তু আর একজন লোক দরকার যে ? আমার সঙ্গে আর কে আসবে ? সীতা থাকৃলে ভাল হ’ত । সেও জানে। আপনাদের বীণ। কোথায় গেল ? সে হ’লেও श्रुघ्। יין এ-কথায় মেয়ের কেন যে এত হেসে উঠল হঠাৎ, তা আমি বুঝতে পারলাম না। বীণা বীরুর মেজবোন, অামার চেয়ে কিছু ছোট, দেখতে বেশ ভাল। সে ওখানে ছিল না তখন—এক একা নেপালী নাচ হয় না বলে বেশী বাহাদুরীট আমার আর নেওয়া হয়নি সে-দিন । সীতার বইপড়ার ব্যাপার নিয়ে জ্যাঠাইমা সকল সময় সীতাকে মুখ নাড়া দেন। সীতা যে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন ফিটফাট থাকৃতে ভালবাসে, এটাও জ্যাঠাইমা বা কাকীমার দেখতে পারেন না। সীতা চিরকাল ওই রকম থেকে এসেচে চা-বাগানে—একটি মাত্র মেয়ে, মা তাকে সব সময় সাজিয়েগুজিয়ে রাখতে ভালবাসতেন, কতকট আবার গড়ে উঠেছিল মিস নর্টনের দরুণ। মিস্ নর্টন মাকে পড়াতে এসে নিজের হাতে সীতার চুল আঁচড়ে দিত, চুলে লাল ফিতে বেঁধে দিত, হাত ও মুখ পরিষ্কার রাখতে শেখাত। এখানে এসে সীতার ছুথানার বেণী তিনখানা কাপড় জোটেনি কোনো সময়-জাম তো নেই-ই—( জ্যাঠাইম বলেন, মেয়েমানুষের আবার জামা গায়ে কিসের ? ) কিন্তু ওরই মধ্যে গীত ফরসা কাপড়খানি পরে থাকে, চুলটি টান টান করে বেঁধে পেছনে গোল খোপা বেঁধে বেড়ায়, কপালে টিপ পরে— এ-গায়ের এক পাল অসভ্য অপরিস্কার ছেলেমেয়ের মধ্যে