পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/২০০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

›ማs ఏ98ు বৰ্ত্তমান জন্মে রমণীয় কৰ্ম্মের আচরণ স্বারা শুভাকুশল্প হওয়ায় জীব পরজন্মে ব্রাহ্মণাদি রমণীয় যোনিতে জন্মলাভ করিবে এবং জুগুন্সিত কৰ্ম্মের আচরণদ্বারা অশুভান্থশয় হইয়া অঙ্গাদি জুগুক্সিত ধোনিতে জন্মলাভ করিবে । উপনিষদের রচনাকাল মোটামুটি ভাবে বুদ্ধদেবের জন্মের অনূ্যন তিন চারি শত বৎসর পূৰ্ব্বে ধরিয়া লইলে শাস্ত্রের মর্য্যাদা নষ্ট হইবে এরূপ বিবেচিত হয় না । বুদ্ধদেবের ধৰ্ম্মপ্রচারের পরবর্তী সময়ে রচিত কোন কোন উপনিষদে এবং ধৰ্ম্মশাস্ত্র, স্মৃতি-সংহিত ও পুরাণাদিতে দেখা যায় যে, তৎ-তং সময়ে পুনর্জন্মবাদ ও জন্মাস্তরে দেহান্তরপ্রাপ্তিবাদ সমগ্রভাবে ভারতবাসিগণের স্বীকৃত বিশ্বাস হইয়৷ উঠিয়াছিল। এই বিষয়ে কাহারও কোনরূপ সন্দেহের কারণ নাই। কিন্তু জীবের এই সংস্থতি বা সংসার কি কেবল দুই একবার মাত্রই ঘটে, অথবা ইহা অনন্তকালস্থায়ী—এইরূপ প্রশ্নও উত্থিত হইতে পারে। দেখা যায় যে, বুদ্ধদেবের পূৰ্ব্বে জীবের পুনঃ পুনঃ সংস্কৃতির কল্পনাটি ধৰ্ম্মযুক্তিধারাতে ততটা প্রকৃষ্ট স্থান লাভ করিতে পারে নাই। এমনও মনে করা অসঙ্গত হয় না যে, বুদ্ধদেবের ধৰ্ম্মবিশ্বাসে ও তৎকর্তৃক ধৰ্ম্মপ্রচারেই পুনর্জন্মের অনন্ত প্রবাহের কল্পনা প্রথমত: ভারতবর্ষে এতটা পরিষ্কার ভাবে ফুটিম উঠিম্নাছিল। পুনর্জন্মের অনস্ত চক্রের ধারণা বুদ্ধদেবের পূর্ববৰ্ত্তী কোন ঋষি বা ধৰ্ম্মাচাৰ্য্য প্রকাশ করিয়া জনসাধারণের মধ্যে প্রচার করিয়াছিলেন – তদ্বিষয়েও পরিষ্কার প্রমাণ পাওয়া কঠিন। বৌদ্ধগণের দৃঢ় বিশ্বাস এই ছিল যে, মোক্ষ ব। নির্বাণের পূর্ব পর্য্যন্ত জীব বা পুর্গলের জন্মচক্র প্রবৰ্ত্তিত হইতে থাকে । এক একটা জন্ম পাপপুণ্য কৰ্ম্মে ভোগের শেষ না হওয়া পৰ্য্যস্ত চলিতে থাকে জন্মের অবধি হইল জীবের কৰ্ম্মক্ষয় । ভোগের ক্ষয়ে জীবের তৎ-তৎ-জন্ম শেষ হইলে পূৰ্ব্বকৃত অম্লান্ত কৰ্ম্মের সঞ্চিত ফলে পুনর্জন্ম হইতে থাকে । ব্রাহ্মণ্যধৰ্ম্মাবলম্বী ব্যক্তি এই স্থলে গীতার প্রসিদ্ধ বাক্য স্মরণ করিয়া শ্ৰীকৃষ্ণের সঙ্গে সঙ্গে বলিবেন—“বহুনি মে ব্যতীতানি জম্মানি ভব চাৰ্জ্জুন" ( হে অৰ্জুন, আমার ও তোমার, উভহ্মেরই, বহু বহু জন্ম অতীত হইয়া গিয়াছে ), কিন্তু, “তাগুহং বেদ সৰ্ব্বানি ন ত্বং বেখ পরষ্টপ” ( আমি ইহার সবগুলির বিষয় অবগত আছি, জার হে পরস্তুপ, সেগুলিকে তুমি বুঝিতে পার না ) । কি হিন্দুশাস্ত্রে, কি বৌদ্ধশাস্ত্রে কৰ্ম্মকে মানসিক, বাচিক ও কায়িক ভেদে তিন প্রকারে কল্পনা করা হইয়াছে। এই ভিন প্রকার কৰ্ম্মের শুভাশুভ ফলেই মামুষের মতুষ্যতিযাগাদিভাবে উত্তম, মধ্যম বা অধম জন্মাস্তর ঘটিয় থাকে। হিন্দু মনে করেন যে, অগ্নি হইতে ফুলিঙ্গের স্বায়ু পরমাত্মার রূপ হইতে অসংখ্য মূৰ্ত্তি লিঙ্গশরীরবিচ্ছিন্ন হই। নির্গত হইয়াই যেন জীবরূপে সৰ্ব্বভূতকে কৰ্ম্মে প্রেরিত করিতেছেন । ধৰ্ম্মাধৰ্ম্ম কৰ্ম্মের আচরণজনিত স্বৰ্গনরকাদিভোগের কল্পনাও মামুষের ধৰ্ম্মশিক্ষার জন্য একটি উপাদে্যু উপায় । অন্যভাবে শাস্ত্রকারগণ কৰ্ম্মকে দুই ভাগে বিভক্ত করিয়াছেন—স্বৰ্গাদিমুখপ্রাপ্তিকর সংসরণের প্রবৃত্তি জন্মাইয় দেয় বলিয়া কোন কোন কৰ্ম্ম ( যথা—যজ্ঞ, উপাসন প্রভৃতি । *প্রবৃত্তাখ্য' কৰ্ম্ম ( বা ‘মুখাৰ্ভু্যদায়িক ) এবং কোন কোন কৰ্ম্ম ( যথা, তপোবিদ্যা প্রভৃতি ) জীবের সংসরণ নিবৃত্ত করিতে পারে বলিয়া নিবৃত্তাখ্য' কৰ্ম্ম (বা "নৈঃশ্রেমসিক' বলিয়া অভিহিত হইয়া থাকে । কিন্তু “জ্ঞানাগ্নিদগ্ধকৰ্ম্মা’ না হইতে পারিলে জীবের পক্ষে পরমপুরুষাৰ্থ বা মোক্ষলাভের অধিকারী হওয়ার জন্য উপায় হিন্দুশাস্ত্রে কীৰ্ত্তিত হয় নাই । ব্ৰহ্মজ্ঞানী কৰ্ম্মজ দোষকে দহন করিয়! এই লোকেই ব্ৰহ্মত্ব লাভ করিতে সমর্থ হয় । অগ্নি সংবৰ্দ্ধিত হইলে আৰ্দ্ৰ কাষ্ঠ৪ দহন করিতে সমর্থ হয় না কি ? যিনি পরমাত্মার সাক্ষাৎকার লাভ করিতে সমর্থ হন, তিনিই ধৰ্ম্মাধৰ্ম্ম কৰ্ম্মের অতীত হইতে পারেন । কৰ্ম্ম-সম্বন্ধে আরও এক প্রশ্ন এইরূপ উখিত হয়, জীব বা পুগেলের কৰ্ম্মে প্রেরণা উৎপাদন করিয়া দেন কে ? হিন্দু তৎক্ষণাৎ উত্তর করিবেন-- “এষ হোব সাধু কৰ্ম্ম কারমৃতি যমুৰ্দ্ধং নিনীষতি এ হোরাসাধু কৰ্ম্ম কারয়তি যমধো নিনীষতি”— আত্মাই ক্ষেত্রজ্ঞাদিতে কৰ্ম্মসাধনের প্রেরণ উৎপাদন করিয়া দেন । তাই ইহা সকলেরই অনুভূত হইতেছে যে, কৰ্ম্মহেতুক পুনর্জন্ম ও জন্মান্তরপ্রবাহ স্বীকার না করিলে পরমাত্মার উপর বিষমশ্বষ্টির দোষ ও নিষ্ঠুরত্ব আরোপ করিতে হয়। কিন্তু, পরমাত্মা সাধারণভাবে জীবের কৰ্ম্মাম্বরূপ স্বষ্টির বিধান করেন মাত্র ; বৈষম্য কেবল জীবের কৰ্ম্মজনিত ঘটনা। বিখমশ্বষ্টির এই ব্যাখ্য। কৰ্ম্মবাদ স্বীকার দ্বারাই স্বসাধিত হয় । পঞ্জগুদেবব্রীহিযবাদিশ্বষ্টিতে সাধারণ