পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/২০৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জ্যৈষ্ঠ তিনি যে কটি মূৰ্ত্তি নিৰ্ম্মাণ করিয়াছেন তাহ দেখিয়৷ মনে হয় তিনি যদি চিত্র কর না হইয়া ভাস্কর হইতেন তবে একজন শ্রেষ্ঠ ভাস্কর বলিয়া পরিচিত হইতেন । গণেশ, নটীর পূজা প্রভৃতি মূৰ্ত্তিতে র্তার মুৰ্ত্তি-নিৰ্ম্মাণের পরিচয় পাওয়া যায় । তার তুলির টানে যে লিপিকুশলতা বা ক্যালিগ্রাফির পরিচয়, মূৰ্ত্তি নিৰ্ম্মাণেও সে-রকম, আঙুলের টানে গঠনের ( moulding ) offăB* •itsgi qtq ! প্রাচীন কালের চিত্রকররা, আমাদের দেশেই হউক বা ইউরোপেই হউক, শুধু চিত্রকর ছিলেন না । তাহার কারিগরও, ছিলেন ; তাহার ছিলেন—এনগ্রেভার, স্বর্ণকার, ভাস্কর, স্থপতি ইত্যাদি । বর্তমানে জগতের শিল্পীদেরও বেদক বোধ হয় এদিকে ; শিল্পীর পরিকল্পনাকে নানা কারুকৰ্ম্মে প্রকাশ করা বাংলার নয় শিল্পীদের যে আজকাল নান - কারুশিল্পে মনোনিবেশ করিতে দেখা যায়, তার আরম্ভ নন্দলাল হইতে । বাংলার এই নয়া শিল্পীদের গোড়াপত্তন করিয়াছেন অবনীন্দ্রনাথ ত্রিশ বৎসর পূৰ্ব্বে । অবনীন্দ্রনাথ গোড়ার দিকে লিথিয়াছিলেন “ভারতীয় শিল্প” । তার ভিতর একটা রক্ষণশীলতার ভাব লক্ষ্য করা যায়। তখন হয়ত এরূপ গ্রন্থের প্রয়োজন ছিল—নমা পদ্ধতিকে প্রকাশের জন্ত । এখন “ইণ্ডিয়ান আর্ট” এই নামের আওতায় অনেক আগাছা জন্মিতেছে। যেসব চিত্র বাহির হইতেছে, তাহার ভিতর ন+আছে মৌলিকত, না-আছে রেখা বা বর্ণের সৌন্দর্য্য। তাহার ভিতর কোনো অনুশীলন নাই , অমুসন্ধিৎসা নাই, পৰ্য্যবেক্ষণ নাই—আছে কেবল ম্যান্যারিজ ম্ বা মুদ্রাদোষ । যে-সব বিষয় লইয়া চিত্র রচনা কয়। হুম, আমাদেয় প্রাত্যহিক জীবন ও চারি দিকের আবেষ্টনের সঙ্গে তাহার কোনো সম্বন্ধ নাই । কল্পনার অসংযত দৌড় তাহাতে খুব বেশী। বর্তমানের অনেক চিত্র বেশী দুর্বল হইব পড়িয়াছে। শক্তি কোথায় মিলিৰে ? প্রকৃতির প্তিভরে শক্তি মিলিবে... শিল্পী প্রকৃতির ক্রোড়ে ফিরিয়া গেলেই নবজীবন ও সবচেতন লাভ করিবে । এই ষে প্রকৃতির 敬醫~8 জাচাৰ্য্য লন্দ্ৰলাল বস্থ ও র্তাহার চিত্রকলা ক্ষত্ৰি:- ক্ষয় ক্লেল্লং দুল্ল

  • *

fēvs# fffw xteql–Back to Nature-qx āħfs - ♥# থেকে উৎপত্তি “রোমান্টিসিজম্।” ইউরোপে উদ্ভূত রেনেসার শিল্প ক্রমশঃ বহু বিদ্যায় ভারাক্রাস্ত প্রাণহীন ইন্টেলেকচুয়ালিজম্ দ্বারা ক্লাস্ত হইয়া পড়িম্বাছিল । প্রকৃত্তির ভিতরে শিল্পীরা পাইল সহজ সরল মুক্তির জাম্বাদ । কুকুরছানা অবনীন্দ্রনাথ ভারতীয় শিল্পে যদি রেনেস। আনিম্না থাকেন, তবে নন্দলাল জানিয়াছেন রোমাণ্টিসিজম্। নৈসর্গিক যে-সব চিত্র তিনি আঁকিয়াছেন বা স্কেচ করিয়াছেন, তাহাতে তাহার উদাহরণ মিলিবে । এবিষয়ে একটি শ্রেষ্ঠ উদাহরণ- “প্রত্যাবর্তন” নাস্তুে একটি বড় পেন্সিল ড্রয়িঙের চিত্র। সাওতাল পুরুষ বহুদিন পরে প্রবাস হইতে ফিরিয়াছে, দরজায় দাড়াইয়া স্ত্রী, বিস্ময়বিমুগ্ধ, আনন্দের আতিশয্যে বাক্য মার সরে না। রবীন্দ্রনাথ স্বহস্তে এর নীচে নিজের গান লিথিয়া দিয়াছেন -“ফিরে চল মাটির টানে।” সমস্ত ছবির স্বর ধেন এই গানের ভিতর পাওয়া যাম, আর রোমাণ্টিসিজমের উদ্দেশুই এই—“ফিরে চল মাটির টানে” Back to Nature—শিল্পের বন্ধনমুক্তি হুইবে মুক্ত আকাশে, প্রকৃতির উন্মুক্ত প্রাঙ্গণে । “ভারতীয় চিত্রকলা পদ্ধতি” স্থাই করিয়াছেন অবনীন্দ্রনাথ, তাকে দৃঢ় ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত করিয়াছেন । এ-সময়ে নন্দলালের সম্বন্ধে যে আলোচনা হওয়া তা বলাই বাহুঙ্গ্য।