পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/২২৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২e২ জাবালের তন্ত্রসার, জাজলির বেদাঙ্গসার, পৈলের নিদান, করঠের সর্বধর, অগস্ত্যের দ্বৈধনির্ণস্বতন্ত্র প্রভৃতি প্রাচীন চিকিৎসা-গ্রন্থের কথা কেবল নামমাত্রই শুনিয়াছি। বুদ্ধ বাগভট র্তাহার ইন্দুকুত টীকাসহ মুদ্রিত হইয়াছে। বাগ ভটের অষ্টাঙ্গহৃদয়সংহিতার অরুণাভ, আশাধর, চন্দ্রচন্দন, রামনাথ ও হেমাদ্রিকৃত পাচ খানি টাকা ছিল। তন্মধ্যে কেবলমাত্র অরুণদত্তের সর্বাঙ্গমুন্দর টীকাটি ছাপা হইয়াছে। মাধবনিদানেরও অন্তত: সাতটি টাকা ছিল । বিজয় রক্ষিতকৃত মধুকোষ, বৈদ্যবাচস্পতিকৃত আতঙ্কদর্পণ, রামনাথ বৈদ্যকৃত টীকা, ভবানীসহায়কৃত টীকা, নাগনাথকৃত নিদানপ্রদীপ, গণেশভিক্ষ কৃত টকা, নীলকণ্ঠ-ভট্টপুত্র নরসিংহ কবিরাজকৃত বিবরণসিদ্ধান্তচন্ত্রিক। এই শেষোক্ত গ্রন্থের মুদ্রাপনের আয়োজন চলিতেছে । এই গ্রন্থখানি আমার পারিবারিক গ্রন্থাগারে পাওয়া গিয়াছে। বিজয় রক্ষিতকৃত নিদানের টীকা নিদানের ত্রয়ন্ত্রিংশদধ্যায় পয্যন্ত আসিমা ক্ষ,স্ত হয় । বাকী ংশটি তাহার ছাত্র শ্রীকণ্ঠদত্ত সমাপন করিয়াছেন। বৃন্দকৃত সিদ্ধযোগখানিও একখানি অতি প্রাচীন প্রামাণিক গ্রন্থ । অনেকে বলেন যে বৃন্দ এবং মাধব একই ব্যক্তি ছিলেন । চতুর্দশ শতাব্দীর শাজধরের গ্রন্থখানি ও পঞ্চদশ শতাব্দীর শিবদাসকৃত চক্রদত্তের টীকা ও বঙ্গসেনের গ্ৰন্থখানি কবিরাজসমাজে অত্যন্ত সমাদৃত। ভাস্করের শারীরপদ্মিনী গ্রন্থের এখন আর কোন খোজ পাওয়া যায় না। ঔপধেনবতন্ত্র পৌষ্কলাবততন্ত্র, বৈতরণতন্ত্র এবং ভোজতন্ত্র ডহ্নাণের সময় পৰ্য্যস্ত ছিল । তালুকাতন্ত্র ও কপিলতন্ত্র চক্রপাণির সময় পর্য্যন্ত ছিল। বিদেহতন্ত্র, নিমিতন্ত্র, কাঙ্কায়নতন্ত্র, সাত্যকীতন্ত্র, করালতন্ত্র, কৃষ্ণাত্রেয়ুতন্ত্র গ্রন্থগুলি চক্ষুরোগের উপর লিপিত হইয়াছিল। শ্রীকণ্ঠদত্ত্বের টীকার মধ্যে তাহার উল্লেখ পাওয়া যায়। চক্ষুরোগের উপর লিখিত শৌনকতন্ত্র চক্রপাণি ও ডহুলণের টীকায় উল্লিখিত দেখা যায়। ধাত্রীবিদ্যা সম্বন্ধে লিখিত জীবষ্ণতন্ত্র, পৰ্ব্বভক-তন্ত্র ও বন্ধকতন্ত্রের কথা ডহলণের টীকামু দেখিতে পাওয়া যায়। ঐ সম্বন্ধে হিরণ্যাক্ষ-তন্ত্রের কথা শ্ৰীকণ্ঠও তাহার টীকায় লিখিয়াছেন। বিষশাস্ত্র সম্বন্ধে কাশুপ ও আলম্বাধন সংহিতা ঐকণ্ঠ তাহার টীকায় উল্লেখ করিয়াছেন। বিষশাস্ত্র সম্বন্ধে উশনস সংহিতাসনক-সংহিতা ও লাটায়ন-সংহিতাও বিশেষ উল্লেখযোগ্য। ় প্রবাসনা ; SS8S নাগার্জনের ষোগশতক জীবস্বত্র ভেবজকল্প ও অষ্টাঙ্গহৃদয়ের চারখানি টীকা ( অষ্টাঙ্গহৃদয়বৈদুৰ্য্যকভাষ্য, পদার্থচন্দ্রিকাগ্রভাস, অষ্টাঙ্গাহৃদয়বৃত্তি, অষ্টাঙ্গহৃদয়ভেষজস্থচি ) তিববতী ভাষায় অনুদিত হইয়াছে। সংস্কৃত ভাষায় ইহাদের পুনরঙ্কুবাদ একান্ত আবশুক। খৃঃ ১৬শ শতাব্দীতে ভাবমিশ্র তাহার ভাবপ্রকাশ লিখিয়া যান। ইহার কিঞ্চিৎ পরবর্তী কালে লিখিত বলরামের আতঙ্কতিমির ভাস্কর, মাধবের আয়ুবেদপ্রকাশ, ত্রিমল্পের যোগতরঙ্গিণী, রঘুনাথের বৈদ্যবিলাস, বিদ্যাপতির বৈদ্যরহস্য, কবিচন্দ্রের চিকিৎসারত্নাবলী, মণিরাম মিশ্রের বৃদ্ধরত্নাবলী জগন্নাথের যোগসংগ্রহ, হর্ষকীৰ্ত্তিম্ভরীর যোগচিন্তামণি বৈদ্যকসারসংগ্রহ ও লোলিম্বরাজের বৈদ্যজীবন বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য । এই সময়ে যোগরত্নাকর নামেও এক গ্রন্থ লিখিত হয়, তাহাতে চিকিৎসাপ্রণালীর সহিত শস্ত্রক্রিয়ারও নান পদ্ধতি বর্ণিত হইয়াছে। ইহার কিঞ্চিৎ পরবর্তী কালে নারায়ণের রাজবল্লভীয়দ্রব্যগুণ, বৈদ্যচিন্তামণির প্রয়োগামৃত, নারায়ণের বৈদ্যামৃত, বৈদ্যরাজের স্বথবোধ, গোবিন্দদাসের ভৈযুজ্যরত্নাবলী প্রভৃতি গ্রন্থ বিশেষভাবে অনুধাবন যোগ্য। আধুনিক কালেও কবিরাজচুড়ামণি গঙ্গাধর তাহার জল্পকল্পতরু টকাতে আয়ুৰ্ব্বেদের প্রসার বৃদ্ধি করিতে চেষ্টা করিয়াছেন। তাহ ছাড়া গৈলার মদনরুষঃ কবীন্দ্র ও তাহার শিষ্যবৰ্গ, কবিরাজ দ্বারিকানাথ সেন, গঙ্গাপ্রসাদ সেন, কৈলাসচন্দ্র সেন, পীতাম্বর সেন ও ঐযুক্ত বিজয়রত্ন সেন প্রমুখ কবিরাজগণ বঙ্গদেশকে আয়ুৰ্ব্বেদ-চিকিৎসার পীঠস্থান করিয়া গিয়াছেন। জাৰ্ম্মান ভাষায় পণ্ডিত জলী আয়ুৰ্ব্বেদ সম্বন্ধে একখানি নাতিবিস্তর গ্রন্থ ১৯৯১ সালে বাহির করেন। ১৯৯৭ খৃঃ অব্দে হৰ্ণলে ইংরেজী ভাষায় আয়ুৰ্ব্বেদীয় অস্থিতত্ত্ব সম্বন্ধে একখানি উৎকৃষ্ট গ্রন্থ বাহির করেন ও কর্ণেল বাওয়ার কর্তৃক প্রাপ্ত গুপ্তক্ষরে লিখিত ৪র্থ শতকের নানীতক গ্রন্থখানি অশেষ পাণ্ডিত্য প্রদর্শনপূর্বক অক্সফোর্ড হইতে মুদ্রিত, করিয়াছেন। ডাঃ গিরীন্দ্র মুখোপাধ্যায় মহাশয় আয়ুৰ্ব্বেদীয় শল্যযন্ত্র সম্বন্ধে ও জায়ুৰ্ব্বেদের ইতিহাস সম্বন্ধে দুই খানি গ্রন্থ প্রণয়ন করিয়াছেন। মৎকৃত হিন্দুদর্শনের ইতিহাসের ২য় খণ্ডে আয়ুৰ্ব্বেদ সম্বন্ধে এক অতিবিষ্কৃত নিৱন্ধ লিখিত হইয়াছে। মহামহোপাধ্যায় কবিরাজ