পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/২৩২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

وي هR পর আমরা ভূষণায় বিষম গোলযোগের সংবাদ পাই। এই সময়ে, যেরূপেই হউক, ভূষণ চাদ রায় ও কেদার রায়ের হস্তগত হইয় পড়িয়াছিল । মুকুন্দরাম সম্ভবতঃ তখন মৃত, র্তাহার পুত্র সত্রাজিৎ কি করিতেছিলেন বা কোথায় ছিলেন জানা যায় না। বিদ্রোহী আফগানের লুটপট করিতে করিতে ভূষণার দিকে অগ্রসর হয়। আবুলফজল এই সময়কার অবস্থ। বর্ণনা করিতে গিয়া বোধ হয় চাদ রায় ও কেদার রাম্বের সম্বন্ধবিপৰ্য্যয় ঘটাইয়াছেন। র্তাহার মতে কেদার রায় ছিলেন চাদ রায়ের পিতা । চাদ রাম কেদার রায়ের পরামর্শে বিদ্রোহী আফগানদিগকে বন্দী করার প্রয়াস পাইলেন, কিন্তু ফলে তাহার নিজেরই প্রাণ গেল। চাদ রায় না-কি আতিথেয়তার ভাণ করিম। পাঠানসর্দার দেলওয়ার, স্থলেমান ও উসমানকে ভূষণা-দুর্গে আমন্ত্ৰণ করিয়াছিলেন। সেখানে ছলক্রমে দেলওয়ারকে বন্দী করা হইলে স্থলেমান তরবারি উন্মুক্ত করিয়া নিকটবৰ্ত্তী বহু লোককে যমালয়ে প্রেরণ করিলেন । তিনি দুর্গদ্বার হইতে নিস্ক্রান্ত হইলে চাদ রায় তাহার পশ্চাদ্ধাবন করিলেন, কিন্তু উসমান আসিম স্থলেমানের সহায়তা করিতে লাগিলেন এবং ঘটনার বিবরণ শুনিয়া পাঠানেরা প্রাণপণে আত্মরক্ষা করিতে লাগিল । চাদ রায়ের নিজের পাঠান-সৈন্তও তাহার বিরুদ্ধে দাড়াইল । ফলে চাদ রায় নিহত হইলেন। আফগান-সৈন্ত লুটপাট করিতে করিতে অগ্রসর হইলে দুর্গস্থ লোকেরা মনে করিল চাদ রায় বুঝি কিরিতেছেন। তাহার। দুর্গদ্বার খুলিয়৷ দিল, আফগানেরাও সহজেই জয়লাভ করিল। তাহার পর ইশ। খার যড়যন্ত্রে আফগানেরা তাহার সহিত মিলিত হইলে ভূষণা-দুর্গ ও রাজ্য কোর রায়ের হস্তে সমর্পিত झङ्ग्रेज । কেদার রায় এইরূপে আফগানদিগের যোগে ভূষণার মালিক হইয়া বসিলেন, কিন্তু প্রবল মোগল কর্তৃপক্ষ বেশী দিন এ অবস্থা স্থির থাকিতে দিলেন ন । মানসিংহ শীঘ্রই দুর্জন সিংহের অধীনে একদল বাছ সৈন্ত ভূষণীয় প্রেরণ করিলেন ( ১৫৯৬ খৃষ্টাব্দ ) । স্বলেমান ও কেদার রায় দুর্গ দৃঢ় করিয়া যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হইলেন। মোগল সৈন্ত দুর্গ অবরোধ করিল, প্রতিদিন যুদ্ধ চলিতে লাগিল। দুর্গমধ্যে এক কামান ফাটিয়া যাওয়ায় স্থলেমান ও আরও অনেকে নিহত \ક્ષ્મ દ્વારા:-ા છે. ఎ98S হইলেন। কেদার রায় আহত হইয়। পলায়ন করতঃ ইশা খার আশ্রয় গ্রহণ করিলেন । ( আকবরনাম ) সম্ভবতঃ ১৫৯৮-৯৯ অব্দে মানসিংহের স্থানাস্তরে অবস্থানকালে সত্ৰাজিং আবার ভূষণায় প্রবল হইয়া পড়েন। কথিত আছে, টোডরমল মুকুন্দরামকে ভূষণার জমিদার বলিয়া স্বীকার করিয়াছিলেন ( ১৫৮২ খৃ: ) । yসতীশচন্দ্র মিত্র মহাশয় লিথিয় গিয়াছেন যে, প্রতাপাদিত্যের রাজ্যাভিষেকের সময় মুকুন্দরাম ও তৎপুত্র সত্রাজিৎ উৎসবে যোগদান করিয়াছিলেন ( ১৫৮৩ খৃষ্টাব্দে বিক্রমাদিত্যের মৃত্যু, তৎপরে অভিষেক )। সতীশচন্দ্র আরও বলেন, মুকুন্দরাম কায়স্থ রাজ কেশব সিংহের বংশধর । কেশব সিংহ উত্তররাঢ় হইতে আসিমা দক্ষিণ-রাঢ়ে আব্দুল-সমাজের প্রতিষ্ঠা করেন। কি স্বত্রে মুকুন্দরাম ভূষণায় প্রাধান্ত লাভ করেন তাহা স্থির করা কঠিন। তবে তিনি যে সম্রাট আকবরের সময়ে ভূষণা ও নিকটবর্তী ফথেয়াবাদ অঞ্চলে প্রবল হইম উঠিয়াছিলেন তাহ সমসাময়িক বিবরণ হইতে বেশ বুঝিতে পারা যায় । কায়স্থদিগের দক্ষিণরাঢ়ী ও বঙ্গজ সমাজ উভয়ই র্তাহ-কে দাবি করে । ফথেয়াবাদের বঙ্গজ কায়স্থ সমাজের ইনিই প্রতিষ্ঠাতা। এই কার্য্যের জন্য ইহাকে চন্দ্রদ্বীপ অঞ্চল হইতে অনেক কুলীন কায়স্থ আনাইতে হইয়াছিল। মুকুন্দরামের পুত্র সত্রাজিৎ কখনও মোগল-পক্ষের সহায়তা, কখনও বিরোধিতা করিয়া বহুকাল ভূষণার প্রতাপ অক্ষুণ্ণ রাথিয়াছিলেন। স্যর যমুনাথ সরকার মহাশয় যে আবদুল লতিফের ভ্রমণকাহিনী প্রকাশ করিয়াছেন ও বাহারিস্তান নামক পুস্তকের সদ্ধান দিয়াছেন তাহা হইতে জানা যায়, সত্রাজিৎ কিছুদিন মোগল বাদশাহের বিদ্রোহিতাচরণ করিয়াছিলেন। স্ববেদার ইসলাম খাঁ তাহার বিরুদ্ধে ইফ তখর নামক এক সেনাপতিকে প্রেরণ করেন। ইহাতে সত্রাজিৎ দমেন নাই। তিনি বাদশাহের সৈঙ্গের সহিত যুদ্ধ করিবার জন্য প্রস্তুত হইলেন, কিন্তু মোগলের নদী পার হইয়া অতর্কিত ভাবে তাহার রাজ্যে প্রবেশ করিল । সত্ত্বেজিৎ তখন বগুতা স্বীকার করিয়া ইসলাম ধার সহিত সাক্ষাৎ করিতে চলিলেন । * ইসলাম খী যখন আঠারবাকা ও --صاسب ہے۔ * এই প্রসঙ্গে মজাজ হইতে প্রকাশিত Journal of Indian History, Doc. 1932 & otzfrom oto ou i