পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/২৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

č=a>Ilaľ সাছিভ্যভস্থ 3 লিখেছিলেম। বলেছিলেম, আমার অন্তরের আমি আলস্তে আবেশে বিলাসের প্রশ্রয়ে ঘুমিয়ে পড়ে, নির্দয় আঘাতে ဂ္ယီဒီ့ ੋੜ অসাড়তা ঘুচিয়ে তাকে জাগিয়ে তুলে, তবেই সেই *আমার আপনাকে নিবিড় করে পাই, সেই পাওয়াতেই আনন্দ । এতকাল আমি রেখেছিকু তারে যতন ভরে শয়ন পরে ; ব্যথা পাছে লাগে, দুখ পাছে জাগে নিশিদিন তাই বহু অকুরাগে বাসর শমন করেছি রচন কুসুম থরে, দুয়ার রুধিয়া রেখেছি তু তারে গোপন ঘরে যতল ভরে | শেষে সুখের শয়নে শ্রাস্ত পরাণ আলসরসে আবেশ বশে । পরশ করিলে জাগে না সে আর, কুসুমের হার লাগে গুরুভার, মে জাগরণে মিশি একাকার নিশিদিবসে ; বেদনবিহীন অসাড় বিরাগ মরমে পশে আবেশ বশে । - তাই ভেবেছি আজিকে খেলিতে হুইবে নৃতন খেল i রাত্রিবেলা । মরণদোলায় ধরি রসিগাছি বসিব দুজনে বড়ো কাছাকাছি, ঝঞ্চ। আসিয়া আট হাসিয়া মারিকে ঠেলা, প্রাণেতে আমাতে খেলিব দুজনে ঝুলন খেলা নিশীথ বেল । আমাদের শাস্ত্র বলেন, “তং বেদ্যং পুরুষং বেদ থা মা বো মৃত্যুঃ পরিব্যথাঃ ” “সেই বেদনীয় পুরুষকে ছু জানো যাতে মৃত্যু তোমাকে ব্যথা না দিক ” বেদন অর্থাৎ হৃদয়বোধ দিয়েষ্ট র্যাকে জানা যায় জানে। সেই পুরুষকে অর্থাৎ পাসের্ণন্যালিটিকে । আমার ব্যক্তিপুরুষ যখন অব্যবহিত অনুভূতি দিয়ে জানে অসীম পুরুষকে, জানে হৃদ মনীষা মনসা, তখন তার মধ্যে নিঃসংশম্নরূপে জানে আপনাকে । তখন কী হয় ? মৃত্যু অর্থাৎ শূন্যতার ব্যথা চলে যায়, কেন-ন বেদনীয় পুরুষের বোধ পূর্ণতার বোধ, শুষ্ঠতার বোধের বিরুদ্ধ। এই আধ্যাত্মিক সাধনার কথাটাকেই সাহিত্যের ক্ষেত্রে নামিয়ে আনা চলে । জীবনে শূন্যতাবোধ আমাদের ব্যথা দেয়, সত্তাবোধের মানতায় সংসারে এমন কিছু অভাব ঘটে যাতে আমাদের অস্থভূতির সাড়া জাগে না, যেখানে আমাদের ব্যক্তিবোধকে জাগ্রত রাখবার মত এমন কোনো বাণী নেই যা স্পষ্ট ভাষায় বলছে আমি আছি । বিরহের শুন্যতায় যখন শকুন্তলার মন অবসাদগ্ৰস্ত তথন তার দ্বারে উঠেছিল ধ্বনি ‘ অযুমহং ভোঃ” । এই যে আমি আছি, সে বাণী পৌছল না তার কানে, তাই তার অন্তরাত্মা জবাব দিল ন; এই যে আমিও আছি । দুঃখের কারণ ঘটল সেইথানে । সংসারে আমি আছি এই বাণী যদি স্পষ্ট থাকে তাহলেই আমার আপনার মধ্য থেকে তার নিশ্চিত উত্তর মেলে, আমি আছি । আমি আছি এই বাণী প্রবল স্বরে ধ্বনিত হয় কিসে? এমন সত্যে যাতে রস আছে পূর্ণ। আপন অস্তরে ব্যক্তি-পুরুষকে নিবিড় করে অতুভব করি যখন আপন বাইরে গোচর হয়েছে রসাত্মক রূপ। তাই বাউল গেয়ে বেড়িয়েছে--- আমি কোথায় পাব তারে অণমার মনের মাতুয় যে রে । কেন-মা আমার মনের মাতুষকেই একান্ত করে পাবার জন্তে পরম মাতুষকে চাই, চাই তং বেদ্যং পুরুষং, তা হ’লে শূন্যত। ব্যথা দেয় না । আমাদের পেট ভরাবার জন্তে, জীবনযাত্রার অভাব মোচন করবার জন্যে আছে নানা বিদ্যা নানা চেষ্টা ; মানুষের শূন্ত ভরাবার জন্তে, তার মনের মানুষকে নানা ভাবে নানা রসে জাগিয়ে রাখবার ও হে, আছে তার সাহিত্য তার শিল্প । মানুষের ইতিহাসে এর স্থান কী বৃহৎ, এর পরিমাণ ক} প্রভূত । সভ্যতার কোনো প্রলয় ভূমিকম্পে যদি এর বিলোপ সম্ভব হয় তবে মামুষের ইতিহাসে কী প্রকাণ্ড শুঘাত। কালো মরুভূমির মত ব্যাপ্ত হয়ে যাবে। তার রুষ্টির ক্ষেত্র আছে তার চাষে বাসে আপিসে কারখানায় ; তার সংস্কৃতির ক্ষেত্ৰ সাহিত্যে, এখানে তার আপনারই সংস্কৃতি, সে তাতে