পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/২৫৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

११♚* ફૈો SS)గా জায়গায় লেখক সন্ত্য সত্যই উচ্চ শিল্প প্রতিভার পরিচয় দিয়াছেন। তৰু সমগ্রভাৰে কোন গল্পই রসোত্তীর্ণ হইতে পা র নাই। বইটা পড়িলে এই কথাটাই সকলের আগে মনে আসে, লেখক তাহার ইউরোপীয় ঠসক, বুকনী ও বিদ্যার বোক লইয়। পয়চার কসিয়া বেড়াইতেছেন, রসাবেশে কোথাও এক মুহূর্তের জন্য এতটুকু আত্মবিস্তুত হইতে পারেন নাই। ঠিক এই কারণেই পাঠকের মনে একবিন্দু ছাপ পড়ে না। যেখানে-সেখানে অনাবশ্যক ইংরেজী শঙ্গের ব্যবহারে তার সহজ রূপটি ফুটতে পারে নাই, যােচ্ছ দৃষ্টান্ত দিতেছি—“দুজনে সীট বদল করলে—কিন্তু সন্মুখে স্পেশ খুবই অল্প, তাই চেঞ্জের সময় দুজনের গারে গায়ে ঠোকাঠুকি হয়ে গেল—” লক্ষ্য করিতে হুইবে, একই বাক্যের মধ্যে আগে “বদল" ব্যবহার হইয়াছে,—সম্ভবত: তাহাতে জাতিপাত হয় স্নাই,-তৰু পুনশ্চ চেঃ আসিয়াছে। আবার মাঝে মাঝে কথাবাৰ্ত্তার মধ্যে একেবারে ইংরেজী গোট। বাকাই তুলিয়া দেওয়া হইয়াছে খিলাতী নায়িকার সঙ্গে কথাবার্ভা সমস্তই ইংরেজীতে হইয়াছে নিশ্চয় অতএব শত্র-পাত্রীর মুখের কথাগুলা তর্জমা । সেই তর্জমার মধ্যে এক একটা ইংরেজী বাক্য রাথিয় ধাওয়ার উদ্দেশ্য আর কি খাঙ্কিতে পারে, একমাত্র গোবেচার বাঙালী পাঠকদের চমক লাগাইয়া দেওয়া ছাড়া P উপমাগুলিও কোথাও কোথাও হাস্যকর যথা—“আমি এখন মাটির ঢেল । তুমি কৰ্ম্মকার, তুমি আমার যে ভাবে গড়াবে সেইভাবেই গড়ে উঠক ” কিন্তু বাংলা দেশে কৰ্ম্মকারের যে লোহা পিটায়, এখনও ভাড় গড়িতে সুরু করে নাই । কিন্তু এইরূপ অফুরন্ত ক্রটি সত্ত্বেও মাঝে মাঝে বিদ্যুৎ-চমকের মত লেখকের জলাধারণ ক্ষমতার প্রকাশ পাইয়াছে । সেই জন্তই এত কথা বলিৰায় আবশ্যক হইল । আশা করি, পরবর্তী লেখার পাঠককে তাঙ্ক লাগাইর সন্তায় কিস্তিমাৎ করিবার এই লোভ কাটাইয়া লেখক পূর্ণশক্তিতে কুটিল্প উঠিত পারিবেন। জাগৃহী ~~প্রভাবতী দেবী সরস্বতী। প্ৰবৰ্ত্তক পাব্লিশিং হাউস ; ৬১ বছৰাজার ষ্ট্রট, কলিকাতা । দাম দুই টাকা। পৃ. ২৪২ । লেখিকার স্নিগ্ধ সুরুচিবোধ ও বলিবার একটি মনোরম ভঙ্গীয় গুণে বইখানি উৎরাষ্টয়া গিয়াছে, পড়িয়া তৃপ্তি পাওয়া যায় । স্থানে স্থানে পাত্রপাত্রীর মুখের অযথা দীর্ঘ বক্তৃতাগুলি ছাটিতে পারলে বইটার আয়তন কমিত এবং গল্পটি আরও জমির উঠিত । আখ্যানভাগের কতকাংশে অনুরূপা দেবীর মন্ত্রশক্তির সাদৃশ্য ফুটিয়া উঠার সেদিক দিয়া উৎকট অশোভনত। প্রকাশ পাইয়াছে। ছাপা বাধাই ভাল । শনির দশা—ষিতীন্দ্রনাথ বিশ্বাস। প্রকাশক-ই প্রজেন্দ্রনাথ বিশ্বাস, ৩৬১ হার ঘোষ ষ্ট্রীট, কলিকাতা । নায়ক রাখালের শোচনীয় পরিণাম দেখান হুইয়াছে । কিন্তু এই ট্রাজেডি যেন পাঠকদের অশ্রু নিষ্কাশন করিবার উদ্দেষ্ঠে জোর করিয়া আমদানী ঘটনার অবগুস্তাধিতা নাই । কাজেই অশ্রু ত আসেই না, চরিত্রগুলিও কোন নির্দিষ্ট আকারে মনের মধ্যে ফুটতে পারে না। তৰু ইহার মধ্যে আমরা স্বরুচি নীলিমা, ও নেপাল-চরিত্রের আংশিক সাফল্যের জন্তু লেখককে অভিনন্দন জানাইতেছি । সম্ভবতঃ ইহা তাহার প্রথম রচনা ; তাহা হইলে ইহার সম্বন্ধে ভবিষ্যতের আশা পোষণ করা যাইতে পারে । হিন্দুত্বের পুনরুত্থান—ইমতিলাল রায়। প্রবর্ধক পা রশি হাউস, ৬১ বহুবাজার ষ্ট্রীট, কলিকাতা । দাম পাচ সিকা । পৃ. ১২২ ৷ হিন্দুঙ্গতি সকল ক্ষেত্রেই দিন দিন পিছু হটয়া যাতেছে, শক্তি ও বিশ্বাসের দৈন্য এবং শত,বধ অনাচারের মধ্য দিয়া ক্রমশ পঙ্গুত্ব প্রাপ্ত হইতেছে, সংহতি-জীবন লাভ করিয়া বাচিবার তীব্র প্রচেষ্টা নাই । বস্তুতঃ তলাইয়া দেখতে গেলে এ ঞ্জাতির ভবিষ্যৎ ভাবিয়া ভয় হইবার কথা। যুক্ত রায় মহাশয় এই বিষয়ে অনেক চিন্তা করিয়াছেন এবং কাৰ্য্যকরী পন্থা নির্দেশ করিবার তিনি যে একজন অধিকারী ব্যক্তি তাহাতে সন্দেহ নাই । আলোচা বইখানায় তিনি আশার বাণী শোনাইয়াছেন যে, বাঙালীর দ্বী পাই হি পুত্বঃ নবজাগরণ ঘটতেছে । অনেক দৃষ্টান্ত দিয়া রোগের কারণ নির্ণয় করিতে তিনি চেষ্টা করিয়াছেন এবং প্রদীপ্ত ভাষায় প্রতিবিধানের পথও অনেকগুলি বলিয়া দিয়াছেন । সকল বিষয়ে মত না মিলিতে পারে, কিন্তু বইথানি এ বিষয়ে চিন্তায় খোরাক আনিয়া দিবে এবং আমাদের দৃষ্টি খুলির দিবে। ইহা নিঃসন্দেহ । শ্রীমনোজ বসু