পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/২৭৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

R8b তাহা ছাড়া সে-যুগে রামায়ণ মহাভারত সকলেই পাঠ করিত, শিশুরাও মাতৃমুখে রামায়ণকাহিনী ও মহাভারতের উপাখ্যানগুলি শুনিয়া পাঠশালার ষর্ণপরিচয় শেষ করিয়াই আমাদের দেশের এই দুইটি অপূৰ্ব্ব সাহিত্যগ্রন্থে প্রবেশঅধিকার লাভ করিত । এক হিসাবে কৃত্তিবাস ও কাশীরাম দাসের রচনা পাঠ করিতে প্রভূত পাণ্ডিত্যের প্রয়োজন হয় না; স্বতরাং শিশুরাও ইহা উপভোগ করিতে পারে। কৃত্তিবাস, কাশীরাম দাসের ইহাই বিশেষত্ব যে, আবালবৃদ্ধবনিতা তাহদের মধ্যে আপন আপন চিত্তবিকাশ অনুযায়ী রস লাভ করে। এই সাৰ্ব্বজনীনত্ব বর্তমান কালের কোন গ্রন্থের আছে কি-না সন্দেহ । যাহা হউকৃ, পঞ্চাশ এক-শ বৎসর পূৰ্ব্বে সমাজের গঠন ছিল অন্য ধরশের এবং তাহারই সহিত মিলাইম্বা শিশুসাহিত্যের প্রচলনও ছিল । তথন শিশুর নিজস্ব অধিকারের কথা কেহ বলিত না, শিশুজীবনকে তখন পরিণত জীবনের ক্ষুদ্র সংস্করণ রূপে গ্রহণ ধুরন্থ সেই দৃষ্টি হইতে শিশুসাহিত্য স্বই হইত। এই যুগের আর একটি বিশেষত্ব লক্ষ্য করিবার বিষয় । তখন অতি অল্প লোকেই লেখাপড় শিখিত, সুতরাং তখনকার শিশুসাহিত্যের অধিকাংশ লিখিত না হইয়া কথিত আকারেই প্রচার লাভ করিয়াছিল । তাহার পর অনেক কাল গিয়াছে। বিদ্যাসাগর মহাশয় ফুখন “বর্ণপরিচম্ব” লিখিলেন তখন শিশুবোধকের উপর কতটা উন্নতি হইল তাহা আমাদের পক্ষে আজ ধারণ করা কঠিন। বিদ্যাসাগর প্রথম শিশুসাহিত্য রচনায় মনোবিজ্ঞানের তত্ত্বগুলির সহায়তা লইলেন, কিন্তু তখন ছিল মনোবিজ্ঞানের শৈশবকাল ; তাহার পর মনোবিজ্ঞানেরও যথেষ্ট উন্নতি হইয়াছে, কিন্তু শিশুসাহিত্য-রচনায় তাহার ব্যবহার উন্নতির অঙ্কুরুপ হয় নাই। এখনও আমরা পরিণত বয়স্কের দৃষ্টি লইয়া শিশুসাহিত্য রচনা করিতেছি । বিদ্যাসাগর মহাশয়ও এই মনোভাব হইতে মুক্ত ছিলেন না। তবে ভুবনের মালীর কৰ্ণকৰ্ত্তনের ব্যাপারে শিশুরা কোন শিক্ষা লাভ করুক বা না-করুক, যথেষ্ট আনন্দ যে লাভ কৱিত এটা নিজেরই অভিজ্ঞতা হইতে বলিতে পারি। ‘শিশুসাহিত্য-রচনার মাপকাটি কি? বর্তমান কালের শিশুপাঠ গ্রন্থগুলি পাঠ করিলে এইg - टैिंक नकांन মেলে না; ক্ষাংশের ক্ষে ক্ষভর্ম "প্রবচনস্ট ఏ98 ఏ মাপকাটি দিয়া লেখা । এগুলির সম্বন্ধে পূৰ্ব্বে কিছু বলিয়াছি, পরেও বলিব । মনে পড়িয়া গেল কে এক জন এই শ্রেণীর কোন কোন গ্রন্থ সম্বন্ধে বলিয়াছিলেন যে, জনহীন মরুভূমিতে সঙ্গীর একান্ত অভাব ঘটিলেও তিনি সেগুলা পড়িবেন না । দ্বিতীয় শ্রেণীর বইগুলি দেখিলে মনে হয় শিশুদের আনন্দ দিবার একটা চেষ্টা সেগুলির মধ্যে আছে। কিন্তু সে-চেষ্টার স্বল্প কোন চিন্তা ও সংযম নাই। সেইটাই দুঃখের কথা । অন্য ক্ষেত্রেও সাহিত্যস্বষ্টিচেষ্টায় সুচিস্তিত ও সংযত চিন্তার প্রয়োজন আছে সত্য, কিন্তু এ-ক্ষেত্রে তাহার প্রয়োজনীয়তা অারও অধিক । কারণ যাহাঁদের হাতে এই গ্রন্থগুলি দিব তাহাদের বিচারশক্তি পরিণত নহে, ভাল-মন্দ বাছিয়া লইবার ক্ষমতা তাছাদের হয় নাই ; সুতরাং খারাপ গ্রন্থ তাহাদের যত ক্ষতি করিতে পারে অন্যের বেলায় ততটা পারে না । এইজন্যই শিশুসাহিত্য-রচনার দায়িত্ব অনেক বেশী । দুর্ভাগ্যক্রমে সকল লেখকের মধ্যেই তাহার পরিচয় পাওয়া যায় না । অনেকে বলেন, শিশুসাহিত্যের মাপকাটি হওয়া উচিত চরিত্রগঠন, জ্ঞানদান বা এমনই একটা কিছু। সাহিত্যের যে প্রাথমিক উদ্দেশ্য আনন্দদান সেটাকে স্বীকার করিয়াও তাহাকে তাহারা গৌণ মনে করেন । সুতরাং উহাদের রচিত শিশুসাহিত্য নীতি-শিক্ষারই একটি আলাদা সংস্করণে পরিণত হয় । এ যেন চিনি-মাখান কুইনিনের বড়ি । শিশুসাহিত্যের ক্ষেত্রে ইহার উদাহরণ আমরা পদে পদে পাই । এখানে শিশুসাহিত্যের উদ্দেশ্য বিচার করিবার স্থান নাই। আমাদের মতে শিশুসাহিত্যের মুখ্য আদর্শ আনন্দদান, শিক্ষা বা চরিত্রগঠন বা জ্ঞানদান গৌণ ; সেটাকে জানদের by-product বা ‘কাউ-স্বরূপ লওয়াই উচিত এবং শিশুসাহিত্য-রচনায় এই আদর্শ আমাদের মনে সৰ্ব্বা জাগ্রত থাকা উচিত । এক জন বলিয়াছিলেন জায়রা বাহিরের उथांकविड यां८ख बहें अक्लिब्रः श्वांश िि१ डांशग्न चरूि সামান্ত অংশই তথাকথিত কাজের বই পড়িয়া পাই । কথাটা অত্যন্ত সত্য। যে বই আনন্দ দেয় তাহা জীবনে ছাপ রাখিয়া যায়, জার ৰে-বই পড়িতে পদে পদে কষ্ট ও চেষ্টা করিতে হয়, মনের সমস্ত শক্তি তাঙ্কারই মধ্যে নিঃশেবিস্তপ্রায় হুইয়া স্বাক্ষ,