পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/২৮০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

३¢8 "প্রবাসী স্টe ఎSD8ఎ করবার মেয়ে এ নয়। কেমন ঠাকুরপো এইবারে খুণী চাই, তত ভরি চাই, তার বিরাট ফৰ্দটা মুখে মুখে দাখিল তো ?” যামিনী কথা না বলিয়া নতমুখে ডিবেটা লইয়া নাড়াচাড়া করিতে লাগিল । “কিন্তু ভাই একটা কথা আছে।” যামিনী উৎসুক ভাবে চাহিল। “ম বলে দিয়েছেন আর সব দিকে যতই ভাল হোক ছ-সাত হাজার টাকার গয়ন চাই । তার কমে কিছুতেই রাজী হতে পারবেন না । ঠিক এই কথাটাই ওঁদের সামনাসামনি বলতে তোমার দাদার কেমন সঙ্কোচ লাগল ৷ আভাস দিয়েচেন । তুমি বরঞ্চ স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়ে৷ ” “এত গয়না পরবে কে ?” “তোমার বে৷ ” “তোমাদের যত গহনা আছে তার অৰ্দ্ধেকও কি প’র ?” “ওমা ! তাহলে যে গয়নার ভারে নড়তে চড়তে পারব না। সে-সব সিন্ধুকে তোলা আছে।” “তাহলেই দেখ মেয়েদের যুক্তিশক্তি এত কম। ষে-সব জিনিষ বারে মাস সিন্দুকে তোলা থাকে তাই নিম্নে এত জেদাজেদি । তারই উপর নির্ভর করছে জীবনমরণের ব্যাপার ।” “কেন ?" * ধর চন্দ্রকান্ত বাবু যদি অত টাকার গমনা না দিতে পারেন—” “তাহলে তার মেয়ের সঙ্গে বিয়েতে মা কিছুতেই রাজী হবেন না । কিন্তু কেন ? গুনেছি ত যে তার অবস্থা খুব ভাল।” ষামিনী তাড়াতাড়ি কহিল, “ন না, সে কথা আমি বলছি নে। তিনি হাত দিতে পারবেন। কোন বিশেষ মেয়ের কথা আমি বলছি নে, কিন্তু মেয়েদের হাতে পড়ে মেয়েদেরই বিয়ের ব্যাপারটা কেমন নিষ্ঠুর অদ্ভুতগোছের হয়ে দাড়িয়েছে সাধারণ ভাবে আমি সেই কথারই আলোচনা করছি ।” “মেয়েদের হাত কি ?” “কেন নিরানব্বইটা ক্ষেত্রে আমি তো দেখেছি বরের মায়ের দাবির পরিমাণই জার মিটতে চায় না। এত ভুরি হয় অস্তঃপুর থেকেই।” “কে জানে ভাই অত কথা। মূৰ মেয়েমানুষ, তোমাদের মত কথায় কথায় তো আর তর্কের বান ডাকাতে পারি নে, কিন্তু সোজা কথাটা বেশ বুঝতে পারি। সেটা হচ্ছে এই যে, বিয়ে করতে তুমি পাগল হয়ে উঠেছ।” “প্রায় ।” যামিনী হাসিয়া সেখান হইতে উঠিয়া গেল । సె সমস্ত ঠিকঠাক হইয়। যাইবার পরে যামিনীর মনটা যেন বসন্তবাতাসে উড়িয়া বেড়াইতেছিল। আর কোনখানে কোন বাধা নাই। যতদূর দৃষ্টি যায় স্বচ্ছ বাধাহীন নীলাকাশ ব্যাপিমা আনন্দের স্রোত বহিয়া যাইতেছে । মনের আননো সে বৌদিকে লইয়া থিয়েটার বাম্বোস্কোপ দেখাইল । শিবপুরের বোটানিক্যাল গার্ডেন, বালির ব্রীজ, দক্ষিণেশ্বরের গঙ্গার দৃশু, এমন কি যাদুঘর চিড়িয়াখানাও বাদ দিল না । আজ দুপুরবেলাম তাহাকে ভিক্টেরিয়া মেমোরিয়্যাল দেখাইয় আনিবে স্থির করিয়া সে ট্যাক্সি ডাকিয় আনিল । মোটরে চড়িয়া বৌদি স্মিতহাস্তে কহিলেন, “ঠাকুরপে যে দেখছি এবারে আমার উপর বড় সদয় । কলকাতায় য কিছু দেখযার সমস্তই দেখালে । কিছুই প্রায় আর বাকী নেই।” “যা দেখবার তাই এখন দেখনি।” “কি, ওই ভিকটোরিয়া মেমোরিয়াল ? তা ভাই যতই বল ডিকটোরিয়া মেমোরিয়েলের লোকে সুখ্যাতি করে বটে, কিন্তু—” “কে বললে তোমাকে ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়্যাল " যা দেখনি তা এখনই দেখবে। অত ব্যস্ত কেন ? তখন কিন্তু স্বীকার করতেই হবে যে আসল দেখাটাই ছিল বাকী।” মোটর ততক্ষণে ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালের গেটের কাছে দাড়াইছে। সিড়ি দিয়া উঠিতে উঠিতে তিনি নিৰ্ম্মলাকে দেখিলেন । চন্দ্রকান্তের সঙ্গে সে আসিয়াছে । এইটুকু আয়োজন যামিনীর আগে হইতে করিয়া রাখা। বাড়ি ফিরিবার সময় বৌদি হাসিয়া কছিলেন, ‘ ষা দেখবার তাঁ তো দেখলুম। কিন্তু ভাই ঠাকুরপো, তোমার ভাবখান