t ༅།པཱུ་ཉིན་སྲ་ বৎসর পূৰ্ব্বে মালব ও মহারাষ্ট্র দেশে এক সন্ন্যাসীসম্প্রদায় ছিল, যাহার নাম আজ লোকস্থতির বাহিরে চলিয়া গিয়াছে। ঐ সম্প্রদায়ের নাম ছিল “মত্তময়ুর”। নয় শত বৎসর পূৰ্ব্বে জব্বলপুর অঞ্চলের হৈহয়-বংশীয় রাজগণ ঐ সম্প্রদায়ের তিন-চার জন সন্ন্যাসীকে নিজ রাজ্যে নিমন্ত্রণ করিয়া জানিয়াছিলেন এবং উহাদের জন্য কয়েকটি বিশাল মঠ নিৰ্ম্মাণ করিয়াছিলেন । ঐ মঠগুলির মধ্যে রেওয়া রাজ্যে দুইটি এবং জব্বলপুর জেলায় দুইটি এখনও বর্তমান । বহু গ্রাম ও বিস্তীর্ণ ভূমিখণ্ড ঐ সম্প্রদায়কে দেবোত্তররূপে দান করা হয় এবং ত্রিপুরী রাজ্যের হৈহয়-বংশের রাজত্ব কালের শেষ পৰ্য্যন্ত এই সন্ন্যাসীদিগের বিলক্ষণ প্রভাব ছিল। ঐ মত্তময়ূর সম্প্রদায়ের নামের উল্লেখ সৰ্ব্বপ্রথমে দক্ষিণাপথের শিলাহার-বংশীয় রাজ রটরাজের তাম্রশাসনে পাওয়া যায়। বোম্বাই প্রদেশের রত্নগিরি জেলার খারেপটন গ্রামে প্রায় সত্তর বৎসর পূৰ্ব্বে চারটি তাম্ৰপত্র পাওয়া যায়। ঐ পত্রগুলির পাঠোদ্ধারে জানা যায় যে, ৯৩০ শকাবার জ্যৈষ্ঠপূর্ণিমার দিন শিলাহার রাজপুত বংশের মাগুলিক রট্ররাজ, মত্তময়ূর সম্প্রদায়ের কর্করোগী শাখার ব্যয়-সংস্থানের জন্য তিনটি গ্রাম দান করেন। ঐ দিন খ্ৰীষ্টীয় ১• ০৮ সালের ২২শে মে। মত্তময়ুর সম্প্রদায়ের পৌরাণিক উৎপত্তি কাহিনীতে কথিত আছে, যে, ভগবান শিব কৈলাসপৰ্ব্বতে আপন গণ-পরিবেষ্টিত হইয়া থাকিতেন। সেই সময় কাঞ্জিকেমের বাহন ময়ুর যদি কখনও প্রসন্ন হইয়া কেক রব করিত তখন ঐ গণসমষ্টিমধ্যে কয়েক জন মত্ত হইয়া নৃত্য করিতেন। কেক রবে দুইটি মাত্র স্বর আছে - যড়জ ও কোমল ঋষভ। ঐ গণদল কেবল মাত্র ঐ দুইটি আশ্রয় করিয়া নৃত্য করিতেন, যদিও নৃত্যকলা অনুসারে উহা অভ্যস্ত দুরূহু ব্যাপার। কথিত আছে যে, ভগবান শিব উপহার জমুচরদিগের ঐ মৃত্যে প্রসন্ন হইয় তাহাদিগকে বর দান 3 و سیست-3ضای “মন্তময়ুর শৈৰ সন্ন্যাসী রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায় করেন—“তোমরা পৃথিবীতে ষাও এবং সেখানে জন্মগ্রহণ করিয়া মত্তময়ুর নামে প্রসিদ্ধ হও। অষ্টবিংশতি শিৰতত্ব মধ্যে তোমাদের গণনা হইবে।” কথিত আছে যে, ঐ শিব-গণই এই সম্প্রদায়ের প্রবর্তৃক । - কোন সময়ে মত্তময়ুর সন্মালী সম্প্রদায় দক্ষিণ ইতে মালব দেশে আগমন করেন। তাহার অন্তর্গত গোয়ালিয়রে উপেন্দ্রপুর ও রাশোড় নামক দুইটি স্থানে ইহাদের বড় বড় মঠ বিদ্যমান আছে। রাণোড় মঠের শিলালিপি হইতে জানা যায় যে, ইহাদের গুরুপরম্পরা ইতিহাস পরে পরে লিখিত হইত। মালবের মৰ্ত্তময়ুর সম্প্রদায়ে কদম্বগুহাধিবাসী নামক মোহন্তই সৰ্ব্বপ্রথমে ঐ পদে অধিষ্ঠিত হন। উহার পর শখমঠাধিপতি এবং তাহার পর ভিরস্থিপাল রাশোড় মঠের মোহন্ত পদ পাইয়াছিলেন। জব্বলপুরের চৌষটি যোগিনী মন্দিরের শিলালেখ অনুসারে “তিরঞ্চি” দ্বাদশভূজা দুর্গ বা মহিষমৰ্দ্দিনীর নাম। তিরদ্বিপালের শিষ্য আমর্দক তীর্থনাথ এবং তাহার শিষ্য পুরুন্দর ছিলেন। মালবরাজ অবস্তিবৰ্ম্ম শৈবধৰ্ম্মে দীক্ষা গ্রহণের জন্ত পুরন্দরকে মালব দেশে আনয়ন করেন। পুরন্দরের নিকট দীক্ষার পর অবস্তিবর্শা উপেন্দ্রপুরে মঠ স্থাপনা করেন। পুরন্দরের শিষ্য কবচশিব এবং তাহার শিষ্য সদাশিব ছিলেন। সদাশিবের শিষ্য হৃদয়েশের শিষ্য ব্যোমশিবের সময়ে রাশোড় বা রণপত্রপুরের শিলালিপি খোদিত হয়। পুরন্দরের অঙ্গ শিষ্য চূড়াশিব ( বা শিখাশিব ) হৈহয়রাঞ্জ চেদিচন্দ্রের ( বা দ্বিতীয় যুবরাজদেব ) নিমন্ত্রণে চেঙ্গিরাজ্যে আসেন। শিখাশিব নিজে গোলকী ( বা গুর্গকি ) মঠে আসীন হইয়া স্বীয় শিষ্য হৃদয়শিবকে রাজা লক্ষ্মণরাজপ্রদত্ত বিলহীন মঠ প্রতিষ্ঠিত করেন। নর্শদা-জলপ্রপাততটস্থ বৈদ্যনাথ মহাদেবের মন্দির ও'ম, এই সাপীদিগের অধিকারে ছিল। শিখশিবের অন্য শিষ্য প্রভাৰশিবের গুরুপরম্পরায় গোলকী ও বৈদ্যনাথ
পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/২৯৩
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।