পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/২৯৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জ্যৈষ্ঠ মত্তময়ুর ও শৈৱ সন্ন্যাসী ২৬৭ মঠও দ্বিতল। ইহার সম্মুখে বারোটি স্তম্ভের উপর স্থাপিত একটি স্বারাও আছে। বারাগুার সম্মুখে প্রস্তর-নিৰ্ম্মিত লম্ব চত্তর আছে যাহা সন্ন্যাসীদিগের বসিবার জন্য নিৰ্ম্মিত হইয়াছিল। বারাণ্ডার পিছনের দেওয়ালে মোহস্ত প্রবোধ গুরুগৃহের চৌকাঠে জটাজুট কৌপীনধারী গুরুদেবের মূৰ্ত্তি আছে। দেবগৃহের চৌকাঠের মূৰ্ত্তির মধ্যে লক্ষ্মী, সরস্বতী, গণপতি, সুর্য্য, রুদ্র, বিরুপাক্ষ, নটেশ ও অন্যান্য দেবমূৰ্ত্তি দেখা যাম, তৰে সকল মুঞ্জির পরিচয় পাওয়া যায় না। শিবের শিলালিপিতে জানা যায় যে, তিনি কলচুরি চেদি ৭২৪ সংবতে গুরু প্রশাস্তশিব নিৰ্ম্মিত শিবমন্দিরের নিকট এই প্রস্তরের মঠ নিৰ্ম্মাণ করেন। বারাগু হইতে এক প্রবেশপথ ভিতরে যায় এবং উহার শেষে এক অঙ্গন আছে । এই অঙ্গনের চারিধারে বারাও এবং ঐ বারাণ্ডাম স্তিত ১২-১৪টি দ্বার মন্দিরের বিভিন্ন কক্ষে যাইবার পথ। ঐ কক্ষগুলি দুই প্রকার, প্রখম দেবগৃহ বা গুরুগৃহ, দ্বিতীয় বাসগৃহ । প্রথম শ্রেণীর কক্ষের দ্বারের উপরের চৌকাঠে এক-একটি বা তিন-তিনটি করিয়৷ দেবমূৰ্ত্তি আছে, সন্ন্যাসী-বাসকক্ষের চৌকাঠে ঐরূপ কোনও মূৰ্ত্তি নাই। বিলহার গ্রামে লক্ষ্মণসাগরের তীরে প্রশাস্তশিব কন্তু ক নিৰ্ম্মিত শিবমন্দির ( খং সন ৯৭৯ ) এখন ইহা কামকম্বল ৰটার মন্দির’ নাৰে খ্যাত যুবরাজদেবের রাজত্বকালের হরগৌরীর-মুৰ্ত্তি। উচ্চতা ১২ ফুট অঙ্গনের দক্ষিণ পাশ্বে এক বিরাট কক্ষে চারটি ছোট ছোট সমাধিগৃহ আছে। ঐগুলিতে একটি করিয়া দ্বার আছে, কিন্তু জানালা বা অন্য পথ নাই । মঠের বক্তমান অবস্থায় বুঝা যায় না যে, দ্বিতলে যাইবার পথ কি ছিল । দ্বিতলে দুইটি প্রশস্ত কক্ষের চিহ্ন আছে এবং মনে হয় ঐদুইটি শিক্ষালয় ছিল। কারণ দেবগৃহ বা গুরুগৃহের উপরের তলে সন্ন্যাসীদের শয়ন-ভোজন নিষিদ্ধ এবং আয়তন পরিমাপেও ঐ দুইটি কক্ষ বিশাল। স্বতরাং চন্দ্রেহী মঠের দ্বিভলের ঐ কক্ষগুলি ছাত্রদের শিক্ষাগৃহ রূপেই নিৰ্ম্মিত হইয়াছিল বলিয়া বোধ হয়.।