পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩০৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জ্যৈষ্ঠ, আকাশের মহাশূন্তভায় কত বিচিত্রতার ছবি আঁকিতেছে— সিড়ি ভাঙিয়া ছাপাইতে হাপাইতে জিমি জাসিয়া উপস্থিত হইল ৷ জণিমা তাড়াতাড়ি সোঞ্চ কিংবা চেয়ার হইতে নামিম্বা তাঙ্কার বিকৃঝিঙ্কে কোকড় লোমেভরা গলাটা জড়াইয়া ধরিয়া আকুলভাবে প্রশ্ন করে -“কোথায় ছিলি এতক্ষণ, পোড়ারমুখী ?” জিমি উ গুর দিতে পারে না বলিয়াই তাহার বক্তব্য সম্বন্ধে অণিমার কোন দ্বিধা সন্দেহ থাকে না ; বলে –“বুঝেচি তুই কার কাছে ছিলি-তোর চাইবার ভঙ্গিতেই বুঝেচি। কি করচে রে –খুব পড়চে, না ?...তুমি বলবে এগজামিন, তুমি বলবে ঘুমটা দরকার...ছাই এগজামিন, ছাই ঘুম, ওসব কিছু দরকার নেই ; তুই যা, বেরে; ” একটু ধাক্ক দিম! আবার কোমরটা সঙ্গে সঙ্গে জড়াইয়া ধরে, বলে—“কি দেখলি ল' ? খুব বুঝি পড়চে ?” - জিমি প্রত্যাখ্যানের সঙ্গে সঙ্গে এই সোহাগটুকু পাইয়৷ প্রবলবেগে ল্যাজ আর মাথাটা নাড়িতে থাকে । অণিম উল্লসিত হইয়া তাহাকে বুকে জড়াইয়া ধরে, বলে –“পড়চে না, না ? - সে আমি জানি ; আমায় ছেড়ে থাকলে ওর নাকি আবার পড়া হয় । যখন ফেল ক’রে বসবে তখন বড়ঠাকুরের চাক হবে ।” জিমির সামনের হাত দুটা তুলিয়া ধরিয়া প্রশ্ন করে— “কি বলিস্ r" د% . ঞ্জিমি জিভ বাহির করিয়া প্রবলবেগে মাথা ফুলায় । অণিমা তাহাকে ঠেলিয়া দিয়া বলে—“ন, তখনও হবে না ?— আচ্ছা _য, তোকে আর দৈবঞ্জগিরি ফলাতে হবে না, কালামুখী কোথাকার ।” অভয়পদর ঘরে গাঙ্গ-কল্প বই খাতার সোদ গন্ধ হঠাৎ চাপ পড়িয়া নববধূর জামা কাপড়ের পরিচিত এসেন্সের বাসী গন্ধয় ঘরট ভরিয় ওঠে ; মুখ ফিরাইয়। চাপা উল্লাসের সহিত বলে -“জিমি বুঝি " কোথায় ছিলি এতক্ষণ ? কোথায় এভক্ষণ ষে ছিল তাহ জানে বলিয়াই আর উভয়ের প্রয়োজন হয় না ; ‘জার'—বলিয়া তাহার গলাট জড়াইজ কাছে টানিয়া লয়। বধূর মত মত আবলতাৰল বকে না, মুখের পানে আবেগম দৃষ্টতে চাহিৰ ধীরে ধীরে কপালটিতে হাত বুলার। ওর সমস্ত শরীরটাতে অণিমার স্পর্শ মাধান আছে, সৰ্ব্বাঙ্গ দিয়া যেন সেটা মুছিয়া লইতে থাকে । , আলতাব অত বেশী ধকে না বটে, তবু এক-আধটা কথাবাহির হইয়াই পড়ে, প্রকৃতিস্থ লোকের মুখ দিম্ব ঘাঁহ বাহির হইতেই পারে না। কলে-“কথা কইতে তুই শিখবি নি জিমি ?-ছটা কথাও আমার জর্ণিমার কাছে পৌঁছে দিতে পারিস , • * * - 3 একটু ঋষি বলে-“দেখ না, তোদের দেশে হুকুরের অণিমা নীচের বিচিত্ৰতায় শুষ্কতা দেখিতেছে, কিংবা । &ፃፃ কত বড় বড় কাজ করচে ; কত খুনী আসামী ধরিয়ে দিচ্চে, কত খবর পৌছে দিচ্ছে, কত ..” । এই ধরণের প্রাত্যহিক কথাবার্তার মধ্যে অভয়পদ এক দিন একটু বেশীক্ষণ খামির ৰুি একটা ভাবিল, তাহার পর । বইয়ের গাদ ছাড়িয়া উঠিয়া পড়িল, টেবিলের উপর একট। শক্ত নীল স্বভার বাণ্ডিল ছিল, তাহার খানিকটা ছিড়িমা লইয়া, তাহার মাঝখানে একটা কাগজের টুকরা বঁধিল, তাহার পর স্বত্তাটি জিমির বুকের চারিদিকে বেড় দিয়া বাধিয়া, স্বভাটি ও তৎসংলগ্ন কাগজটি তাহার স্বীর্ঘ কেশরাশির মধ্যে সন্তপণে ঢাকিয় দিল । . , দাদার ভাই প্রতি-গবেষণা লাগাইয়াছে । কিন্তু হায়, সাফল্য-লক্ষ্মী নিতান্তই বিমুখ —পাঞ্জরার চারিদিকে হঠাৎ এ-এক নৃত্তন উপদ্রবে জিমি ঘোর আপত্তি লাগাইয় দিল । উঠিম, পড়িয়া, গড়াইম্বা এক মহামারি কাও বাধাইয়া দিল, এবং শেষে ছিড়িবার চেষ্টায় স্বতটির মধ্যে সামনের একটা পী আটকাইয়া যাওয়ায়, তিন পায়ে সমস্ত ঘরট ছুটাছুটি করিতে করিতে পরিত্রাহি চীৎকার স্বরু করিয়া দিল । দাদা বুঝি আসিম্বা পড়ে ! সমস্ত ঘরটায় একটা ছুরি ৰি কাচি নাই । অবশেষে নিরুপায় হইয়া অভয়পদ জিমিকে এক হাতে জড়াইয়া ধরিয়া, স্বতটি সাধ্যমত একটু টানিয়া ধরিয়া, দাত দিয়াই ছেদন করিয়া দিল । মুক্তির আনন্দে এবং কতকটা বোধ হয় প্রভুর এই হঠাৎ ভাবপরিবর্তনে অনেকটা সন্ধিগ্ধচিত্ত হইয়াও, জিমি আর কালবিলম্ব না করিয়া তীরবেগে বাহির হইয়া গেল । নিরাশ হইয়া অভয়পদ একটা চেন্নারে বসিয়া পড়িল ;– অর্কুট স্বরে নিজেকেই বলিল-“একটু ট্রেনিং দিতে পারলে ঠিক চিঠিটা পৌছে দিতে পারত, কেউ টেরও পেত না ; কিন্তু ষা হল্প স্বক্ষ করে দিলে ।” একটি দীর্ঘনিঃশ্বাস পড়িল । কিন্তু হাজার হৌক প্রেমিকের মন, তায় আবার বিরহশাণিত একটি বিফলতাতেই তাহার উদ্ভাবনীশক্তি লোপ পায় না । এদিকে একটু স্বয়াহাও হইল – সঘন্তু দিন তর্কে তর্কে থাকিয় খবর পাওয়া গঙ্গ খঞ্জগোসের জোড়া ভাঙিয়া একটি পঞ্চভূপ্রাপ্ত হইয়াছে, দাদা কাল সকালে টেরিটিবাঞ্জারে যাইবেন । অঙ্গপদ আন্দাজ DBB DBB BBBBB BBBS S BBBS BB খরগোল । তা ভাল হইয়াছে ; দাদার হাত থেকে তো পরিত্রাণ পাইয়াছে । শুামাপদর মোটরের আগ্রাম যখন দূরে মিলাইয়া গেল, অভয়পা ধীরে ধীরে বাড়ির দিকে পা খাড়াইল । দুখারের কাছেই ছোট ভাইপোর সঙ্গে দেখা হওয়ায় প্রশ্ন করিল“দাদা কোথায় রেখলু, তাকে আজ সকাল থেকে দেখছি না ষে ?” . . . , -