পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩৫৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

^^3: লে ডাহার কোমরে-জড়ান একটি কাপড়ের থলি হইতে একটি তুলার গুটি বাহির করিত। এই তুলার গুটিতে গো-বসন্তের বীজ রক্ষিত থাকিত। টকাদার এই তুলার গুটিটি অতি যত্নসহকারে দুই-ভিন ফোট গঙ্গার জলে ডিজাইয় ভাইয়া ক্ষতস্থানে বসাইয়া দিত। সেই জায়গাটি তখন একটি ছোট কাপড় দিয়া বাধিয়া দেওয়া হইত। ছয় ঘণ্টার পরে এই ব্যাণ্ডেঞ্জ অপসারিত করা হষ্টত এবং তুলার গুটিটি যতক্ষণ না আপন হইতে শুকাইয় পড়িয়া যায় ততক্ষণ উহাকে সেই জায়গায় রাখা হইত। এই সকল তুলার গুটীর মধ্যে একবৎসর আগে টকা লইয়া বসন্তরোগদ্বারা আক্রাস্ত হইয়াছে এরূপ লোকের রোগের গুটি রাখা হইত। তথনকার টীকাধারেরা কখনও টাটুক অথবা স্বভাবজাত বসন্তরোগের গুটি দিয়া টীকা দিত না । - ংে-দিন টকা দেওয়া হইত তাহার পরের দিন প্রতু যে ও সন্ধ্যায় রোগীকে দাড় করাইয় তাহার মাথা উপরে চার বালতি ঠাও জল ঢালি দেওয়া হইত। এই প্রক্রিয় তিন-চারিনি ধরিয়া করিবার আদেশ ছিল, যতক্ষণ না রোগী বেশীরকম জরে আক্রাস্ত হয়। ইহার পর দুই-তিন দিন ঠাণ্ড জুল দ্বার স্থান করান বন্ধ রাখা হইত এবং এই সময়ের মধ্যে রোগীর শরীরে বলস্তরোগের গুটিগুলি বেশ ফুটিয়া উঠিত। তখন জরের মধ্যেই ঠাও জল দ্বারা স্নান করান আবার স্বরু করা হইত, যতদিন না - বসগুরোগের গুটিগুলি শুকাইম পড়িয়া যাইত। গুটিগুলি ভাল করিয়া শুকাইবার পূর্বেই টঙ্কারের নির্দেশ থাকিস্ত ধে গুটিগুলি খোঁচ দিয়া উঠাইয়। ফেলিতে পার বায়। রোগীকে মুক্ত বাতাসে বসিতে এবং মুক্ত বাতালে চলাফেরা করিতে আদেশ দেওয়া হইত এবং ঘরের মধ্যে বন্ধ থাকা একেবারেই নিষিদ্ধ ছিল । ব্যাধি হইতে মুক্ত হইবার পরে দেবদেবীকে পুঞ্জ দিয়া সন্তুষ্ট করিখার প্রণালী প্রচলিত ছিল । টীকাদার তাহার পারিশ্রমিকস্বরূপ একপণ কড়ি লইয়াই সন্তুষ্ট থাকিত । ইহ ভিন্ন ংে-রাড়িতে টাকা দেওয়া হইয়াছে সে-বাড়ির লোকেরা যাহতে টীকা লইবার পরে একুশ দিনের মধ্যে অন্য বাড়িতে না যায় এবং অন্য বাড়ির লোকের ঐ সময়ের মধ্যে তাহাদের বাড়িতে ল আসে—তস্বিষয়ে কঠিন নিষেধ ছিল । কেহু এই নিয়ম ভঙ্গ করিলে তাহাকে তৎক্ষণাৎ স্নান করিস্থা কাপড় কানাইতে ইষ্ট । ঐ সময়ের মধ্যে কোনও নাপিত সেই ঘাড়িতে ক্ষৌরকার্য্য করিতে আসিতে পারিত না। এই সকল সতর্কতাসত্ত্বেও যাহাড়ে টাকা ধারা বসস্তরোগের বিস্তার না হয় বেই জম্ব টীকাদারদিগের নিয়ম ছিল যে, কোনও গ্রামে অধিকাংশ লোকেই টীকা গ্রহণ না করিলে—সেই গ্রামে কাহাকেও টীকা দেওয়া হইবে না। আসন্নপ্রসব স্ত্রীলোক অথবা অন্য কোনও লোক যাহারা বিশেষ কোনও কারণে টীকা লইতে পারে না, তাহাদিগকে একুশ দিনের জন্য গ্রাম হুইজে সরাইয় দেওয়া হইত। যাহারা টীকা লুইত, রোগমুক্ত না হওয়া পধান্ত পুষ্করিণীতে স্বান করা তাহাদিগের পক্ষে একেযারেই নিষিদ্ধ ছিল । * হলওয়েল স্বীকার করিয়াছেন যে ১৭৬৭ খৃষ্টাকে বাংলা দেশে উপরিউক্ত প্রণালীশ্বর টীকা গ্রহণ করিয়াছে, এরূপ লোকের মধ্যে মৃত্যুসংখ্যা দুই শতের মধ্যে একজনেরও কম ছিল এবং এই প্রসঙ্গে জেমৃদও স্বীকার করিয়াছেন যে, “There can be no doubt that in those comparatively olden times a high degree of knowledge în regard to the procedure necessary for success have been attained”—“g of word করা যায় না যে, সেই অপেক্ষাকৃত প্রাচীনকালেও বসন্তরোগের প্রতিকারের খুব উচ্চাঙ্গের ফলপ্রদ প্রণালী ভারতীয়গণের জানা ছিল।" জেম্স আরও বলিয়াছেন, “We see then that in olden times when all the rules just onumerated were strictly enforced and when the operation was performed by the professional Brahmin inoculators only, the measure proved a real inhabitants blessing to the of a certain part of India.”—“wrot Cosos of ch অতি প্রাচীনকালে, যখন উপরিউক্ত নিরমাবলী যথাযথক্রপে পালন করা হইত এবং যখন টীকা দেওয়ার ভার পেশাদার ব্রাহ্মণ টীকাদারদিগের হুস্তে সমৰ্পিত ছিল, সেই সময়ে ভারতবর্ষের কোন কোনও অংশে উৎকালীন বসন্তচিকিৎসার প্রণালী সত্যসঙ্গই প্রভূত উপকার স্বাধন করিয়াছিল।" যতদিন শিক্ষিত টাকাদার সম্প্রদায়ের হাতে টাকা দেওয়ার ব্যবস্থা নুপ্ত ছিল, ততদিন ভারতীয় টকপ্রণালী পৃথিবীর .