পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩৬১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিৰাগী ঐ বন্দন দেবী 55ীপুর গ্রামের একধারে একটি মাটির ঘরে বসি৷ সিস্কেশ্বর মাটির বাসন তৈরি করে । বয়স ডাহার প্রায় ত্রিশ-পয়ত্ৰিশের উপর হুইয়াছে। কিন্তু তাহাকে দেখিলে সত্তর বৎসরের জরাজীর্ণ বৃদ্ধ বলিয়া মনে হয় । মুখ ভাঙিয়া গেছে, বুকের অস্থিগুলো এক-একটি করিম্ব গণ্য ধাম। একথান ভাঙা চশমা চোখে দিয়া সে ধীরে ধীরে আপনার কাজ করিয়া যায় । সারাদিনে কয়েকটি মাত্র বাসন ठेउन्त्रि ठ्ध्र । ভাল কাজ করে বলিয়া পাড়ার লোক তাহাকে অনেক কিছুরই ফরমায়েল দিয়া যায়। নির্দিষ্ট দিনে তাহারা আসি৷ ধখন জিনিষ চায়, তখন হম্বত অধিকাংশই তৈরি হয় নাই । সে হাতজোড় করিয়া অনেক অমুনয়-বিলম্ব করিয়া বলে, “বাবু, হাতে এত কাজ, তাই এক সব ক'রে উঠতে পারিনি।" সকলে বিরক্ত হইয়া চলিয়া ষায়। কথাটা সিদ্ধেশ্বর বাড়াইয়ু বলে। আসলে কিন্তু কাজের প্রতি মনোযোগ তাহার সকল সময় থাকে না। সকলে চলিয়া গেলে হয়ত সে চশমাথানি খুলিয়া রাখিয়া বাহিরের দিকে একদৃষ্টি চাহিয়া থাকে। অনেকক্ষণ পরে কেমন যেন চোখ দুইটি তাহার ছলছল করিয়া উঠে । কাপড়ের খুটে চোখ মুছিয়া সে আবার কাজ করিতে থাকে। এমনি অস্তমনস্কতায় তাহার দিন কাটে, কাজের উপর কাজ छभिन्न যায়। এক একদিন ভোর হইতে আবার এত ব্যস্ততাসহকারে কাজ করিতে থাকে যেন একটু নিঃশ্বাস ফেলিবারও তাহার সময় নাই। স্ত্রী লক্ষ্মী আসিয়া বলে,-“আজ যে নাওয়াখাওয়া একেধারে ছাড়লে দেখছি । পরের কাজ নিয়ে এত খেটে কি লাভ বল ত পয়সা ত বা দেয়। শরীরে তোমার ক-থানা হাড় ছাড়া আর কি আছে ।" সিদ্ধেশ্বর জবাব দেয় না, নিঃশ্বক্সে কাঞ্জ করিতে থাকে। ! সিদ্ধেশ্বরের জীবনকাহিনী বলিতে গেলে সেই সূত্রে তাহার ছোটবেলাকার কথাও আসিয়া পড়ে। তখনকার দিনে তাহার বাপ বংশীবদনই ছিল সেই পল্লীতে একমাত্র লেখাপড়া-জান লোক। জমিদার-সরকারে সে তহশীগদারের কাজ করিভ । - পাড়ায় তাহার বেশ সম্মান ও প্রতিপত্তি ছিল । কাহাকেও উপদেশ দিয়া, কাহারও ঝগড়-বিবাদ মিটাইম্বা দিয়া, কাহাকেও দু-চার টাকা সাহায্য করিদ্ধা সে বেশ জনপ্রিয় হইয় উঠিাছিল। পাড়ার সকলেই বিপদে-আপদে তাছার নিকট इउि । পুত্র সিদ্ধেশ্বরকে কিন্তু বংশী কোনদিন পাঠশালায় পাঠাইতে পারে নাই। এমনি ডানপিটে ছেলে ছিল সে। একটি ছিপ হাতে করিয়া কেবল এ-পুকুর হইতে ও পুকুর ঘুরিস্থ বেড়ায়। কোথায় এক ছেলে না-কি তাহার ছিপের জাগয় ঢ়িল ছুড়িয়াছে, ছুটির গিম। তার গালে এক চড় বসাইয়া দেয়। বিকালবেলা দেখে, একটি ছেলে ঘুড়ি ইয়া মাঠে ঘাইতেছে, সে তাড়াতাড়ি আসিয়া বলে,—“ভাই, আমাৰে একটু উড়াতে দিবি?” ছেলেটিও আপত্তি করে না। তারপর মাঠে গিয়া সিদ্ধেশ্বর মনের মুখে খুড়ি উড়া, ছেলেটিও দেখিয়া বেশ খুনী হয়, ভাবে-নূতন সঙ্গীটি কত উপরে তুলিsাছে, বাপ রে-সে তো মোটেই পারে না। ৰিঙ সিদ্ধেশ্বর কতক্ষণ পরে ঘুড়িটি লুইম্বা এক দৌড় দেন্থ। ছেলেটি ত কাদিতে কাদিতে পিছনে পিছনে ছুটিা মরে । সিদ্ধেশ্বর ততক্ষণে বাড়ি পৌছিম্বা গেছে, ছেলেটি পরে বংশীর নিকট লালিশ করিয়া নাটাই লইধু ঘাষ। একদিন ঢ়িল ছুড়িম্বা কাহার একটি ছাগল ও সে মারিয়াই ফেলিয়াছিল, শেষে মালিককে অনেক বুঝাইয়। তবে বংশীর ইজ্জত বঁাচে । বাপ ত তাঁহার আশা একেবারেই ছঃড়িয়া দিয়াছে, এমন ছেলে মরিলেই বঁাচে । রাতদিন ইহার যন্ত্রণায় ভূগিবে কে। খুনী মত বাড়ি কেরে, কখন আসিয়া চুপি চুপি ভাত খাইম্বা ধাম । - কোথাও বাজাগান হইতেছে শুনিলেই আর সিধুকে পার