পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩৬২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৩২ w: প্রবাসনা ;} কে? এমনি তাহার সখ, আহার নিদ্র ভুলিয়া ছুটে । ছেলেটার ভয়-ভর বলিয়া যেন কিছু নাই। ভূতপ্রেতের ভয় দেখাইলে বলে—“ছ, ওসব আমার সাথে খাটে না, আহক ড - দেখি সামনে, পিটিয়ে ঠিক ক'রে দেব না।" একদিন পাড়ার ছেলের যুক্তি করিয়া এক জনকে ভূত লাজাইয়া বঁাশঝাড়ের তলায় বসাইয়া দিল। সিদ্ধেশ্বর সেই পথ দিয়া আসিতে এই সকল ভূত একটি বিকৃত শব্দ করিয়া তাহার সামনে পড়িল। সিদ্ধেশ্বর কিন্তু সহজে কাবু হুইবার ছেলে নয়। এ সমস্তই যে শয়তানী তাহ তাহার বুঝিতে বাকী বুহিল না। আর ৰি, হাতের বেতটি দিম্বা পিটাইতে পিটাইতে ভূতকে আধ-মরা করিয়া ছাড়ে। ভূত কাদিয়া উঠিয়া বলে,— “আমি ভোলা রে, আমি ভোলা।" সিদ্ধেশ্বর হাসিয়া বলে,— “তুই এখানে কেন, আমায় ভয় দেখাতে, না ?” যাত্রাগানে একটা কিছু সাজিতে সিদ্ধেশ্বরের অনেক দিন হইতেই সখ। সে ভাবে, রাজী সাজিয়, গান গাহিয়া এতগুলি লোককে খুশী করিতে পারা যেমন-তেমন নয় ; সেখানকার ঝঙ্কমকে পোষাকগুলি পরিতে তাহার বড়ই ইচ্ছা হয়। তাহার সবচেয়ে ভাল লাগে যুদ্ধের দৃগুট। কি ভয়ানক । চকচকে তলোমারগুলি ঠকাঠক শব্দে কঁপিয়া উঠিঙেছে। ঝাড়লণ্ঠন, স্বাক্ষস সব এখনই ভাঙিম বুঝি একাকার হইয়। যাইবে । সার দেহু তাহার একেবারে কাটা দিয়া উঠে । তারপর কোন রকমে সে একটি যাত্ৰাদলে দুটা গেল। fক আনন্দ তাহার। কত বড় বড় জমিদার, রাজার বাড়িতে তাঁহাদের ডাক পড়ে। একদিন ধ্রুব সাজিয়া সে ত সকলকে একেবারে কাদাইয়া দিয়াছিল। চারিদিক হইতে অসংথ্য লোকের আবেগধবনি শুনিয়া তাহারও চোখে জল আসিয়াছিল। সেদিন সে আর গাহিতে পারে নাই । এ-পর্যন্ত গোট|পাচেক রূপার মেডেল সে পাইয়াছে। কিন্তু বালক-মন তাহার মা-বাপের জন্ত মাঝে মাঝে `Gभङ्गिविा बैiविा ऐे । एश्रृिङ्गानिौद्र ६थॆन-७५न एवख्ठाष्ठानि সে আর সন্তু করিতে পারে না। বাড়ির পুরাণে কথাগুলো মনে পড়ে। কতদিন মা ভাত বাড়িম্বা তাহাঁর জন্ত দুষ্কারে ঠেস্ দিয়া বসিয়া থাকিত, সে না জাসিলে খাইত না। বাপের কাছ হইতে খুব মার থাইয়। যখন সে ঘরের পিছনে গিয়া ইটুতে মুখ লুকাইয়া কাদিতে থাকিত, তখন মা আসিয়া চোখ ఏ383 মুছাই দিম্ব তাহাকে সাত্বনা দিত। আজ সেই মায়ের গ্রেহের নিবিড় বন্ধন ছিড়িয়া সে কত অজানাদেশে ঘুরিয়া বেড়াইতেছে, না-জানি তাহার কোমল অস্তরখানি কেমন করিতেছে । নিরালা সেই মাছের কথা ভাবিয়া তাহার বুকের ভিতরট যেন কঁাপিয় উঠে, চোখ দুইটা জলে ভরিয়া আসে। তারপর নানা গোলমালে তাঁহাদের দল ভাঙিয়া গেল । সিদ্ধেশ্বর জমানো মাহিনার টাকাগুলি লইয়া বাড়ির দিকে রওনা হইল। সেই তাহদের গ্রাম চণ্ডীপুর। প্রখর রৌত্রে ঐ কদম্বগাছটির মাথায় বসিয়া কি একটা পার্থীর একটান। স্বর তাঁহার মনের তারে র্কাপন তুলিয়া দেয়। দূর হইতে ঝিঁঝিপোকার গুস্থান কানে আসিয়া বাজে। সিদ্ধেশ্বর শিষ দিতে দিতে চলে পথের দু-ধারে বড় বড় বঁাশঝাড়, বেতবন ঝুকিয়া পড়িয়া একটা আলো-অন্ধকারভরা রংস্যের স্বষ্টি করিষ্কাছে। তাহার ভিতর দিয়া পল্লীলক্ষ্মী যেন তাহাকে ভাকিতেছে - ওরে আয়, ফিরে আয়। গাছে । গাছে আম পাকিয়া ঝরিরা যাইতেছে। তাহা দেখিয়া তাহার ভিত্তরে অনেক দিন আগেকার দুরন্তপন জাগিয় উঠে। ঐ ধানঙর মাঠ। ইহারই পাশে এক গাছতলায় বসিয়া সে বঁাশী বাজাইত। সেই স্বর মাঠের শেষপ্রান্তে যেখানে আকাশ নামিয়া পড়িয়াছে সেইখানে গিয়া ধ্বনিত হইত। এমনি নানা কথা ভাবিয়া বিশ্বম্বপূর্ণ দৃষ্টিতে চারিদিকে তাকাইতে তাকাইতে সে প্রাম বাড়ির কাছে আসিম্বা পড়িল। হঠাৎ খেয়াল চাপিল, মেডেলগুলি গলাম ঝুলাইয় সে সবাইকে বেশ তাক লাগাইয়া দিবে। এখানে ত কেউ কোন দিন মেডেল দেখে নাই। ভোলা পথে সিদ্ধেশ্বরকে দেখিম কহিল,—“কি রে সিধু, তুই হঠাৎ কোথেকে এলি ? সেই যাত্ৰাদলে ছিলি এতদিন । বাঃ, তোর গলায় ওগুলে৷ কি রে? একটু দেখতে দে না ভাই ?” সিদ্ধেশ্বর দেখিতে দেয়। ভোলা এপিঠ-ওপিঠ উণ্টাইয়া দেখিয়া জিজ্ঞাসা করে,-“এ সব কি দিয়ে তৈরি রে?” সিদ্ধেশ্বর বলে,—“রূপার ; বড় দাম এই মেণ্ডেলগুলোর । কত বড় বড় লোকেরা এ সব আমায় দিয়েছেন জানিল । আমার গান গুনে উারা এত খুশী হতেন।” বিস্ময়ে ভোলার চোখ এত বড় হইয়া যায় ।