পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩৬৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

“GO8 প্রতিদিন সন্ধা বেলগাছটার তলায় তুলসীমণ্ডপে একটি মাটির প্রদীপ জালাইয়া রাশিয়া লক্ষ্মী গলবস্ত্র হই। ঠাকুরকে প্ৰণাম করে। কতদিন একটি ছেলের জন্ত মাতৃত্বদম্বের কত আকুল মিনতি ঠাকুরের পায়ে চোখের গুলে ঝরিয়া পড়িআছে। লক্ষ্মী প্রার্থন। শেষ করির দেখে, বাতাসে প্রদীপখানি নিবিয়া গেছে। অনেক দিন পরে লক্ষ্মীর এক ছেলে হইল। বহুদিনের শাকীক্ষার ধন-স্বাধীর ঘর আলো করিয়া পাত রাজার দৌলত এক মাণিক । সিদ্ধেশ্বর তাহাকে কোথায় ৱাপিবে ভাবিয়া পায় না ! প্রতিনি ভোরে উঠয় সিদ্ধেশ্বর খোকাকে কোলে তুলিয়া নাচায় । একটি তালপাতার সিপাই সে মেলা হইতে কিনিয়া আনিয়াছে। তাঁহা নাড়িম্ব নীড়িয়া থোকাকে খেলা দেয়। খোকা যখন কাদিয়া উঠে তখন সে কত রকমের অঙ্গভঙ্গী কড়িয়া খোকাকে ধামাইতে চায় । ব্যাপার দেখিয়া লক্ষ্মী হাসির ঘরখানা কঁপাইয়া তোলে । খোকার জয়প্রাশনের দিন সিদ্ধেশ্বর কয়েক জন বন্ধুযাৰহকে নিমন্ত্ৰণ করিল। গণক-ঠাকুর ছেলের কোষ্ঠী দেখিয়৷ কছিলেন—ছেলেটি বড় হইলে লেখাপড়া শিথিয় হখে খর করিবে-স্থারের পাশ হইতে লক্ষ্মীর বুকখানা আশায় আনন্দ নাচিয় উঠে । সিদ্ধেশ্বর আকাশের দিকে ছু-হাত তুলিয়া প্রার্থন জানায়, মনে মনে ভাবে, ছোটকালে লেখাপড় ন-শিখিা তাহার জীবনটি বৃথাই হুইয়াছে। খোকাকে নিশ্চয়ই লেখাপড়া শিথাইতে হইবে। সকলে মিলিয়া ছেলের নাম রাখে মাণিক । তারপর সন্ধ্যায় বসিয়া এই থোকাকে কেন্দ্র করিয়া তাহার ५-धरम शtभद्र नौज्र वैशृिषांश्च क्रङ कझन-छछन। कछ, लण्डौ बाल,-**५३ cशक दफ़ श्श सक्छ श्tद " नि:१५व्र उांश কিছুতেই মানিতে চায় না, সে বলে,—"ছেলে আমার ধারোগ হবে ষে।” লক্ষ্মী হাসিয় উঠে, বলে—“দূর পাগল, জজ খে শ্বারোগার চেয়ে অনেক বড়, মাইনেও তার অনেক বেশী।" সিদ্ধেশ্বরের তৎ। ভাল লাগে না, বলে,—“ন-ন, দারোগাই হবে, অত বেশী মাইনে দরকার নেই আমাদের।" সিদ্ধেশ্বরের এই প্রবল ইচ্ছার কিছু কারণ আছে। लाक्षाग्न ८६fü२णाञ्च ७कदां★ ५क प्रांtब्रtण॥ ७क शांफ़ि८७ &gt=at=it*}• ఎ983 | চুরির তদন্ত করিতে গিয়াছিল। সে-বেচার তামাশা দেখিঙে গিয়া অনর্থক দরোগ সাহেবের একটি কানমল খাইমাছিল। সেই ঘটনাটি তাঁহার এখনও মনে আছে। তাই সে অনেক দিন হইতে প্রার্থনা করিয়া আসিতেছে, তাহার একটি ছেলে যেন উত্তরকাঙ্গে দরোগা হুইম্বা কারণুে-অকারণে মামু-বর কান টানিবার অধিকার পায় । শুনিয়া লক্ষ্মীও ভাবেছেলেকে মারোগ হইতে হইবে । কিন্তু স্ব:ধর নীড় আর বাধা হইল না। সিস্কেশ্বর খেল দুর্ভাগের স্বম্বলিপি বুকে করিয়াই জন্মিয়াছিল। এতদিন পরে সে তাহার আদরের লক্ষ্মীকেও হারাইল । মৃত্যুশয্যায় লক্ষ্মীর বেদনাপাণ্ডুর মুখখানি দেখিয় সিদ্ধেশ্বর বক্ষে করাঘাত করিম উঠে, উপরের দিকে চাহিম। ডাকে—“হে ভগবান ! আমার সকল কিছুই গ্রহণ করিখ লক্ষ্মীকে বাঁচাও।" লক্ষ্মীর কপালে হাত দিয়া ভাঙা গলাম্ব বলে —"এর পর থেকে আমার কি ক'রে চলবে, লক্ষ্মী ?” লক্ষ্মী শুধু চোখ তুলিয় ভাঁহার পানে তাকায়, সেই চোখের কোণে জল ছলছল করিয়া উঠে। মাতৃহারা ছেলেটির তবিয়ং ভাৰিং সিদ্ধেশ্বর আকুল হয়। কচি শিশুটি যখন সমক্ষমত দুধ না পাইম্বা কাদির উঠে, পিন্থেখর তখন পাগলের মত হইয়া যায়। এমনি করিখ৷ ত অীর চলে না । একদিন থোকাকে কোলে করিয়া সিদ্ধেশ্বর পাশের বাড়ির এক বুদ্ধার কাছে গিয়া বলিল,-“সোনাপিপি, এ সংসারে থে আর মন বস্ছে না। লক্ষ্মী ত এমনি ধায় নি, আমার বুকথ:ন যে একেবারে ভেঙে দিয়ে গেছে। এখন থেকে বাইরে ঘুরে বেড়াব। খোকাকে তোমার দিয়ে গেলুম, তুমি তাকে মামুখ করে৷ " ধচিতে বলিতে তাহার কণ্ঠরুদ্ধ হুইয়া আসিল । সোনাপিসির হাতে খোকাকে আর কতকগুলি টাকাও দিয়া সে সেইদিনই ঘর ছাড়িয়া কোথায় চলিয়া গেল কেহই জানিল না। ২ারপর অনেক বৎসর কাটিয়া গেছে । সিদ্ধেশ্বর কত তীর্থে তীর্থে ধে ঘুরিয়া বেড়াইয়াছে তাহার হিসাব নাই। পরনে একখানা মঙ্গল ধূতি, গামে একটি বিরাট ঢ়িলে জাম, হাতে একটি ছাঠি। ঐ পোষাকে শীত গ্রীষ্ম বর্ষ। সে কাটাইয় দেয়। পথে পথে ঘোরে, আপন মনে কড কি