পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩৭৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আষাঢ় টেলিভিসন # H8ළු কোন জিনিষই দেখতে পাই ন সত্যি, কিন্তু একটু পরেই আবার অস্পষ্টভাবে অনেক জিনিস আমাদের চোখের ওপর ভেসে উঠে। তার কারণ অদৃশ্ব রশ্মি রয়েছে অন্ধকারে মিশে । সেই স্বল্প আলোতে লুকাস্থিত শত্রুসৈন্যের চেহারা যতটুকু আলোকিত হয় সেই আগে এসে পড়ে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় লেন্সের ভেতর দিয়ে আলো-বিদ্যুৎ-পরিবর্তৃক যন্ত্রে। এমনি ক’রে সব ছবি গড়ে ওঠে পর্দার গায়। এরোপ্লেনে, | জাহাজে, সব তাত্তে আঞ্জকাল এর ব্যবহার হচ্ছে। সামনে কোন বিপদ থাকলে এই যন্ত্রটা আমনি জানিয়ে দেয় । রাত্রে এর সাহায্যে দেখতে পাওয়া যায়, তাই এর নাম ‘নকৃটো-ভিসর’ | (Norto-visor)। (উপরের ছবিতে বেয়ার্ড সাহেব ও উর তৈরি ধন্থটি দেখুন)। কেমন করে গ্রামোফোন দিয়ে ছধি পাঠানো যায় এইবার প্তাই শুনুন। আপনার হয়ত ভাববেন-এ ত ভারি আশ্চৰ্য্য ব্যাপার! সত্যি কিন্তু তা মোটেই না। আমরা দেখেছি কেমন ক’রে সেলের ওপর আলো পড়ে, প্রবাহ বাড়ামকমায়। আচ্ছ, এই প্রবাইট। যদি টেলিভিসন যন্ত্রের -| বলে টেলিফোনে নেওয়া ধায় তবে নিশ্চয়ই আমরা শুনতে পাব একটা শব্দ-ত সে যতই শ্রতিকটু হোক না কেন। সেই শব্দ থেকে যদি আমরা গ্রামোফোনের রেকর্ডের মত রেকর্ড তৈরি করি, এবং সেই রেকর্ড স্থখন আবার বাজানো হবে কোন মাইক্রোফোনের সামনে স্বার সঙ্গে যোগ আছে টেলিভাইপরের বা টেলিভিসন মুস্ত্রের, তবে আমরা নিশ্চয়ই ছবি দেখতে পাব । এই কারণে এই যন্ত্রের নাম ফোনোভাইসর’ (Phonovisor) i পাচ জন বন্ধুবান্ধবের সামনে কোন একটা কথা বলতে গিয়ে অন্য একটা কথা ভুল ক'রে বলে ফেলে অপ্রস্তুতে পড়তে হয়েছে অনেককেই । যেমন মনে করুন--"চোখ দিয়ে দেখতে পাও না ? বলতে গিয়ে ‘কান দিয়ে দেখতে পাও না ?’ ব’লে ফেললে ধেমনট হয় আর কি । কিন্তু কানে গুনে পড়া বা কান দিছে যে দেখা যাম্ব তার প্রমাণ আজ আমরা পাচ্ছি। আমাদের প্রত্যেকের মুখমণ্ডলের একট-ন-একটা বৈশিষ্ট্য আছে যা দিয়ে আমরা পরম্পরকে চিনে নিই। এতদিন তা আমরা দৃষ্টিশক্তির সাহায্যেই করে এসেছি, এখন কিন্তু চোখে না দেখে শুধু কানে শুনেই বলে দিতে পারব, কে আমার সামনে এসে দ্বাড়িয়েছে—ঠিক ধেমান করে আজকাল অন্ধয়া মিনিটে ৬০টি কথারও বেশী পড়তে পারছেন। এতদিন ওঁরা স্পর্শশক্তির সাহায্যে করে এসেছেন ৷ এখন কিন্তু এমন একটা যন্ত্র বেরিয়েছে যা দিয়ে A থেকে Z পর্যাপ্ত এই ছাব্বিশটি অক্ষরের ক একটি স্বতন্ত্র স্বরবার করা যায়। এই কীট স্বর মনে রাখতে পারলেই কানে-গুনে পড়া সম্ভব হবে । সেটা শক্তও ময় তেমন । গানের কত রকম স্বর বখন মনে থাকে তখন এটাও কিছুদিন অভ্যাস করলেই সহজে হয়ে যায় । এই প্রসঙ্গে power tralismission-o বিষয় কিছু বললে বোধ হয় অবাস্তর হবে না। যে-কোন বড় নগরে যান, দেখবেন যে সেটা তারের জাল আর লম্বা লম্ব খুটি দিয়ে ঘেরা । তা না হলে আমাদের ঘরে ঘরে বিজলী বাতি জলাই দায় হয়ে ওঠে হে । সম্প্রতি দেখা বাচ্ছে যে এখানকার নগর-আওলিকদের মজর পড়েছে এই দিকে। সেটা খুবই সৌভাগের কথা । তাই আজকাল রাস্তার ওপর তার কমে গিয়ে তলায় চলে গেছে । আজকাল কিন্তু কোন তার বা খুঁটির সাহায্য না নিক্ষেও বৈদ্যুতিক শক্তি সরবরাহ সম্ভব হয়েছে। একটা ষ্টেশন থেকে বৈদ্যুতিক শক্তি