পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩৭৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

*B* শীতবস্তু, সিগারেট ও বুলেট ইন্ম বেলা থাকিতেই ডাক্তার বেলগাওঁ ও গোপীনাথ বাহির হইল, এমন সময় কম্পাউণ্ডার উমেশ আসিয়া উপস্থিত হইল, হাতে একটি ছোট শিশি। একবার হাই তুলিয়, মুখগহ্বর-নির্গত বায়ুপ্রবাহকে অন্ধুলিসঞ্চালনে আলোড়িত করিা এবং যা করেন মধুসূদন থলিয়া সে বলিল, “স্তার, এটি নিয়ে যান ।” “७ कि ?” “प्लेकुनिश्रा।” “ট্রিকৃনিয়া দিয়া কি হইবে ?” “কি জানি সাহেব, বলা যায় না। গায়ে মাখিয়ে দেবেন মহিষটার । বলুক ত হাতে রইলই, অধিকন্তু ন দোষায়।” “ভীর কাপুরুষ ” অনেক তর্কাতর্কির পরে, মেমসাহেবের আহরোধে এবং গোপীনাথের কথায় অবশেষে ট্রিক্‌নিয়া নেওয়া ঠিক হইল। উমেশ কম্পাউণ্ডার যা করেন মধুসূদন বলিয়াসরিয়া পড়িলেন। সন্ধার পুৰ্ব্বে যথাস্থানে পৌছিয়া গোপীনাথ ডাক্তারের নিষেধ সত্বেও মহিযটার আঘাত-স্থানে ক্লিকনিয়া মাথাইরা দিল এবং দুইজনে মাচানের উপর উঠা শিকারের অপেক্ষা করিতে গাগিল। কৃষ্ণপক্ষের মাঝামাঝি কোন একটা তিথি হইবে। চাদ দ্বিপ্রহর রাত্রির দিকে উঠবে। চতুৰ্দ্ধিকের নীরবতা ও নির্জনত যেন শিকারের প্রতীক্ষায় স্পন্দমান এই দুই মানবের কাছে আরও নিবিড়, আরও জমাট হুইয়া উঠিল। অন্ধকারে চারিদিকে বিশেষ কিছু দেব যাইতেছিল না; শুধু একে অস্তের অতি গান্নিধ্যহেতু পরস্পরের অস্তিত্ব জানিতেছিল ; অথচ শৰ নাই। দুইটি অশরীর বৃক্ষাগ্রাশ্রয়ী ছায়ামূৰ্ত্তি যেন মুহূৰ্ত্তে মূহূর্ক্সে এঞ্চে অন্যের কাছে অপরিচিত রহস্যময় হইয় উঠতে লাগিল। একে অন্থের মনে বিস্ময় উদ্বেগ এমন কি ভীতি জন্মাইতে লাগিল । পাশে ষে বসিয়া আছে সে কি মানুষ না প্রেতাত্মা ! বেলগাণ্ডগোপীনাথের কানে কানে বলিল, “আমি কি ধূমপান করিতে পারি?” গোপীনাথ তাহার মুখে অঙ্গুলিস্থাপন করিয়া কথা বলিতে ও ধূমপান করিতে নিষেধ করিল। বেলগাড়া কতগণ পরে পরেই তাহার উজ্জল হাতঘড়ির কাটা দেখিতেছিল। সময় ধেন জমিয়া গুৰু হুইয়া গিয়াছে, আর {ఙ7 SSD8S নড়িতেছে না। এমন করিয়া যদি সমস্ত রাত্রি মশকদংশন ও মাঘের শীত সন্থ করিতে হয় তধেই হইয়াছে ! রাত্রি বারোটা বাজিয়া গেল, কোন সাড়ী-শব্দ নাই । শীতের রাত্রিতে কোম নিশাচর পার্থী পৰ্য্যন্ত ডাকিল না। ধীরে ধীরে উত্তরে-বাঙাস বহিতে লাগিল এবং প্রায় একই সমক্ষে পুবদিকে অৰ্দ্ধবৃত্তাকার চাদ উঠতে লাগিল ৷ শীতশেষের মান নিৰ্ম্মেৰ আকাশ হইতে সেই নাতিপ্ৰথর কিন্তু মৃত্ন-উজ্জল জোংল্পরাশি নিশ্চিন্তপুর গুঞ্জলে ছড়াইয়া পড়িল । শাল-পলাশের পাতার র্যাক দিক্ষ দুই শিকারীর গায়ে এবং বুক্ষপাদমূলে সেই জ্যোংস্ক ডোর-কাটা আলোছায়ার স্বটি করিল। শোকের বুকে অত্যন্ত ঘন ফুয়াশা জমিয়া নীচের কাশবনকে একেবারে লুকাইন্ম ফেলিল। কেবল তীব্র শীতের বাতাসে তাহারা সরু সৰু শঙ্কে কাপিয়া আত্মপরিচয় দিতেছিল । হঠাৎ সেই কুয়াশাবৃত কাশবন হইতে একটা ছায়ামূৰ্বির মত জানোয়ার বাহির হুইয়া আসিল । তাহার পিছনে আরও ছুটি ছোট-ছোট ছায়া। আস্তে আস্তে উহারা মহিষটার দিকে অগ্রসর হইল। জ্যোংশ্বালোকে ডাক্তার ৰেলগাড় ও গোপীনাথ স্পষ্ট দেখিতে পাইল একটা বাঘিনী ও দুটা বাচ্চ। বাঘের চেহারা এমন বন্দর হইতে পারে তাহা ডাক্তারের জানা ছিল না। বেশ লব, উচ্চতায় অল্প, চারি পায়ে স্বন্ধে পেশীশক্তির অপুৰ্ব্ব পরিচয় । লাঙ্গুলাগ্রভাগ হইতে নাসিকান্ত পৰ্য্যস্ত একটি লঘু ক্ষিপ্র জীবন্ত মম্বণতা। গাত্রচর্শ্বের ডোরাগুলি অনেকট আলোক-অন্ধকারের সঙ্গে মিলিয়৷ গিছে। বাঘিনীট। মৃত মহিষটার কাছে আসিয়া দু-একবার শুকি দেখিল এবং অস্থিরভাবে ঘুরিতে লাগিল। তারপর ধীরে ধীরে খেদিক হইতে আসিয়াছিল সেই দিকেই চলিয়া যাইতে লাগিল। ডাক্তার বেলগাড় এতক্ষণ বিস্ময়াবিষ্টের মত হইয়াছিল। এতক্ষণে তাহার খেয়াল হইল যে, শিকার হাতছাড়া হইতেছে। বন্দুক উচাইয়া ধরিল , গোপীনাথ কাধে হাত দিয়া তাহাকে নিরস্ত করিল। বাঘিনীট। কিছুদূর গিয়া ফিরিয়া তাৰায়ণ, দেখিল, বাচ্চ ছুট) আসে নাই । অভিজ্ঞা জননী যাহা সন্দেহে স্পর্শ করে নাই, শিশুশাবক দুটি মনানন্দে তাহাই থাইতেছে বা