পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩৮৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

votes . وتخ8تلاد শীল, চপলা, রসক, শস্যক ও দরদ প্রভৃতি খনিজ পদার্থ ব্যবহারের উল্লেখ পাওয়া ধায়। এষ্টগুলিকে মহারস বলিত । - মাক্ষিক হইতে তাত্র বাহির করিবার প্রণালীও তাঁহার জানিতেন। ১৩শ শতাব্দী হইতে ১৬শ শতাব্দীর মধ্যে বহু রসগ্রন্থ প্রস্বত হইয়াছিল। এই সমস্ত গ্রন্থ হইতে আমরা বহু রসনিপুণ পণ্ডিতের নাম শুনিতে পাই ; যথা, চন্দ্ৰসেন, লঙ্কের্য, বিশারদ, কপালী, মত্ত মাওবা, ভাস্কর, সৌরসেনক, রত্বকোষ, শস্থ, সাত্বিক নরবাহন, ইন্দ্রদ, গোমুখ, কম্বলী, বাড়ি, নাগাজুন স্বরানন, নাগবোধী, যশোধন, থও, কাপাসিক ব্ৰহ্ম, গোবিন, লম্পক, রসাস্কুষ, ভৈরব, স্বচ্ছন্দভৈরব, নন্দী, মানভৈরব, কাকচষ্ট্ৰীশ্বর, বাস্থদেব ঋষ্যশৃঙ্গ রসেস্তুতিলক, ভালুকী, মহাদেব, নরেন্দ্র, রত্নাকর, হরীশ্বর, সিংহগুপ্ত ইত্যাদি । এই সমস্ত সময়েও ঔষধার্থে অভ্রেরও প্রচুর ব্যবহার দেখা যায়। বৈক্রান্ত নামক একরূপ হীরকভন্মেরও প্রচুর ব্যবহার দেখা যাইত। ইহা ছাড়া ঐ সময়ে দুই প্রকার কাসিস্{sulphate of iron) wo বালুক কাসি, পুষ্পকাসিস, তুবরী { ফটকিরি ) ও ফটুকিরি বা ফুল্লক, সেীরাঞ্চন, রসাঞ্চন, শ্ৰোতোঞ্চন, পুষ্পাঞ্চন ও নীলাঞ্জনও ব্যবহৃত হইত। রস4 নম্ন রকম ব্যবহৃত হুইত, বধ, কাম্পিলা, চপলা, গৌরীপাষাণ, নবগারক (salamonic), কপর্দক, অগ্নিজার, হিঙ্গুল গিরিসিদূর, মুদ্বারশূঙ্গক । ইহা ছাড়া নানাবিধ মণি ; মধ, বৈক্রান্ত, স্বৰ্য্যকাস্ত হীরক, মৌক্তিক, চন্দ্রকান্ত, রাজাবৰ্ত্তক গরুরোধগর প্রভৃতিও ভস্মাকারে ব্যবহৃত হইত। ক্ষুরক ও মিশ্রক এই দুইবিধ রঙ্গ ও ব্যবহৃত হইত। মুগু, তীক্ষ ৪ কান্ত এই ত্ৰিবিধ লৌহ ধ্যবহৃত হইত। বিড়িকা ও কাকতৃৰ্ত্তী এই স্থই প্রকার পিত্তল ও কাব্য ব্যবহৃত হইও কাংসা, তাম্র, পিত্তল, লৌহ ও সীস দ্বারা বওঁলোহ নামে এক ধাতু প্রস্তুত হইত। দোলায়, স্বেদনীধু, পাটনাযন্ত্র, অধম্পাঙনা যন্ত্র, টেকি যন্ত্র, বালুকায়া, লবণ যন্ত্র, নালিকায়, তীর্ধ্যকপাতনা যন্ত্র বিদ্যাধর যন্ত্র, ধূপ যজ্ঞ, প্রভৃতি নানাবিধ যন্ত্রেরও উল্লেখ পাওয়া ধাম । নানাপ্রকার বিষণ্ড ঔষধাৰ্থে ব্যবহৃত হইত। অতি প্রাচীনকালেও ভারতবর্ষে কোন-না-কোন রকম রসূশাস্ত্র প্রচলিভ ছিল বলিয়া মনে হয় ৷ পাণিনির অল্প পরবর্তী কালে বাড়ি প্রছেভূত হন । এই ধাড়ি একদিকে যেমন হৈস্থীকরণ ছিলেন অপর দিকে ভেমনি রসবিদ ছিলেন। গরুড়পুরাণে ইহার নাম উল্লিখিত আছে এবং বাক্যপদ্বীন্ধের হেলারাঞ্জরুত টকাতেও ইহাকে রসবিদ বলিয়া উল্লিখিত করা হইয়াছে । সোমদেব নদীকে কোষ্ঠীখঞ্জের আবিষ্কারক বলিয়া উল্লেখ করিয়াছেন। মৃ} শতাব্দীর বৃহৎসংহিতাতে বয়াহমিহির লৌহ এবং পারদকে ঔষধের মধ্যে উল্লেখ করিম্বা গিয়াছেন । এই রসায়নশাস্ত্র সম্বন্ধে আলোচনা করিতে গেলে নাগার্জনের কথাই প্রথমে মনে পড়ে। একঞ্চন নাগার্জন ছিলেন ১ম শতকে, আর একজন ছিলেন ৪র্থ শতকে। আমরা পূর্বেই বলিয়াছি যে | দ্বিতী নাগাল্গুন বোধ হয় হশ্রতের প্রতিসস্থার করিয়াছিলেন, । আর একজন নাগাল্গুন ছিলেন ৯ম শতকে । তাহার কথাই আঙ্গবিরুণী উল্লেখ করিয়া গিয়াছেন। ইনিই বোধ হয় প্রসিদ্ধ কক্ষপুটতন্ত্রের প্রণেতা রাসায়নিক নাগাৰ্জ্জুন । । নাগার্জন কক্ষপুটত ছাড়া লৌহশাস্ত্র, রসরত্নাকর, আরোগ্যমন্ত্ররী, যোগদার, রসেশ্ৰমত্ত, রতিশাস্ত্র ও রসকক্ষপুট প্রভৃতি গ্রন্থ প্রণয়ন করিয়াছিলেন বলিয়া কথিত আছে । প্রাচীন রাসায়নিকদের মধ্যে রতুঘোষ, মাণ্ডবা, বশিষ্টলাণ্ডবা ও শাকাণ্ডের কথাও বিশেষভাবে উল্লেখযোগা। মাওবা ও শাকাও উভয়েই বোধ হয় নাগার্জনেরও পূর্বের লোক ছিলেন। আর রতুঘোষ বোধ হয় নাগাৰ্জ্জুনের শিষ্য ছিলেন। যে নাগাজুনের কথা চক্রপাণি লিখিয়াছিলেন “নাগাৰ্জ্জুনেন লিখিত স্তম্ভে পাটলীপুত্রকে” তিনি বোধ হয় দ্বিতীয় নাগাজ্জ্বল। কারণ তৃতীয় নাগাজুনের বাড়ি গুর্জয় দেশে ছিল এইরূপ প্রসিদ্ধি আছে। নাগাৰ্জুনের নামে প্রচলিত বহু ঔষধের কথা পরবর্তী কালে পাওয়া যায়। সেগুলি দ্বিতীয় কি তৃতীয় নাগার্শনের তাহা বলা কঠিন। পূর্বে যে-সমস্ত রসশাস্ত্র প্রণেতার কথা উল্লিখিত হইয়াছে তাহ ছাড়াও বহু রস গ্রন্থের প্রেণেতা ৪ বস্তু রস গ্রন্থের কথা আমরা জানি । তাহুদের নাম উল্লেখ করিবার প্রয়োজন নাই। আমাদের এই রসশাস্ত্র যে ভারতবর্ষেই উদ্ভূত হইয়াছিল এবং এখান হইতেই আরব প্রভৃতিতে ইহার প্রভাব বিস্তৃত হুইয়াছিল তাহার সম্বন্ধে অনেক যৌক্তিক প্রমণ দেখান ঘাইতে পারে । চরক স্থ২fতাদি গ্রন্থে প্রধানত: উদ্ভিজ্জ ও প্রাণিণ ঔষধেরই ব্যবহার দেখা যায়। সেইঞ্জস্য ঔষধ-নিৰ্ব্বাচন ব্যবস্থা। রসূৰ্বীধাবিপাঞ্চই ছিল তাহদের প্রধান সম্বল। কিন্তু