পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪০২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

•gጫው "প্রবাসী; ఎ98ఎ | জন্য তার কাছে গেলাম। কেঁদে ফেলে সে বলল,—আমি আর পারছিন ডাক্তার বাৰু, মতে পারলে বাচি। বললাম-কেন তোমার ছেলে কি করে । অশ্রুসিক্ত নয়নে একটু হাসির রেখা টেনে সে বলল—সে এখন চৌরঙ্গীতে একটা ফ্ল্যাটে আছে বেীকে নিছে। মার্টটা ছোট কিন, তাই আমাকে কষ্ট করে আরও কিছু ময়াল সামুদ্রিক জীবের মধ্যে যেমন তিমি, চতুপদের মধ্যে যেমন হস্তী, পক্ষীদের মধ্যে ধেরূপ আইচ, সৰ্পের মধ্যে সেইরূপ মাল এক অদ্ভূত অতিকায় স্থটি। শঙ্খচূড় বা অহিরাজ অপেক্ষ বোধ হয় ময়াল সৰ্পই দর্শকের মনে সৰ্ব্বাপেক্ষ অধিক কৌতুহল উদ্ভিক্ত করিয়া থাকে। ভারতবর্ষীয় মরলের বৈজ্ঞানিক নাম "পাইথন যোলিউল্লুস"। ইহাদের সাধারণ নাম অজগর। জীবতত্ত্ববিদের অমুমান করেন যে, পুরাকালের এক জাতীয় অতিকায় গোধা ময়ালদের পুৰ্ব্বপুরুষ ছিল । ক্রমবিবর্তনের ফলে বহু সহস্ৰ বৎসরের পর ঐ সকল গোধা হইতেই বর্তমান কালের ময়ালের પ્રોફે ৰুক্তির সমর্থনার্থ তাহারা মালদের দেহের পশ্চাদ্ভাগে নখরের মত দুইটি ক্ষুদ্র অস্থিখণ্ডকে নির্দেশ করির বলেন যে, ঐ অস্থি দুইটিই উহাদের পশ্চাতের লুপ্ত চরণের শেষ নিদর্শন। চরণের কার্য লুপ্ত হওয়ায় এখন ঐ অস্থি ভিন্ন কৰ্ম্মে নিয়োজিত হইয় থাকে। সামুদ্রিক পেঙ্গুইন পক্ষীর ক্ষুদ্র পক্ষাংশ দুইটি যেমন এক্ষণে উড্ডয়নের শক্তি হার ইয়া সস্তরণে উহুদিগকে সহায়তা করিয়া থাকে, মালদের বিলুপ্ত চরণের এই ক্ষুদ্র অস্থি দুইটিও এক্ষণে বৃক্ষাদিতে দোদুল্যবান থাকিবার নিমিত্তই উহাদিগকে সাহায্য করিয়া থাকে। আলিপুঞ্জের চিড়িয়াখানায় যাহারা ময়াল পর্যবেক্ষণ করিয়াছেন তাহার। বোধ হয় অনেক সময়েই ইহাকে শাখা থা উপরকার তত্তণ হইতে বিলম্বিত থাকিতে লক্ষ্য করিয়া থাকিবেন। - ভূত । দিন থাকতে হবে। মাস-ছয় পরে সে একটা বড় বাড়ি নেবে, তখন আমি তাদের সঙ্গে গিয়ে থাকব । বুদ্ধার শেষ ইচ্ছা-অপূর্ণই রয়ে গিয়েছিল । ছ'মাস হবার অনেক আগেই মাত্র এক সপ্তাহ পরে মৃত্যু তাকে চিরদিনের জন্য নিয়ে গেল। ছ-মাস বাদে কিন্তু অনুপম সত্যিই বাড়ি বদল করেছিল। সপ শ্রীঅশেষচন্দ্র বসু, বি-এ এশিমু ও আফ্রিকার বনজঙ্গল মম্বাল সৰ্পের বাসস্থান । গুঞ্চলের যে-সকল স্থানে জলাশয় থাকে ইহার তাহারই সন্নিকটে অবস্থান করিতে ভালবাসে এবং শিকারের আশায় জ্বলোপরি বিলম্বিত শাখায় নিশ্চলভাবে অবস্থান করে । অষ্ট্রেলিয়ার যে-সকল ম্যাল দেখিতে পাওয়া যায় তাহারা পূর্বোক্ত দুই মহাদেশের মম্বাল অপেক্ষ। আকারে ক্ষুদ্র। ভারতবর্ষীয় ময়ালদের নাম পূর্বেই উল্লেখ করিয়ছি। স্বন্দরবন, হিমালয়ের দক্ষিণে টেরাই জঙ্গল, আসামের নিবিড় অরণ্য, মধ্যভারত, দাক্ষিণাত প্রভূতি স্থানের বনজঙ্গলে বহু ময়াল দেখিতে পাওয়া যায় । ত্রিবাফুর-রাজ্যের অরণ্যের মধ্যে মঙ্গলদের গমনপথে বহু ‘দাগ’ পড়িযু থাকিতে দেখা যায়। আলিপুর চিড়িয়াখানায় অধুনা যে বৃহৎ মালটি ব্লখিত হইয়াছে তাহা আসামের জঙ্গল হইতে ধৃত হইয়াছিল । ভারতবর্য ব্যতীত সিংহল-দ্বীপেও ইহাদিগকে দেখিতে পাওয়া যায়। এই সকল মধুলি অপেক্ষ। ব্রহ্মদেশ, শুশম, ইনোচীন ও মালয়-দ্বীপপুঞ্জের মক্কালের অপেক্ষাকৃত বৃহৎ হইয়া থাকে। শেষোক্ত স্থানের মঙ্গলের নাম "পাইথন রেটিবিউলেটুস”। এই ময়ালের ত্রিশ ফুট অবধি দীর্ঘ হইয় থাকে। ভারতবর্ষীয় ময়ালকে সাধারণতঃ বিশ ফুট অবধি দীর্ঘ হইতে দেখা যায় । “ফ্রিকার মস্কালেরা সাধারণতঃ বার হইতে পনর ফুট অবধি দীর্ঘ। সর্পবিদের মঘালকে প্রধানত: নচটি শ্রেণীতে বিভক্ত করিয়াছেন। এই সফল