পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪৩১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জরুপথে че?“ শকুন্তলার সঙ্গে দেখা হুইযার কয়েক দিন পরেই সোমেন্ত্র ভ্রাতাকে চিঠি লিখিয়ছিল। বিশেষ কিছু খুলিয়া বলে নাই, শুধু জানাইমাছিল শকুন্তলা মৃত্যুপথযাত্ৰিণী, তেজেন্দ্ৰ যেন তাহাকে একটা চিঠি লেখে । সে জানিত তেজেন্দ্র এআচুরোধ রক্ষা কয়িবে, অতি সুন্দর ভাবে করিবে, ইহ। তেজেন্দ্রের স্বভাবের একটা বিশেষ গুণ। ঠিক যাহা বলা উচিত তাহলে বলিবে, অতি মধুর, অতি সময়োচিত, অতি কমনীয় করিয়াই বলিবে । মাঝে মাঝে সে নিয়তির মত নিষ্ঠুর হয় বটে, কিন্তু সাধারণতঃ সে আশেপাশের সকলকে মুখী করিতেই চেষ্টা করে, তাহদের অস্বর্থী দেখিলে তাহার কবিচিত্ত বিরক্ত হইয় ওঠে, নিজের ঘরবাড়ি যেমন সে অশ্বন্দর দেখিতে পারে না তেমনি নিজের চারিধারে সে সানন ও সৌন্দর্য ভিন্ন আর কিছু চায় না। নিজের ঐশ্বধ্যময় চিত্তের সমস্ত সম্পদ ঢালিয়া দিয়া সে সকলকে সম্মোহিত ও আনন্দিত করিয়া রাখে নিজেরই প্রয়োজনে। কিন্তু যে তাহার নিকট হইডে দূরে সরিয়া যায়, তাহাকে ভূলিম যাইতেও তেজেক্সের বিন্দুমাত্র বিলম্ব হয় না। তেজেন্দ্রকে চিঠি লিখিবার দিন দশ পরে সোমেশ্র একদিন বেড়াইয় ফিরিয়া আসিয়া দেখিল, শিশুর স্কায় সরল হাসিতে শকুন্তলার মুখ ভরিস্কা উঠিয়াছে। সোমেশ্র তাহার কাছে আদিৰামাত্র সে তাহার হাত ধরিয়া বলিল, “তুমি বোধ হয় জান না যে তোমার মনে যত দম, জগতে এতটা কারও নেই ?” সোমেন্দ্র আস্তে আস্তে নিজের হাতখান সরাইয়া লইল । তাহার বোধ হইল আঞ্জ প্রেথম শকুন্তলা তাঁহারই দিকে চাহিয়া আছে, তাহার মুণের মধ্যে তেজেক্সের যে ছায়া সেটার দিকে নয়। শকুন্তলা একখানা বই হাতে করিয়া ছিল, তাহার ভিতর হইতে একখানা চিঠি বাহির করিয়া বলিল, “এটা তুমিই তাকে দিয়ে লিখিয়েছ না ? না হ’লে তিনি আমার ঠিকানা জানবেন কি করে ? আমি যখন দিল্লীতে কিছুদিন ছিলাম, তারপর ত আর তাকে চিঠিপত্র কিছুই লিখিনি ? তোমার এই কাজটুকু মহাকালের বইয়ের পৃষ্ঠা লেখা রইল। কিন্তু একটা জিনিষ তোমার দাদা নিজেই করেছেন বোধ হয়, উাহার নবতম গীতিনাট একখানি আমাকে পাঠিয়ে দিয়েছেন। সব কটি গানের স্বরলিপি দেওয়া আছে, তুমি জাঙ্গ আমায় এগুলি থাজিয়ে শোনাবে চিঠিটা আমি খুলিনি, দেখেছ ? তুমি এটা আমায় পড়ে শোনাও।” সোমেশ্ৰ একখানি চেয়ার টানিয়া আনিয়া শকুন্তলার । সামনে বসিল। চিঠিখানি খুলিয় দেখিল গছ চিঠি, সোমেন্সের মনটা খুশী হইয়া উঠিল। অভ্যস্ত স্বন্দর, অতি কোমলভাবে লেখা, তেজেন্দ্রের পক্ষেও বাহাদুরীর কাজ বটে। আগ্রাহ্ম তাজমহলে বসিয়া চিঠিখানি লেখা, বাতাস যেখানে সৌরজে ভরপুর, আকাশ যেখানে মুক্তার স্বাক্ষ্ম স্বচ্ছ আলোকপ্লাবিত, যমুনার কলতান যেখানে চিত্তে অনন্ত স্বধারস সিঞ্চিত্ত করিখ রাখিয়াছে। তাজমহলের ছাদ্ধাও হয়ত তেজেক্সের উপর তখন আসিয়া পড়িম্নাছিল, কে জানে ? চিঠির উপরে পেন্সিল দিয়া তেজেন্দ্র তাজমহলের চুড়ার একটি ছবি আঁকি দিয়াছে। চিঠিতে তাহার নূতন রচনাগুলির অনেক খবর আছে, পুরাতন দিনের স্বখশ্বডির অনেক উল্লেখ আছে। চিঠিখানা শেষ করিয়৷ লোমেক্স মুড়িয়া রাখিয়া দিল । তেজেন্দ্র না বলিতেই বুঝিয়াছে শকুন্তলা কি চায়, তাছাই সে পাঠাইয়াছে। সমস্ত চিঠিখান তেজেক্সের আশ্চর্ধ ব্যক্তিখে ভরপুর। সোমেক্সের বোধ হইতে লাগিল তাহার ভ্রাতা ধেন সম্মুখেই ধাড়াইয়া আছে। তেজেক্সের ভিতর সত্যই একটা আমাহুষিক তেজ, একটা দাহিকাশক্তি আছে, খাছী আৰু नश्*** पधाप्ग ९ठांशहे म* झझेभ्र! पात्र, cनझे cठछe cश्च সোমেন্দ্র অনুভব করিতে লাগিল। তাছার পর শকুন্তলায় দিকে চাহিয়া দেখিল। শকুন্তল বলিল, “ঠিক তার নিঞ্জের স্বরে লেখা, না? গাৰি আর এটার উত্তর ধেয না, তুমি যখন এর পর তাকে দেখবে তখন আমার হয়ে তুমিই উত্তর দিও। তার পরষতষ চরমতম বিকাশ যেন হয়, এই মাত্র আমি বলতে চাই। আমি কি বলছি বুঝতে পাল্লছ ?” সোমেন্দ্র বলিল, “পারছি, আশা করি তিনিও পারবেন।” শকুন্তলা হাতের উপর ভর দিৱ। উঠিয়া বসিয়া বলিল, “বোকা আর অবুৰ লোকের কাছে নিজেকে তিনি যেন অপব্যয় না করেন। তারা নিজেরা না বোঝে নাই বুঝলে ?” সোমেন্দ্র তাহার উত্তেজনা দেখিয়া ভীত হইয় বলিল,