পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪৩৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উত্তাপ-প্রয়োগে চিকিৎসা শ্রীরমেশচন্দ্র রায়, এল-এমৃএস্ দৈহিক উত্তাপের কথা —আমরা তুষারমণ্ডিত দেশেই যাই বা মরুভূমির অগ্নিকুণ্ডের মধ্যেই গিয়া পড়ি, আমাদের দৈহিক উত্তাপ সৰ্ব্বত্র ও সৰ্ব্বদাই ১৮ ডিগ্রী ( ফারেনহাইট ) থাকে। এটি কেমন করিয়া হয় ? আমরা যাহা কিছু খাই—বিশেষ করিয়া, স্নেহজাতীয় ও শালীজাতীয় খাদ্য—তাহ হইতে প্রশ্বাসের অক্সিজেন মেশার ফলে, দিনরাতই আমাদের দেহে উত্তাপ স্বষ্টি হইতেছে। ঘৰ্ম্ম, মল, মূত্র, নিঃশ্বাস—এই চারিটির সহিত আমাদের দৈহিক উত্তাপ নিয়তই নিৰ্গত হইতেছে, অর্থাৎ, দেহের মধ্যে উত্তাপ-স্বষ্টি ও উত্তাপ-ত্যাগের ধ্যবস্থা আছে। কে বা দেহের কোন অংশ নিয়তই এতদুভয়ের মধ্যে সামঞ্জস্য বিধান করিতেছে ? ইহার উত্তর, আমাদের মস্তিষ্কই প্রতিনিয়ত উত্তাপ-স্বষ্টি ও উত্তাপ-ক্ষয় এতদুভয়ের মধ্যে সামঞ্জস্য বিধান করিতেছে । মুখন আমাদের দেহ হিম হয়, বুঝিতে হইবে, হয় উত্তাপ স্বষ্টির অভাব ঘটিয়াছে, নতুবা সামঞ্জস্যবিধানের গোলযোগ ঘটিয়াছে। তেমনি জর হইলে বুঝিতে হইবে, হয় উত্তাপ-স্থষ্টির মাত্রাধিক হইয়াছে, নতুবা উত্তাপগন্ধের কার্ধ্য স্থগিত আছে ; নতুবা সামঞ্জস্যবিধান তাৎকালিক স্তষ্ঠিত হইয়াছে। জর হয় কেন –দেহে উত্তাপবুদ্ধির কারণত্রয় এইমাত্র আমরা দেখিলাম। কি কি কারণে সামঞ্জস্য-বিধাম্বিনী শক্তির প্তম্ভন বা অকৰ্ম্মণ্যত আসে ? ইহার উত্তর, প্রধানত: জীবাণুঘটিত বিষ যদি যথেষ্টমাত্রায় রক্তে সঞ্চিত হয়, তবে তৎকর্তৃকই এই বিপর্যক্ষ ঘটে। তাহা ছাড়া, মানসিক ভূশ্চিগু। বা উত্তেজনা, যাহার ফলে প্রবলভাবে ও আকস্মিকরূপে স্বায়বিক দৌৰ্ব্বল আসিতে পারে, তাহার ফলেও ঐ সামঞ্জস্যবিধায়িনী শক্তির স্তম্ভন ঘটিতে পারে । মোট কথা, জরটি বারাম নহে, দেংে বিষ-প্রবিষ্ট হইবার বাহিক প্রতিক্রিা। অতএব জর ব্যারাম নহে, জর সতর্কতাবাণী-প্রচারক মাত্র । জর কি আমাদের বন্ধু, ন শত্রু ?—অল্প-স্বল্প পরিমাণে ও ক্ষণস্বামী জর আমাদের শুধু বন্ধু নয়—পরম বন্ধু। কিন্তু জর বর্দি খুব তীব্র হয় (১•৫ হইতে ১১০ ডিগ্ৰী ফাঃ), অথবা অধিকদিন স্থায়ী হয় তবে ধরুত, মস্তিষ্ক, বুক্ষক, হৃৎপিও প্রভৃতি অতীব প্রয়োজনীয় যন্ত্রগুলি ক্রমশঃ অবসর ইয়া অঞ্চস্থাৎ মৃত্যু আনাইতে পারে। জর আমাদের মিত্র কেন ? ইহার উত্তর প্রথমতঃ, দৈহিক বৈকল্যের দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করিয়া জর আমাদিগকে সতর্ক করে ; দ্বিতীয়তঃ, দেহের মধ্যে যে উত্তাপ श४ श्छ, ७फूॉब्र छौवाभूझा झध श्य ७ष९ ऊ५ग६, ७ाक्षरत्रब्र বিষও অন্ততঃ আংশিকভাবে নিক্রিয় হইয়া পড়ে—আমাদের বিপদ কাটে; তৃতীয়তঃ, জরে হৃৎপিণ্ডের কাজ দ্রুত হওয়ায় দেহের মধ্যে অপেক্ষাকৃত বেশী মাত্রায় অক্সিজেন প্রবেশ করিতে পায় এবং রক্তের শ্বেতকণিকাগুলি উভক্ত হইয়া দেহের মধ্যে প্রবিষ্ট জীবাণুকে ধ্বংস করিতে সচেষ্ট হয়-অর্থাৎ, জরের কারণভূত জীবাণুগুলিকে রীতিমত ভক্ষণ করে ( ইহাকেই “ফ্যাগোসাইটোসিস" বা রক্তের বিশিষ্ট জাতীয় শ্বেতকণিক। কর্তৃক রোগবীজাণুভক্ষণক্রিয় বলে ); চতুর্থত, জরে তৃষ্ণ বাড়ায় ; তজ্জন্য প্রচুর জল পান করিতে হয় বলিয়া ঘর্থ ও প্রস্রাব বড়ে ; অথচ ক্ষুধা নাশ হওয়ায় খাদ্যত্রব্য সহজে দেহের মধ্যে গৃহীত হইতে পায় না এবং পঞ্চমত্ত:, খাদ্যদ্রব্য হইতে একদিকে দৈহিক উত্তাপ ও মল বুদ্ধি ৰরিবার সম্ভাবনা; অন্যদিকে জীবাণুদের পক্ষে বাড়ী-ভাতের মত পুষ্টির যোগান বন্ধ হওয়াম জীবাণুর না খাই মরে। জরের স্বারা আমরা এত রকমে উপকুগু হই ; অথচ, জনসাধারণ “জর সারাইবার” জন্য চিকিৎসককে উত্যক্ত করেন । প্রকৃত রচিকিৎসক ইহাতে কলপাড় করেন না, তিনি আসল রোগের চিকিৎসাম্ব মনোযোগী হন, কারণ, তিনি জানেন যে, প্রথমত: কাণ টানিলেই মাথা আসে ; এবং দ্বিতীয়তঃ যে বুদ্ধিমান মাঝি সে ঝড়ের সঙ্গে যুদ্ধ না করিয়া নিজ তীকে নিরাপদে স্কুলে ভিড়াইবার জন্যই প্রাণপণ চেষ্টা করে। জ্বরের উপকারিত আছে কি ?—আছে বইকি। একথা শুনিস্থ। অনেকে হয়ত শিহরিয়া উঠিবেন। কিন্তু কয়েকটি