পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪৪০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

863 3. স্থশ্চিৰিংসা ব্যাধিতে ম্যালেরিয়ার জীবাণু দেহে প্রবিষ্ট করানোর ফলে রোগী ব্যাধি হইতে সম্পূর্ণ মুক্ত হইয়াছে। উপদংশ, উন্মান, মৃগী, বুদ্ধির জড়তা প্রভৃতি অনেক কিছুই একটা তীব্র-জরের আক্রমণের ফলে সারিয়া গিয়াছে। পাগল-হাসপাতালে সংক্রামক বিসর্প { ইলিনা) ম্যালেরিয়া ও এমন কি কলেরা রোগে আক্রান্ত পাগলরা মারিয়া গিয়াছে। উপম্বংশঘটিত, মারাত্মক উন্মাদ-রোগে (General Paralysis of the insane), রোগীর দেহে ম্যালেরিয়-জীবাণু প্রবিষ্ট করাহয় এখন সারান হইতেছে। ম্যালেরিয়া-জীবাণুর প্রয়োজনীয়তা কম, রোগীর দেহে উত্তাপ প্রবেশ করানোই উপকারী। উপযুপরি ম্যালেরিয়া জরে আক্রান্ত হইলে উপদংশ-ব্যাধির প্রকোপ বন্ধ হইম যায় ; দক্ষিণআমেরিকার রাজ্যগুলিতে একথা বহুবার পরীক্ষিত হইয়াছে। ১৯১২ সালে যুক্তরাজ্যের কার্কস্ভিলস্থ “আমেরিকান স্কুল অফ অষ্টিওপ্যাথির" একটি ছোট ঘরে মুখ, অস্ত্র প্রভৃতিতে মারাত্মক ক্ষতযুক্ত ("distemper”-গ্ৰস্ত ) চল্লিশটি কুকুরকে বদ্ধ করির, সেই ঘরটিকে খুব গরম করা হয়—সেই ঘরের মধ্য দিয়া বাষ্প-গমনাগমনের একাধিক মোট নলছিল। সেই নলগুলি এক-একবারে বারো ঘটা বাষ্পপূর্ণ হুইত* শুধু এই চিকিৎসার ফলে, পাচ-সাত দিনের পরে এমন কি মরণাপন্ন কুকুরগুলিও একদম সারিখ গেল । ੱਚੋਂ v3 রোগমুক্তি —গ্রীষ্মপ্রধান দেশেই যত ব্যারামের বাড়াবাড়ি, তাহার কারণ, গ্রীষ্মপ্রধান দেশের বায়ু যেমন গরম, তেমনি আর্দ্রতাযুক্ত এবং তথায় সেই হারে প্রচুর গলিত উদ্ভিদৰ বাকে রোগজীবাণুদের বুদ্ধির অন্ততুল এই অবস্থাত্রয়—মধ্যম রকমের উত্তাপ, বায়ুর আদ্রতা এবং খাদ্য (গতি উদ্ভিদ)—গ্রীষ্মপ্রধান দেশে রোগের আধিক্যের হেতু। কিন্তু গ্ৰীষ্মপ্রধান দেশে লোকের নাগাত্রে থাকিতে বাৰা হয় বলি, হরিণের কালে তাৰা অনেকটাই রোগমুক্ত থাকিতে পায়। তৎপরে গ্রীষ্মপ্রধান দেশের লোকেরা নানা উপায়ে উত্তাপের সাহায্যে রোগ আরোগ্য করিতে শিখে। যারামেস্বৰ্যপূদ্ধ, স্বৰ্যকিরণ সেবন, স্বর্যপক তৈল ও জল ব্যবহার এদেশে খুবই দেখা যায়-"আরোগ - - প্রভাস্কর দিচ্ছেং" কোথাও কোনও রকমের বেদন উপস্থিত ši సిని83 হইলে আমরা সে স্থানটি রৌদ্রে রাখিয় এমন ভাবে ঘষিয়া মালিশ করি, যাঁহাতে সে জায়গাটি খুব উত্তপ্ত হয়। তাং ছাড় লবণ-পূটুলির সেক, বালির পুটুলির সেক, তিসির বা গমের ভূধির পুলটিশ, গরম জলের সেক, বাম্পেয় স্বেদ এদেশে খ•ন-তখন দেখা যায়। ইষ্টক বা খোল উত্তপ্ত করিয়া তাহা হইতে যে উত্তাপ নিৰ্গত হয়, তাহার স্বেদণ্ড ব্যবহৃত হয়। তুর্কদেশের, কৃষিার ও স্বইডেন দেশের গরম জলেয় বাপের স্বেদ জগদ্ববিখ্যাত। যেখানে মাটি ফুড়িয়া গরম জল ষাহির হয়, সেই তপ্ত উৎসের জলে স্বান ও তাহ পান করার প্রথাও অনেক দেশে দেখা যায়। আমেরিকায় আদিম জাতিদের মধ্যে কর্দমমানের (mud bath) প্রচলন আছে। এই স্বানের প্রক্রিয়টি একটু বর্ণনা করিতেছি –যেখানে এই কর্দমল্লানের ব্যবস্থা আছে তথায় প্রত্যেক স্বস্ব ধ্যক্তি মাসে অন্ততঃ একবার ইহার আশ্রয় গ্রহণ করে। স্বল্পপরিসর একটি কুটীরে পাথরের শখ্য রচনা করা হয় । তদুপরি স্থানার্থী শয়ন করিলে তাহাকে মোট কম্বলদ্বারা ঢাকি৷ একটিমাত্র যে হয়ঞ্জ থাকে তাহা বন্ধ করিয়া ঘেণ্ডয়া হয়। তংপরে উপযুপিরি ও ক্রমাগত বড় বড় প্রস্তরখণ্ড সেই ধরে উত্তপ্ত করা হয় ও জলে ডুবান হয় ;–ফলে, সেই ঘরটি গরম ও বাপে ভৰ্ত্তি হইম যায়—এত গরম হয় যে, অনভ্যস্ত মাক্তির পক্ষে তথায় থাকাণ্ড একরকম অসম্ভব ব্যাপার বলিয়া মনে হয়। এই ভাবে প্রায় এক ঘণ্ট থাকাকালীন, দুই জন জোয়ান ব্যক্তি সেই লোকটির সারাদেহু বেশ মর্দন করিতে থাকে। এই ঘর হইতে নিষ্ক্র্যস্ত হইয়া, নিকটস্থ জলাশয়ের কদম উঠাইয়া সৰ্ব্বাঙ্গে ঘষিয়া ঘধির অৰ্দ্ধঘণ্টা মালিশ করিবার পরে জলাশয়ের শীতল জলে অনেকক্ষ৭ ধরিয়া স্নান ও সস্তরণ করা হয়। এইরূপ করার ফলে, চর্ণ যেমন মন্থণ তেমনি দৃঢ়, কোমল ও উজ্জল হয়, প্রচুর ঘর্ণ নিঃস্থত হয়, শরীর অতি লঘু সবল ও নীরোগ হয়। বস্তুত: যে-দেশে এই কৰ্দ্ধমন্সানেয় ব্যবস্থা প্রচলিত আছে সে-দেশে কোনও ব্যারাম নাই। উত্তাপপ্রয়োগের বৈজ্ঞানিক ব্যবস্থা। (১) পূৰ্ব্বেই ম্যালেরিয়ায় ভুগিতেছে এমন রোগীর রক্ত উপদংশঘটিত উন্মাদগ্রস্তের দেহে পিচকারীস্বারা প্রবিষ্ট করাইয়া, অথবা শেষোক্ত ব্যক্তিকে ম্যালেরিয়া জীবাণুবাই এনোফিলিস্