পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪৪৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

г . আষাঢ়', কলঙ্ক-মোচন BHK করিতে পরিবেন না, উভয়েই যেন অবিলম্বে দেশে ফিরিয়া আসে। পত্র পাইছা নির টেলিগ্রাম কaিঙ্গ তাহদের দেশে ফিরিতে অন্তত আরও পাচ মাস লাগিবে। এই টেলিগ্রাম পাইম প্রিয়নাথ বাবুর যে কি অবস্থা হুইল তাহা বোধ হয় আর বলিয়া দিতে হুইবে না। উপায়াস্তুর না দেখিয়া নিরু ও অন্ধ বিলাতে যেভদ্রলোকের বাড়িতে বাস করিত প্রিয়নাথ বাবু তাহার নিকট এক বিস্তৃত পত্র লিথিয়া পুত্রদ্বয়ের বর্তমান সংবাদ জানিতে চাহিলেন। নিকু ও অহর গৃহশ্বামী ব্যারিষ্টার মিঃ জে. ওয়ার্টনের পত্র আদিতে দেরি হইল না। তিনি অতি সংক্ষিপ্ত ভাষায় প্রিয়নাথ বাবুকে লিখিয়াছেন—“আপনার পুত্রদ্বয়ের বিস্তৃত সংবাদ লিথিয় দেওয়া আমার পক্ষে অসম্ভব, সমস্যাভাব, ক্ষমা করিবেন। এভং সঙ্গে বিগত মে মাসের এক সংখ্য ফাইন আট ম্যাগাজিন’ প্রেরিত হুইল, ইহার পৃষ্ঠাতেই মসলি দাস ব্রাদাসের পরিচয় পাইবেন।" প্রিয়নাথ বাবু নিতান্ত বিরক্তির সহিত পত্ৰখানা রাখিয়া মাগাজিনের যোড়ক খুলিতে লাগিলেন। বিজ্ঞাপনের পৃষ্ঠা কয়টিতে একটু দৃষ্টিনিক্ষেপ না করিয়াই তিনি একবারে ভিতরকার প্রথম পৃষ্ঠাটি খুলিয়া ফেললেন। ইংরেজী ভাষায় বড় বড় হরফে পত্রিকার নাম লিখিত রহিস্কাছে । ঠিক নীচেই মাসের ও মনের নাম এবং রোমান অক্ষে পত্রিকার সংখ্যা লিখিত। তারপর প্রবন্ধের শিরোনাম—- “ভারতীয় কুম্ভকার এবং তাহায় নিৰ্ম্মিত প্রবানিচয় ।" প্রিমুলাথ বাৰু প্ৰবন্ধটি একটু পাঠ না করিয়াই দ্বিতীয় পৃষ্ঠা খুলিলেন। খুলিবামাত্র দুইটি ছবি তাহার মনোৰোগ আকর্ষণ করিল। ছবির উপরে লিখিত রহিয়াছে—“ভারতের উদীয়মান কুম্ভকার ও ভাস্করদ্বন্ধ " ছবির দিকে দৃষ্টিপাত করিয়াই প্রিয়নাথ বাবু বুঝিতে পরিলেন এই উীয়মান ভারতীয় কুম্ভকার ও ভাস্করস্বয় আর কেহ নয়, তাহারই প্রিয়পুর সিভিল সার্ভিস পরীক্ষার্থী নিরু আর জন্তু। নাসিকার উপরিস্থিত স্ববর্ণ-ফ্ৰেমবদ্ধ উপনেত্রদ্বষ ভাল করিয়া কমালে ঘষিয়া লইয়া প্রিয়নাখ বাৰু দেখিতে পাইলেন একটি ছবির এক কোণে লিখিত রহিয়াছে—মিঃ নিরুপম দাস ও অপরটির এক কোণে মিঃ জহুপম দাস। বিশ্বন্ধযিফারিতনেত্রে প্রিয়নাথ বাবু ছরি-দুইটির পানে তাকাইয়৷ রছিলেন। এতক্ষণে প্রবন্ধটি পাঠ করিবার স্তম্ভ তারার মনে জাগ্রন্থ জন্মিগ। প্রবন্ধের লেখক ৰিপাতের রয়াল একাডেমীর একজন বিশিষ্ট সভা । ভারতের উত্তর-পশ্চিম প্রদেশ ও কৃষ্ণনগরে নিৰ্ম্মিত মুঞ্চ ব্যাদির আলোচনা করিয়া প্রধদ্ধকার লিথিয়াছেন--"ভারতের সৌভাগ্য বলিতে হইবে যে, ছুই জন ভারতবর্ষীয় উচ্চশিক্ষিত্ত ভদ্রসন্ধান তারতে পাশ্চাত্য প্রণালীতে মৃন্ময় ও প্রস্তর মূৰ্ত্তি প্রস্বত হইতে পারে না বলিয়া ৰে খানি আছে তাহ মোচন করিতে কৃতসঙ্কল্প হইয়াছেন। বাস্তৰিৰ, ভারতের ভদ্রসন্তানগণ উচ্চশিক্ষিত হইখা যখন কৰ্শ্বকায়, কুম্ভকার, তন্তুবায় প্রভৃতি শিল্পীর ব্যবসায়ের উন্নতি করিতে প্রয়াস পাইবেন, তখনই ভারতে নূতন যুগ আদিৰে।" নিৰু ও অন্ধ ব্যারিষ্টারী ও সিভিল সার্কিস পরিত্যাগ করিয়া কেন ৰে কুম্ভকার ও ভাস্করের কার্ধে ব্ৰতী হইল, এ-সমস্যার মুখোপযুক্ত উত্তর পাইবার জন্য প্রিয়নাথ বাৰু ব্যস্ত হইয় প্রবন্ধটি পাঠ করিতে লাগিলেন। পত্রিকার সপ্তম পৃষ্ঠায় প্রবন্ধকার নির ও অকুর কাহিনী বিবুত করিয়াছেন । এ-সম্বন্ধে প্রবন্ধকার ও নিরুপমের সহিত যে কথোপকথন হুষ্টয়াছিল প্রবন্ধে খৰিকল তাহাঁই উদ্ধৃত হইয়াছে। প্রবন্ধকার লিধিধাছেল--"জেঃ মিঃ দ্বাসের সহিত আমার गाकार श्tन छैशट्रक आभि श्रुझे आ७द्र सौवनौ यwिछ আমুরোধ করিয়াছিলাম। পাঠকপাঠিকার অবগতির জন্য এস্থলে মি: দাসের কথাগুলি উদ্ধৃত করিড়েছি । মি: দাস বলিয়াছেন, "আমি ও আমার কনিষ্ঠ ভ্ৰাত: অনুপম একত্র ব্যারিষ্ঠারী ও সিভিল সার্কিস পাস করিব মনে করিয়া লগুনে আসিয়াছিলাম । কিন্তু কি কারণে আমরা উভয় উদ্দেশ্যই পরিত্যাগ করিমু কুম্ভকার ও ভাস্করের কাe্য শিখিতেছি, তাহ একটু রহস্যজনক। আমাদের পিতা মেশে থাকিম আমাদের পরীক্ষার ফলাফল জানিবার জন্য হয়ত খুব ব্যস্ততা প্রকাশ করিতেছেন। জামাদিগকে এই নূতন কধ্যে ব্ৰতী দেখিয়া তিনি ধে অত্যন্ত নিরাশ ও মর্শ্বাস্থত হইবেন, ५-यषप्य गमश् ना३। ए५ uहे ख्य रूब्रिाहे ७-गरीच র্তাঃাকে কিছুই লিখিতে সাহসী .श्रे নাই ? স্বাক্ষর মনে করিয়াছি দেশে ফিরিয়া তাহাকে সকল বিষয় জানাইৰ এবং জামান্ধের এই বুইত, এই স্বাধীনতার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করিব। আমাদের পিতা খুব দ্বধাবান, এবং o