পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪৫০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8.* স্নেহপরাহ্মণ , আশা করি তিনি অবোধ সস্তানস্বল্পকে ক্ষমা করিবেন। ‘যে-রহস্য আমাদিগকে গন্তব্যপথ হইতে মিচলিত করিয়াছে তাহা বলিতেছি। আমাদের জন্মাবধিই পিতা আমাদের ভবিষ্যৎ সম্বন্ধে খুব উচ্চাভিলাষ পোষণ করিয়াছিলেন। শৈশবকাল হইতেই আমরা পাশ্চাত্য রীতিনীতিতে অভ্যস্ত হইয়ু পড়ি। বলা বাহুল্য যে, দেশে থাকিয়াও আমরা প্রবাসীর মত দিন কাটাইয়াছি। আমাদের খেলাধূলা, আহারবিহার, আচার-ব্যবহার, পোষাক-পরিচ্ছদ ইত্যাদি সব বিষয়েই আমরা দেশীয় ভােব বর্জন করিয়াছিলাম। আমাদেরও ধারণা ছিল আমরা সমবয়স্ক অন্যান্য বাঙালী বালক হইতে অতি উচ্চশ্রেণীর জীব। তগবানের আশীৰ্ব্বাদে পিতার অর্থের অভাব ছিল না। আমরা জীবনে কখনও কোন অভাব জানিতে পারি নাই। যেদিন আমরা প্রথম শ্রেণীর কামরা রিজার্ড করি। কলিকাতা হইতে বোম্বাই আসিলাম, সেদিন ষ্টেশনের অনেকেই আমাদিগকে কোন ভারতীয় রাজা • বা মহারাজার সন্তান ভাবিয়াছিলেন। জাহাজেও ফাই’ ক্লাসের কেবিনে আমরা আসিয়াছিলাম। “আমাদের গুণ্ডলাক জাহাজে আরও অনেক বিলাতত্ত্বাত্রী ভারতীয় ছাত্র ছিলেন। অধিকাংশই দ্বিতীয় শ্রেণীর যাত্রী ছিলেন, কেবলমাত্র একটি যুবক সাধারণ ডেকধাত্রীস্বরূপ, বিলাতত্ত্বাত্রা করিয়াছিলেন। বিলাতধাত্রী ছাত্ৰগণের अर्षिको श्वंद्दे शोहेिोझैौ. झु-Eाग्न छन् भिछिल मार्तिम এবং ডাক্তারী ও ইঞ্জিনিয়ারীং শিক্ষার্থী ছিলেন। সাধারণ ডেকের যাত্ৰীটি ছিলেন একজন মারাঠী ব্রাহ্মণ । তাহার আকৃতি ও প্রকৃতিতে দেশীয় ভাব ফুটিয়া উঠিয়াছিল। যখন শুনিতে পাইলাম তিনি বোম্বাই ইউনিভার্সিটির এক জন কৃতবিদ্য ছাত্র, বিজ্ঞান এ রসাধন উভয় শাস্ত্রেই এম-এ পাস করিয়াছেন এবং বয়ন ও রঞ্জন শিল্প শিক্ষার জন্য বিলাত স্বাইতেছেন, তখন র্তাহার প্রতি আমাদের বড়ই সহানুভূতি জন্মিল। মানুষ নিজের ভবিষ্ণুং সম্বন্ধে যে এমন কাগুঞ্জানহীন হইতে পারে, কাহা আমাদের জানা ছিল না। বাস্তবিক প্তাহাকে আমরা উপহাস করিতেও ছাড়িলাম না। এম-এ পাস করিয়া ভাঙির কাজ শিখিতে চলিছে, এমন লোক খে পৃথিবীতে থাকিতে পারে তাহ আমাদের বিশ্বাস ছিল না। ફ્રેંદ્રરાઃાં8} আমরা জানিতাম যাহারা বিলাতযাত্র করেন তাহার সকলেই সিভিলিয়ান, ব্যারিষ্টার, ডাক্তার বা ইঞ্জিনিয়ার হইয়া দেশে প্রত্যাগমন করেন । ঐ মারাঠী ব্রাহ্মণের মাধ৷ পাগড়ী, গায়ে দেশী লম্বা কোট ও পাম্বে দিল্লীর জুতা দেখিয় আমরা সকলে তাহাকে "নেটিভ বলিম কত উপহাধু ត្វថ្ម যথাসময়ে লণ্ডনে পৌঁছিয়া আমাদের নিজ নিজ স্থানে চলিয়া গেলাম। আমাদের বাসস্থান হুইল বিলাতের ব্যারিষ্টার মি; জ. ওয়ার্টনের গৃহে । তিনি আমাদের স্থানীয় অভিভাবক হইলেন । আমরাও তাহার পরিবারভুক্ত হইলাম। ইতিমধ্যে দুইটি বৎসর চলিস্থা গেল । “ডিসেম্বর মাস। বড়দিনের বেশী বাকী নাই। জনৈক বিলাত-প্রবাসী কৃতবিদ্য ভারতীয় ছাত্রের অভিনন্দনের জন্ম বিরাট আয়োজন আরম্ভ হইল। গ্রেটব্রিটেন-প্রবাসী সমস্ত ভারতবর্ষীয় ছাত্রগণের নিমন্ত্রণ হইল । লগুনের এক বিথ্যাঙ হোটেলে এই অভিনন্দন-ব্যাপার সম্পন্ন হইবে। নিৰ্দ্ধিঃ দিনে উৎকৃষ্ট পোষাক-পরিচ্ছদ পরিয়া আমরা যথাসময়ে ঐ হোটেল অভিমুখে যাত্র করিলাম। নানা জাতীয় যানবাহনে হোটেলের সম্মুখস্থ প্রশস্ত পথটি এক প্রকার রুদ্ধ হুইয়াছে। ক্রমে জনতা ভেদ করিয়া আমাদের গাড়ী তথা উপস্থিত হইল । করমর্দন করিয়া আমরা নির্দিষ্ট স্থানে উ-ংেশন করিলাম। যাহার অভিনন্দনের জন্য এই সভা আহত হুইয়াছে, নির্দিষ্ট সময়ে তিনি সডামওপে উপস্থিত হইলেন। উপস্থিত ভঞ্জমণ্ডলীর সমবেত করধ্বনির মধ্যে তিনি এক বিশেষ আসন অধিকার করিয়া বসিলেন। ম্যাঞ্চেষ্টারের কয়েক জন প্রসিদ্ধ কারখানার অধিকারী ও লণ্ডনের বহুসংখ্যক বণিক ও গণ্যমান্ত ব্যক্তি সভামণ্ডপে উপস্থিত ছিলেন । ছং-ও-প্রবাসী ভারতবাণীর ভাগ্যে এরূপ সম্মান খুব অল্পই ঘটে। আমরা ধিস্থিত নেত্রে সেই সন্মানিত অতিথিকে দেখিতেছিলাম। তিনি আর কেহ নন, আমাদে২ই সেই ডেকম্বাত্রী মারাঠী ব্ৰাহ্মণ । সেদিনও দেশী রীতিতে পরিচ্ছদ পরিয়াছেন— ললাটে অর্ধচন্দ্রাকার চন্দনের ফোটা প্রভাত-সূর্ঘ্যের স্কায় ঝকৃঝকৃ করিতেছে । ম্যাঞ্চেষ্টারের জনৈক প্রসিদ্ধ ক্রোরপতি ও ভূতপূৰ্ব্ব লর্ডমেয়র সর্বপ্রথমে সভামণ্ডপে । | 'Sని83 অভিনন্দন-কমিটির সভ্যগণের সহিত