পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ఎ98S সময়ে তীর্থযাত্রীর। বৌদ্ধ হিন্দু মুসলমান খৃষ্টান সকলেই এখানে দর্শন করিতে আসে। অন্ত সময়ে ঝড় বজ্রপাত ও হিংস্র পশুর আধিক্যের জন্ত এডাম্স পিকু দুরধিগম্য । অতি প্রত্যুষে শৈলশিখরে পৌছিতে হয়, সেজন্য রাত্রে মশালহস্তে দেবানামপিয় তিসস-এর মুৰ্বি -মিহিনতাল পৰ্ব্বতারোহণ করিতে হয় । সে এক মনোমুগ্ধকর দৃশু— অন্ধকারে পাহাড়ের গামে দীপের মালা মেঘে ঢাকিয় অদৃশ্য হইতেছে, ক্ষণেক পরে প্রকাশিত হইতেছে ; মুহূৰ্ত্তে মুহূর্তে নূতন দৃশ্বের অবতারণা ! মাঝে মাঝে যাত্রীদের বিশ্রামের জন্য পানশালা অর্থাৎ পান্থশালা আছে, এগুলি পুণ্যাভিলানী সিংহলীর নিৰ্মাণ করিয়া রাখিয়াছে ; নারিকেল পাতায় ছাওয়া, ভিতরে বসিবার জন্য বঁাশের বেঞ্চ আছে। পানশালাতে গরম কাফি বিতরিত হয়। পথশ্রমে ক্লাস্তি এবং রাত্রে পাহাড়ের শৈত্যের ভিতর এই গরম কাফিটুকু যে কি আরামপ্রদ, তাহা বলিয়া শেষ করা যায় না। অতি প্রত্যুষে শৈলশিখরে আরোহণ কিরলে দেখা যায় আলোর খেলা, রঙের মেলা – চতুর্দিকে দিকচক্রবাল ঘিরিয়া আলোর বন্যা । এডাম্স্ পিকু হঠাৎ উদ্ধে উঠিয়া গিয়াছে— চতুদিকে অনেক নাচে– সমুদ্রের মত নানা রঙের পাহাড়ের ঢেউ দিকচক্রবালে গিয়া মিশিয়াছে । কোথাও সব মেঘের যবনিকায় ঢাকা— কোথাও বা ধবনিক ছিড়িম্ব ঘন নীল শৈলশ্রেণীর প্রকাশ । এই প্রসঙ্গে বিশেষ ভাবে উল্লেখযোগ্য বৌদ্ধ, হিন্দু, মুসলমান, পৃষ্টিয়ান প্রভৃতির সম্মিলিত যাত্র এবং সকলের একই স্থানে পূজা । পৃথিবীতে এবং কোন কালে বোধ হয় এরূপ ঘটনার সমাবেশ হয় নাই । সকলেই নিজের অভীষ্ট দেবতার উদ্দেশে চলিয়াছে ; কারও সঙ্গে কারও বিবাদ-বিসম্বাদ নাই । মিহিনতালের সিড়ি যাত্রাকালে বৌদ্ধর উচ্চারণ করিতেছে “সাধু” “সাধু", হিন্দুরা “হর” “হর”, মুসলমানের “আল্লা হো আকবর” । মিহিনতাল মিহিনতাল শৈল ভিক্ষুশ্রেষ্ঠ মহেন্দ্রের স্মৃতিপূত । এখানেই প্রথম বৌদ্ধধৰ্ম্ম প্রচারিত হইয়াছিল । অমুরাধাপুর হইতে মিহিনতাল শৈল ৮ মাইল দূরে, অরণ্যের ভিতর দিয়া পথ ।