পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বৈশাখ বৃহৎ সরোবর নূয়র বেওয়া (Nuwara wewa ) পথের ধারে । রাজধানী অনুরাধাপুর হইতে মিহিনতালের পথে এক সময় নৃপতি ভটিকাভয় ( ১৯ পূঃ খৃ: ) চাদর বিছাইয়া দিয়াছিলেন-যাহাতে তীর্থযাত্রীরা ধুলা না মাড়াইয়া রুয়ানবেলি দাগে বা হইতে মিহিনতালে যাইতে পারে। মিহিনতাল শৈল ১০০০ হাজার ফিট উচ্চ । ১৮৪০ খান পাথরের সিড়ি পার হইয়া উপরে পৌছিতে হয় । রাবণের স্বগের সিড়ি কোথাও দেখা যায় না-এই সিড়িকে “স্বর্গের সিড়ি’ আখ্যা দেওয়া যাইতে দুই পাশের বৃক্ষরাজি এবং মাঝে মাঝে বিহারের ধ্বংসাবশেষ এই সোপানাবলিকে একটা গাষ্ঠীয্য দান করিয়াছে । ইটালীর শিল্পী লরেঞ্জেী ঘিবটি Ghiberty) নিৰ্ম্মিত দুইটি ব্রোঞ্জের দ্বারকে মাইকেল এঞ্জেলে! ‘স্বৰ্গদ্বার’ বলিয়া আপ্য দিয়াছেন, এই সোপানাবলিকে ঠিক তেমনি ‘স্বগের ( l orenzo সিড়ি’ বলা যায়। সমগ্র মিহিনতাল এক সময় বিহার ও স্তুপে ভরিয়া তিস্ম হইতে আরম্ভ করিমু! সকল বৌদ্ধ নৃপতিই ভিক্ষু, চিকিৎসক, ভাস্কর, গিয়াছিল। মিহিনতালকে সমৃদ্ধ করিয়াড়েন । স্থপতি, চিত্রকর, কারুশিল্পী, ভূত্য ও নানা শ্রেণীর কৰ্ম্মচারী - সকলের ব্যবস্থা বিধিবদ্ধ ছিল । রাজকোষ হইতে সকলের বেতন ও বিহার প্রভূতির জন্য অর্থ নিদিষ্ট ছিল । মিহিনতালে অনেক শিলালেখ পাওয়া যায় - তাহাতে প্রাচীনকালের বিপিব্যবস্থা অনেক জানা যায়। প্রাচীন চিকিৎসাশাল ও পাকশালার ধ্বংসাবশেষ দেখিতে পাওয়া যায়। মিহিনতালের অধিবাসীদের জন্য জলনিষ্কাশনের সুব্যবস্থা ছিল। পাহাড়ে মাঝে মাঝে ছোট স্বাভাবিক জলাশয় আছে—সিংহলী ভাষায় তাহাকে পোকুন ( পুকুর ) বলে। মিহিনতালের নাগ পোকুন বিশেষ উল্লেখযোগ্য। পাহাড়ের গায়ে পাচ ফণওয়ালা এক বিষধর সপ খোদাই করা, সাপের লেঞ্জ জলের ভিতরে রহিয়াছে, সাপ যেন জলের উপরে মাথা তুলিয়া বিষ সিংহলের চিত্র ర్సీ উদগীরণ করিতেছে । চারি দিকের শুামল বৃক্ষরাজি, ঝিঝিপোকার একটানা শব্দ এবং নির্জনত এ স্থানকে রহস্যময় করিয়াছে। সাপ হইতেই ‘নাগ পোকুন। এই নামের উৎপত্তি । এই পোকুন হইতে পাথরের পয়ঃপ্রণালী ও লোহার মিহিনতালের একটি গুহা নলের সাহাযে অস্থাত্র জল লওয়ার ব্যবস্থা ছিল । এসব অবশু এথল নষ্ট হইয়া গিয়াছে । নাগ পোকুনের জল অনেক দূরে একটা চৌধাচ্চায় লওয়া হইত। চৌবাচ্চার গায়ে একটা সিংহের মূৰ্ত্তি খোদাই কর। ; ৭ ফিট ৪ ইঞ্চি উচ্চ । সিংহ সামনের তুষ্ট পা তুলিয়। গর্জেন করিতেছে, কার - উপর যেন ঝাপ এই চৌবাচ্চ : নাম সিংহ পোকুম' । iসংহের মাথার ভিতর প্ৰবেশ করিয়াছে, মুখের ভিত্ৰ : দয়া জল পড়ার ব্যবস্থা । ইহার শিল্পনৈপুণ্যক,ণব শালিকতা নিশ্চয়ই খুব প্রশংসার বিষয় । পৰ্ব্বতশিখরে নাগোবা এট বিহার (Et Wihara) ; বুদ্ধের কপালে বামচক্ষুর পর উপরে যে একটি কেশ তার উপরে এট স্তপ নির্মিত। আর একটি প্রাচীন দাগোবা মহাসের দাগোব। এই ছই দাগোব পূ: প: প্রথম শতকে প্রস্তুত। মিহিনতালে মহেন্দ্ৰ দেহরক্ষা করেন ; তাহার দেহাবশেধের উপর আম্বাস্থল দাগোব নিৰ্ম্মিত । আগস্থল দাংগাবার চারিদিকে পঞ্চাশটি সরু পাথরের গুস্ত আছে। মিহিনতালের সর্বাপেক্ষ দ্রষ্টব্য মহিন্দগুহP–মহেন্দ্র যেখানে দিয়া পড়িবে এই ভাব । চৌবাচ্চা হইতে একটা লোহার ন