পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩২ ఏ98S শয়ন করিতেন । গুহা; তুষ্ট দিক থোল, উপরে পাথর ছাদের মত রহিয়াছে, ভিতরে স্থান মোটেই প্রশস্ত নয় । একজন মানুষ কোনো রকমে শম্বন করিতে পারে । ‘মহিন্দগুহা হইতে দূরের উপত্যকার দৃশু অতিশয় মনোরম। নাগ প্লে,কুম – মহিনতাল সমুদ্রের মত উপত্যকা দিগন্তবিস্তৃত, হরিৎ পীত ও নীল রঙের অপূৰ্ব্ব সমাবেশ। অনেক দূবে সবুজ বনের মধ্যে সরোবর দেখা যায় ; রূপালী জলরেখা মকমলের মধ্য ধেন তরবারি। যোগী মহেন্দ্র প্রকৃতিব এই অপূৰ্ব্ব নয়মস্নিগ্ধকর শোভার মধ্যে ধ্যানমগ্ন থাকিতেন । মিহিনতালে মহেন্দ্র ও দেবানামপিয় তিস্স মহাবংশে উল্লেখ আছে মিহিনতাল পৰ্ব্বতে অনেক সহস্ৰ সঙ্গী লইয়া নৃপতি ডিস্স মৃগয়ায় বাহির হইয়াছিলেন । বর্তমানে যেখানে আস্বাস্থল দাগোবা তাঙ্গার নিকটেই আমগাছের নীচে মহেন্দ্র বসিয়াছিলেন । নৃপতি মহেন্দ্রকে দেখিযু *াড়াইলেন । মহেন্দ্র সম্রাটকে সম্বোধন করিয়া জিজ্ঞাসা করিলেন---“হে রাজন, এই যে গাছ, এর নাম কি ?” “ইহাকে আম্বোগtছ ( আম ) বলে ।” “এই গাছ ছাড়া আরও আম্বোগাছ আছে কি ?” “আরও অনেক আম্বোগাছ আছে । “এই আম্বে এবং আর ঐ সব আম্বে ছাড়া পৃথিবীতে আরও আম্বোগাছ আছে কি ?” “প্ৰভু ! আরও অনেক গাছ আছে, কিন্তু সে-সব আম্বোগাছ নয় । “অদ্য সব আম্বোগাছ এবং অন্য সব গাছ, যারা আম্বোগাছ নয়, সে-সব ছাড় আরও কিছু আছে কি ?” “কি আশ্চৰ্য্য ! এই ধে আঙ্গোগড় ।” “হে নরপতি, আপনি জ্ঞানী।” মহেন্দ্র তখন তিস্স-এর কাছে বুদ্ধের বাণী প্রচার করিলেন, তিসস সদলবলে বৌদ্ধধৰ্ম্ম গ্ৰহণ করিলেন । পুরবাসী সকলে যাহাতে “থেরো”-এর দর্শন পায়, সেজন্য মহেন্দকে রাজধানীতে রাজ প্রাসাদে লষ্টয় গেলেন । রাজপ্রাসাদের প্রাঙ্গণে পুরবাসীদের ভিড় । রাজা দেখিয়ু বলিলেন, “এই প্রাসাদে যথেষ্ট স্থান নাই, রাজকীয় লোকের বলিয়া উঠিল, জলতা বিরাট হস্তীশালায় স্থান হউক ৷” “হস্তীশাল ও যথেষ্ট প্রশস্ত নয়,” কাজেই সকলে “নন্দন” নামক প্রমোদ-উদ্যানে গমন করিল । নন্দনের দক্ষিণদ্বার থেলি ছিল, “নন্দন” সুরম্য অরণ্যে অবস্থিত, গভীর ছায়া এবং কোমল শু্যামল তুণের জন্য শীতল । পুরবাসী-সকল “নন্দন" উদlানে থেরো-এর দর্শন পাইল । তাহার নিকট বুদ্ধের অমুভবয বাণী শুনিয়া নিজেদের ধন্য মনে করিল। মহেন্দ্র সমবেত জনমণ্ডলীকে উপদেশ দান করিয়া “নন্দন" উদ্যানের দক্ষিণ দ্বার দিয়া বাহির হইয়া “মহামেঘ” প্রমোদ-উদ্যানে উত্তর-পশ্চিম দ্বার দিল্প প্রবেশ করলেন । সেখানে এক মনোরম রাজপ্রাসাদ, অমুপম শষ্য, আসন প্রভৃতি আরামোপযোগী উপকরণ দ্বারা সজ্জিত করিয়া রাজা মহেন্দ্রকে বন্সিলেন “এখানে আরামে বাস করুন।” রাজা তখন মহামেঘ প্রমোদ-উদ্যান ভিক্ষুদের জন্য উৎসর্গ করিলেন । রাজা নিজের হাতে সোনার লাঙ্গল দিয়া মাটিতে দাগ কাটিয়া চারিদিকের সীমা নির্দেশ করিয়া দিলেন। সীমারেখা সমাপ্ত হইবার সময় ভূমিকম্প হইয়াছিল। . নৃপতি তিস্-এর প্রধান কীৰ্ত্তি অহরাধাপুরের বোধিবৃক্ষ।