পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪৮৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

88& তাং পালিত হইগছে কি না, তাহার আলোচনা সম্পূর্ণ অনাবশ্যক। ইতিহাসে ও খবরের কাগজে তাঁহা লেখা আছে, কিন্তু ভারতবর্ষ ও ভারতীয়েরা ব্রিটেন ও ত্ৰিটেনিম্নদিগকে কি দিতে চাহিয়াছিল এবং কিরূপ ব্যবহার তাহদের প্রতি করিতে চাহিয়াছিল, তাহ গবেষণার বিষয় বটে। বিনা গবেষণাতেই কিন্তু একটা তথ্য আমাদের স্কুলের ছেলেমেয়েরাও জ্ঞানিয়ু থাকে। ত্রিটেন আমাদের অঙ্গীকারের বা দানশীলতার অপেক্ষ রাখেন নাই, স্বতঃপ্রবৃত্ত হইয়াই যাহা-কিছু গ্রহণযোগ্য তাহী,গ্রহণ করিয়াছেন ও করিতেছেন এবং অধীন আমর, প্রভূ তাহদের প্রতি যেরূপ ব্যবহার করিলে তাহার খুশী হন, তাহা আমাদের দ্বারা করাইয়া আদিতেছেন। আর কি চাই ? আমরা বিগড়িয়া গিয়া চিরাচরিত প্রথার বিপরীত মনোভাব পোষণ বা তদনুরূপ আচরণ যাহাতে না করি, তাহাই বোধ হয় ভূতপূৰ্ব্ব বোম্বাই লাট চান। আমেরিকার প্রতি দেনদীর ব্রিটেন গত মহাযুদ্ধের সময় ব্রিটেন ও অন্য অনেক দেশ আমেরিকার কাছে কোটি কোটি টাকা ধার করিয়াছিল । এখনও সব শোধ হয় নাই । ব্রিটেন আমেরিকার কাছে এখনও মোট কণ্ড ধারে, জানি না। কিন্তু যে তিন কিস্তী বাকী পড়িয়াছে তাঁহারই সমষ্টি ১৬২ কোটি ডলার অর্থাৎ প্রায় ৭৮৬ কোটি টাকা । ব্রিটেন আমেরিকাকে বলিতেছেন, “দেখ, এত অর্থ সোনায় বা ডলারে তোমাকে দিলে পৌণ্ডে ডলারে বিনিময়ের হারে বড় একটা ঝড় বহিবে, পৃথিবীময় একটা মুদ্রাবিভ্ৰাট ঘটিবে। তা ছাড়, আমরা যাদের কাছে টাকা পাইব, তারা ত আমাদের টাকা দেয় নাই। বুঝিলে কি না ? আমাদের বজেটে ১৫ বৎসর পরে কিছু উবৃত্ত হইয়াছে বটে। তাহার দ্বারা তোমাদের ঋণশোধন করিয়া যদি ইংরেজ ট্যাক্সদাতাদের কিছু স্ববিঘা করিম্ব দেওয়া হয়, তাহাতে তোমাদের আপত্তি করা উচিত নয়। কিন্তু মনে করিও না,যে, তোমাদের ঋণ অস্বীকার করিতেছি।” উত্তমর্ণের প্রতি অধমর্ণের এমন তোফা বাক্য ইতিপূৰ্ব্বে শোনা যায় নাই ! আচার্য্য রামেন্দ্রসুন্দর ত্রিবেদী আচাৰ্য রামেন্দ্রসুন্দর ত্রিবেদী বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের জন্ম, বঙ্গীয়-সাহিত্য-পরিষৎ ও তাঁহার মিউজিয়ম রমেশভবনের জন্য এবং বঙ্গের স্বদেশী ব্রত পালনের জন্ত যাহা করিয়াছেন, তাহা চিরস্মর্তব্য । তাছার উদার সরল যমুয্যত্ব চিরস্মৰ্ত্তব্য । ইহাও মনে রাথিবীর যোগা, যে, তিনি প্রধানতঃ বাংলা ভাষার সাহায়ো কলেজে রসায়ী-বিদ্যা শিথাইতেন। ఎని83 স্তর আশুতোষ মুখোপাধ্যায়ের স্মারকসভা স্তর আশুতোষ মুখোপাধ্যায় কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়কে নানা বিদ্যা ও ধিজ্ঞানের উচ্চতর ও উচ্চতম শিক্ষা ও গবেষণার প্রতিষ্ঠানে পরিণত করিবার নিমিত্ত প্রভূত দান সংগ্ৰহ করিয়াছিলেন। সেই সকল বিদ্য ও বিজ্ঞানের কি কি ধিষম্বের কি ভাবে অমুশীলন করিতে ও করাইভে হইবে, সেবিষয়েও উহার ও র্তাহার সহযোগীদের বৃহৎ পরিকল্পনা ছিল। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়কে গবন্মেণ্টের ও ইংরেজদের অধীণত হইতে যথাসম্ভব মুক্ত রাপিতে সচেষ্ট ছিলেন। উচ্চতম বিদ্যা ও বিজ্ঞানের অমুশীলন ভারতীয়দের দ্বারাই হউক, ভারতীয়দের টাকায় ইংরেজ-পোষণ যথাসম্ভব না হউক, এবং বিদ্যামন্দিরে ভারতীয়দের দ্বাসমনোভাব না-জল্লুক, ইহাও র্তাহার অভিপ্রেত ছিল মনে হয় । তাহার এই সব কার্য, চেষ্ট ও অভিপ্ৰায়ের জন্য তিনি সম্মানার্হ। কিন্তু তিনি নিজের মংলব সিদ্ধি ও প্রভুত্ব রক্ষার জন্য যাহা কিছু করিতেন, যে-কোন কৌশল অবলম্বন করিতেন, তাহাই সমর্থনযোগ্য ও প্রস্কেম্ব বিবেচিত হইতে পারে না। সঙ্গীতশিক্ষার্থীরা ওস্তীদদের মুদ্রাদোযের অমুকরণ করিয়া ওস্তাদ হইতে পারে না। স্তর আশুতোষ মুখোপাধ্যাম্বেরও কেবল ফন্দী ও ফিকিরগুলির অনুসরণ দ্বার স্তর আশুতোয হওয়া ঘাম না । স্তর আশুতোষের মত বড় কাজ করিলে—অস্তত: করিবার চেষ্টা করিলে, তবে তাহার মত হওয়া যায়, এবং তাহার সম্মান রক্ষিত হয় । - হরিদাস হালদার কালীঘাটের ঐযুক্ত হরিদাস হালদার ৭০ বৎসর বয়সে দেহত্যাগ করিয়াছেন। বঙ্গের অঙ্গচ্ছেদের বিরুদ্ধে আন্দোলনে তিনি অরবিন্দ ঘোষ, বিপিনচন্দ্ৰ পাল ও শুামম্বন্দর চক্ৰবৰ্ত্তীর সহচর ছিলেন । অসহযোগ প্রচেষ্টার দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশের সহচর ও অমুচর ছিলেন। তিনি “কৰ্ম্মের পথে” ও “গোবর গণেশের গবেষণা” নামক দুইখানি পুস্তকের লেখক। নাবালকদের ধূমপান নিবারণ অল্পবয়স্ক বালকদের ( দুঃখের বিষয়, বলিতে হইতেছে বালিকাদেরও) ধুমপান নিবারণের জন্য আগ্র-অযোধ্যা প্রদেশে একটি আইন হইতেছে। সব প্রদেশেই এইরূপ আইন হওয়া উচিত। “ইণ্ডিয়ান একাডেমী অব সায়েন্সেঞ্জ” বিলাতের রম্যাল সোসাইটির মত ভারতবর্ষে একটি "ইণ্ডিয়ান একাডেমী অব সামেন্সেঞ্জ” (ভারতীয় বিজ্ঞানপরিষৎ) স্থাপনার্থ অহার একটি কন্সটিটিউখান মুয়াবিদ