পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪৮৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

r আষাঢ় করিবার জন্তু ইণ্ডিয়ান সায়েন্স কংগ্রেস এসোসিয়েশ্রীন একটি কমিটি নিযুক্ত করেন। অধ্যাপক রামনুও তাহার সভ্য। ইতিমধ্যে অধ্যাপক রামন বাঙ্গালোরে একটি ইণ্ডিস্থান একাডেমী অব সায়েঙ্গেজ স্থাপন করির তাহা রেঞ্জিষ্টরি করিদ্ধা ফেলিয়াছেন। এই ব্যাপারটি লইয়া খবরের কাগজে অনেক তর্কবিতর্ক হইয়াছে। কমিটি কর্তৃক নিযুক্ত একটি সব-কমিটি এই ব্যাপারটি সম্বন্ধে সমুম্ব প্রকৃত তথ্য বিবৃত করিয়া ও ডাক্তার রামনের কাৰ্য্যের নিযুম-বিরোধিতা প্রদর্শন করিয়া একটি পুস্তিক প্রকাশিত করিয়াছেন। তাং ভারতবর্ষের বৈজ্ঞানিকদিগকে এবং খবরের কাগজের সম্পাদকদিগকে প্রেরিত হইয়াছে। এই সব-কমিটির সভ্য ডক্টর বাইনী প্রসাদ, ডক্টর এম্ এস্ কৃষ্ণন অধ্যাপক ডক্টর এস্ পি আঘর্কর এবং অধ্যাপক ডক্টর জে এন্‌ মুখুজো । - শ্ৰীমতী শকুন্তলা দেবীর বৃত্তিলাভ বিদ্যাথদিগকে বিদেশে গিয়া উচ্চাঙ্গের বিদ্যানুশীলনে সমর্থ করিবার জন্ত কয়েকটি ঘোষ ভ্রমণ-বৃত্তি (Ghose Travelling Fellowships) of oral foxfostoy so থাকেন। এই বৎসর প্রথম একটি মহিলাকে এই বৃত্ত দেওম্বা হইয়াছে। তিনি কুমারী শকুন্তলা রাও । শ্ৰীমতী শকুন্তলার জন্ম অন্ধ দেশে এবং তিনি বংশত অন্ধুদেশী। কিছু শৈশব হইতে তিনি বঙ্গে লালিত পালিত বলিম্বা সৰ্ব্বাংশে বাঙালীর মেয়ে। তাহার ভাষা, শিক্ষ, পরিচ্ছদ, সংস্কৃতি সবই বঙ্গদেশের । আচাৰ্য্য জগদীশচন্দ্র বস্তুর ভগ্নী স্বৰ্গীয়া ঐযুক্ত লাবণ্যপ্রভ সরকার ও তাহার স্বামী স্বৰ্গীয় ডক্টর হেমচন্দ্র সরকার কল্যাণীয়া শকুন্তলাকে মানুষ করেন। শকুন্তলার পিতৃমাতৃভক্তি ও বহু বৎসর ধরিয়া পীড়িত পিতার সেবা ধিনি দেখিয়া:ছন তিনিই মুগ্ধ ও বিস্থিত হইয়াছেন। শকুন্তলা ইংরেজীতে ও সংস্কৃতে কৃতিত্বের সহিত এমূএ পাস করিয়াছেন এবং সংস্কৃত উপাধিপরীক্ষা দিয়া “বেদতীর্থ” উপাধি পাইয়াছেন। “শাস্ত্ৰী” উপাধি পাইবার জন্য তিনি একটি গবেষণামূলক প্রবন্ধ প্রস্তুত করিয়াছেন । ইউরোপে ধিয়াহশীলন করিম্ব আসিলে তাহার ধোগ্যতা আরও বাড়িবে । তিনি তাহার পিতা মাত শ্রযুক্ত লাবণ্যপ্রড ও ডক্টর হেমচন্দ্র সরকারের গ্রন্থাবলী বন্থ রায়ে প্রকাশ করিয়াছেন । তিনি কেবল বিদুষী নহেন, গৃহকৰ্ম্মেও বিশেব নিপুণ । সিংহলে রবীন্দ্রনাথ ধৰ্ম্মে সভ্যতাম্ব সংস্কৃতিতে ভারতবর্ষের সহিত সিংহলের যোগ বহু প্রাচীন । রবীন্দ্রনাথের সিংহল ভ্রমণ দেই যোগ পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করিল। এই কাজটি র্তাহার স্বার যে-প্রকারে হওয়া সম্ভব অন্ত কোন এক ব্যক্তি রারা তাহা হইতে বিবিধ প্রসঙ্গ –ভিন্ন ডিক্স জাতির ( raceএর সংখ্যাবুদ্ধি 88% পারে না। তিনি কোথাও ধৰ্ম্মোপদেষ্ট হুইয়া ধান না এবং বঙ্গেও ধৰ্ম্মোপদেষ্ট বলিয়া নিজের পরিচয় দেন মা, কিন্তু ঠাহীর বন্ধ গানে, ব্যাখ্যানে, কবিতা, বক্তৃতায় এবং বাংলা ও ইংরেজী কোন কোন বহিতে ধর্শ্বের গভীরতম বাণী উচ্চারিত হইছে। ধৰ্ম্মতবে, শিক্ষাতত্বে ও দর্শনে তাহার অন্তদৃষ্টি মনীষীদের দ্বারা প্রশংসিত হইয়াছে । রাষ্ট্রনীতিক্ষেত্রে তিনি কৰ্ম্মী না হইলেও তাছার চিন্তার প্রসার ও গভীরতা কম নহে। নাগরিক জীবন ও পল্পীজীবনের বিরোধভঞ্জন ও সামঞ্জস্যসাধন তাহার পরিকল্পিত পৌরঙ্গানপদ সমাজসংগঠন ব্যবস্থা দ্বারা হইতে পারে । অন্য দিকে, অভিনয়ে সংগীতে নৃত্যে চিত্রকলায় তাহার প্রতিভা স্বার সংস্কৃতির সৌন্দৰ্য্যন্বষম ও আনন্দের দিকটি উদ্ভাসিত হইছে। এই সকল নানা গুণের সমাবেশ একই ব্যক্তিতে থাকায় রবীন্দ্রনাথ সিংহলবার্মাদিগকে যেমন আলম্ব দিতে পারিয়াছেন ও তাহদের মধ্যে যে নবজাগরণ আনিয়ছেন, তাহ পূর্কে তথা সংসাধিত হয় নাই । - পঞ্জাবে ও বঙ্গে প্রবেশিকা-পরীক্ষার্থীর সংখ্যা অনেকে বলিয় থাকেন, বঙ্গে উচ্চ ইংরেজী বিদ্যালয়ের সংখ্যা বড় বেশী এবং প্রবেশিক পরীক্ষা দেখ বড় অধিকসংখ্যক ছাত্রছাত্রী, কিন্তু বঙ্গের লোকসংখ্যা পঞ্জাবের দুই গুণেরও বেশী ; অথচ পঞ্চাবে এবংসর প্রবেশিকা পরীক্ষা দিয়াছিল কুড়ি হাজারের বেশী, বন্ধে দিয়ছিল মোটামুটি তেইশ হাজার। তথাপি বঙ্গের সরকারী শিক্ষাহিতৈষীরা এগার শত উচ্চ ইংরেজী বিদ্যালয় কমাইম চারি শত করিতে চান। আগ্রা-অযোধ্যায় আবশ্যিক শিক্ষা আগ্ৰা-অযোধ্যা প্রদেশে প্রাথমিক শিক্ষা অবশুদেৰ করিবার স্বত্রপাত করণার্থ এক লক্ষ টাকা সরকারী বরাদ্ধ হইয়াছে। বঙ্গে - ? ভিন্ন ভিন্ন জাতির ( raceএর ) সংখ্যাবৃদ্ধি ১৯১৩ সালে অধ্যাপক চালর্স রিচেষ্ট্র ( Prof. charles Richet ) চিকিৎস-বিজ্ঞানে গবেষণার দ্বারা নোবেল প্রাইজ পান। তিনি একজন জগদবিখ্যাত বৈজ্ঞানিক। তিনি পৃথিবীর শ্বেত-অশ্বেত নানা জাতির স থ্যাবৃদ্ধি পৰ্য্যালোচনা করিয়া বলিয়াছেন—(১. পীত। চীনা জাপানী ইডাদি ) ও মিশ্রজাতির শ্বেতদের পাচ-ছয় গুণ দ্রুত বাড়িতেছে, (২) শ্বেতদের মধ্যে ইউরোপীয়রা সকলের চেয়ে কম বাড়িতেছে ; (৩) ইউরোপীয়দের মধ্যে সভ্যতম জাতিরা সকলের চেয়ে কম বাড়িতেছে । আগামী দশ বৎসরে এশিঙ্গাবাসীরা চৌদ্ধ কোটি, আমেরিকানরা পাড়ে তিন কোটি এবং ইউরোপীয়রা দু-কোটি বাড়িবার সম্ভাবনা। গত দশ