পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪৯৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শ্রাবণ বায়ুপুরাণে আছে সত্য প্রভৃতি ঋষি কালকে হণ্ডাবস্থায় দেখিয়াছিলেন। বায়ু ৭ । ৭৫ ৷ কালের সুপ্তাবস্থা ব্রাহ্মরাত্রি । এই সময় পুথিবী জলপ্লাযিত থাকে । বিষ্ণুপুরাণ তৃতীয় অশের প্রথম অধ্যায়ে আছে, সত্য উত্তমি মন্বন্তরে ছিলেন । লেখকের বিচার 3位。 এই কালের মধ্যেও একবার মহাপ্লাবন ঘটিয়াছিল পুরাণ তাহার সাক্ষ্য দিতেছে । পুরাণে বহু প্রকৃত পুর বৃত্ত ধৃত হইয়াছে । মনোযোগ সহকারে পুরাণগুলি পাঠ করিলে ভারতের প্রাচীন হিষ্টরি &ন্তমি মনুকাল ৫২৪২ খ্ৰীঃ-পূঃ তহঁতে ৪৮৮৫ খ্ৰীঃ-পূঃ উদ্ধার হইবে । শ্রীমণীন্দ্রলাল বসু BBBBB SuBB SBBBS BBSBBBBB SBBBBBS BB BBBB BB BBBS BBB DD DS DS DBB চতুড়ে বাড়ি ও সতীশের ‘অনন্ত তৃষ্ণ গল্পগুলির পর সামার গল্প তোমাদের তেমন ভাল লাগবে না । আমি যা বলব ত গল্প নয়, আমার দৃঢ়বিশ্বাস, এ-ঘটনা ঘটেছিল, অর্থাৎ ঘটা উচিত ছিল । গত মাসে সতীশ চৌধুরীর বাড়িতে ডিনার-খাওয় তোমাদের নিশ্চয় মনে আছে । চৌধুরীর কোন ডিনার আমি ভুলতে পারি না, ও লোকটা খাওয়ার আর্ট ওস্তাদের মত আয়ত্ত করেছে । যেমন বর্ণ ও রেখা-ছন্দের সামঞ্জস্তে চিত্তের সৌন্দর্য্য প্রকাশিত হয় ; যেমন বেহালার সঙ্গে পিয়ানোর বা শৱদের সঙ্গে বtয়াতবলার যথাযথ সঙ্গতে সুরের সমন্বয়ে জলস। জমে ওঠে, তেমনি আচার্যোর সঙ্গে পানীয়ের যথোচিত সম্মিলনেই আহারের আনন্দ স্বষ্টি হয় ; ভোজ্য প্রচুর ও বিচিত্র হলেই হয় না : আহার্য নিৰ্দ্ধারণে চাই সংযম, এবং ডিলারের প্রতি কোসে’র পদোর সঙ্গ পানীয় নিৰ্ব্বাচনে চাই পান-বিলাসীর সৃক্ষ আভিজাতিক রুচি ; চৌধুরীর প্রতি ডিনারে আহার্য ও পানীয়ের শুধু বৈচিত্র্য নয়, আনন্দময় ঐক্য পাওয়া যায় বলেই তার ডিনগরগুলি এমন উপভোগ্য । ডিনার খেয়ে যখন বাড়ি ফিরলুম রাত বারটা বেজে গেছে, কে আমায় মোটরে বাড়ি পৌছে দিয়ে গেল, অবনী তুমিই বোধ হয়, হাসছ কেন,—বুঝেছি, তুমি বলতে চাও, মোটরে বাড়ি পৌছে ন দিয়ে গেলে, এক সত্যি ! আমার ড্রয়িং-রুম তোমরা দেখেছ, বাড়ির একতলার প্রায় সমস্ত অংশ জুড়ে, তার পাশে বারান্দ, তারপর দোতলাতে ওঠ বার সিড়ি । সিঁড়িতে উঠতে গিয়ে দেথি, ড্রয়িং-ক্রমে আলো জ্বলছে, এত রাত্রে ড্রয়িং-রুমে কে আলে জালাল ! থোলা দরজার পর্দা সরিয়ে দেখি, ঘর লোক-ভর , সব অজানা অদ্ভুত মুর্তি ! এত রাতে এত লোক আমার জন্ত প্রতীক্ষা করছে আর গেট থে1লবার সময় দরোয়ান একটা কথাও বললে না ? ঘরের আলো বড় অপূৰ্ব্ব লাগল, এ-আলে। কলিকাতা ইলেক্‌টিক কোম্পানীর বৈদ্যুতিক আলো নয়, এ সূর্যের বা চন্দ্রের আলোও নয়, এ কোন অতীন্দ্রিয় লোকের অালো । ধরে প্রবেশ করতেই একটা সোরগোল পড়ে গেল । —এই যে এতক্ষণে এসেছেন । —খাওয়া বেশ ভালই হয়েছে দেখছি । —পান ততোধিক, আমরা এদিকে এক ঘণ্ট ব’স । বিস্মিত ভাবে বললুম, ক্ষম করবেন, আমি কাউকে ঠিক চিনতে পারছি না, কোন জরুরী কেস নাকি, পুলিস কেস ? সোফীতে একটি মোটা লোক বসেছিল, সার্কাসের ক্লাউলের মত হা, হ, ক’রে সে অদ্ভূত হেসে উঠল,— ওহে আমাদের চিনতে পারছে না ।