পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫০৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শ্রাবণ {fর কলমণ্ডপে উভয় ক বপাইয়! গাটছড়া বাধ হয় । টছড়ার মধ্যে দুইটি সুপারি ও দুইটি পয়সা থাকে । তাহার ব বর ও কনে উভয়ে আঁচলে চাল লইয়া পরম্পরের মাথার পর তাহা ছড়াইগ্ন দেয় । এইবার বরকলে দেখিবার পাল । উভয় পক্ষের বন্ধুস্কব বরকনের মুখ দর্শন করিয়া কেই কি টাক, কেহ দুই টাক, কেহ দশ টাকা দিয়া আশীৰ্ব্বাদ করিয়া fয় । ইহাতে এত টাকা জমে যে, আগাগোড় বিবাহের খরচ ইহ ইতেই উঠিয়া যায়। কিন্তু সমাজের iাম অনুসারে কে কত দিল তাহার একটু হিসাব রাখিত হয় । তাহার পর তাহার বাড়িতে আবার বিবাহের সময় ঠিক তত টাকা দিয়। সেখানে আশীৰ্ব্বাদ করিয়। আসিতে হয় | এই ভাবে একজন লোক হয়ত দশ ড়িতে দশ বৎসরের মধ্যে একশত টাকা দিয়াছে । তা চার সুবিধ হইল, সে আবার নিজের বাড়ির কাজের সময়ে সেই টাকা এবং হয়ত কিছু বেশী টাকা ফেরৎ পায় । লৌকিকতার এই প্রথাটি কতকটা বিবাহ ইনসিওরেন্সের মত ব্যাপার । ইহার ফলে বিবাহের খরচটা ইলিয়াদের কোন দিন গায়ে লাগে না । কেবল দানের গহনাপত্রের খরচটা বরপক্ষকে অন্ত ভাবে যোগাইতে হয় । যাহা হউক, বিবাহের পরদিন খুব ঘটা করিয়া বরকনেকে শহর ঘুরান হয় । ফিরিয়া আসিলে বরের ছোটভাই দাদার ও বৌদির পথ আগলাইয় দাড়ায় । সে নানারকম আপত্তি করে, ঠাট্টা করে, শেষে দাদার কাছে বিবাহ দেওয়াইবার প্রতিজ্ঞা পাইলে দ্বার ছাড়িয়া দেয় । ঘরে ঢুকিয়া বরকনেকে একটি ঘড়ার মধ্য হইতে সোলার ও রূপার আংটি খুজিতে দেওয়া হয় । যে সোনারটি পাইবে তাহার বরাত ভাল, এবং যে রূপার 4াইবে তাহার অপেক্ষাকৃত মন্দ বলিয়া কুলিয়াদের বিশ্বাস । বিবাহের তিনদিন বাদ দিয়া একটি ভাল যোগলয় মুলিঙ্কণ সমাজ aહ૧ দেখিয় বর শ্বশুরবাড়িতে যায় এবং সেখানে তাহার স্ত্রীকে রাখিয়া চলিয়। আসে । কিছু কাল পরে তাঙ্গর স্ত্রীর দ্বিতীয় বিবাহের সংস্কার হইলে তবে সে তাহাকে ঘরে অনিয়া সংসার করে । - ইহাই হুইল কুলিয়া দর বিবাহের সাধারণ নিয়ম । সমুদ্রে বড় জাল ফেলার আগে ভোজ কিন্তু বিধব। অথবা ত্যক্ত স্ত্রীর সঠিত মথম বিবাহ হয়, তখন এত ঘটা কোনদিনই করা হয় না । তখন শুধু কয়েকজন ভদ্রলোককে সঙ্গে করিয়া কুকুম, বস্থাদি লইয়া বরক কস্তাকে তাহার পিত্রালয় হইতে লইয়। আসেন, তাহাতেই বিবাহ সিদ্ধ হয় । নুলিয়াদের মধ্যে বিবাহবিচ্ছেদ আছে। বিচ্ছেদের জষ্ঠ ক্রীশ্চন আইনের মত কোনও দোষ দেখাইবার দরকার হয় না । পরস্পরের মনের মিল নাই, এমন কারণেও বিবাহবিচ্ছেদ হইয়া থাকে । কিন্তু কোন পক্ষ বিচ্ছেদ চাঙ্গিলে পঞ্চায়েৎ ডাকিয়া পঞ্চায়েতের ফি পনর টাকা দিতে হয়, এবং যে পক্ষ বিচ্ছেদ চায় তাহাকে আরও পঞ্চাশ টাকা অপর পক্ষকে খেসারৎ-স্বরূপ দান করিতে হয় । কিন্তু যদি পঞ্চায়েতের বিবেচনায় বিচ্ছেদের যথেষ্ট কারণ থাকে, তাহা হইলে কোন ও টক না-ও লওয়া যাইতে পারে। ধরা যাউক, স্ত্রী স্বামীর মারধর সহিতে না পারিয়া বিচ্ছেদ চাহিতেছে। তখন হয়ত তাহার সমস্ত জরিমানা মাপ করা হয় । এমন কি তাহার পয়সা না থাকিলে পঞ্চায়তী পাওনা পনর টাক পৰ্য্যন্ত মকুব করিয়া দেওয়া হয় |