পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫০৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শ্রাবণ একটি বালিক রামাইয়া নামক এক ব্যক্তিকে বিবাহ করিবার জন্য উদ্‌গ্ৰীব হইয় উঠে। রামাইয়ার বিবাহ পূৰ্ব্বেই হইয়া গিয়াছিল এবং সে স্ত্রী লইয়া মুখেই সংসারযাত্র নির্বাহ করিতেছিল । উভয় পরিবারের কৰ্ত্তাদের মধ্যে কিন্তু সদ্ভাব ছিল না, এম কি যথেষ্ট মনোমালিন্য ছিল বলা যাইতে পারে । পলান্স সুন্দরী এবং ধনীর সস্তান, সুতরাং তা স্থার পাত্রের অভাব হয় নাই । কিন্তু সেই যে সে রামাইয়াকে বিবাহ করিবে বলিয়। খরিয়া বসিল, তাহাকে আর কিছুতেই টলনি গেল না । তাহার তি। তাহাকে অনেক করিয়া বুঝাইলেন, অনেক তথ্রমধ করিলেন, শেষে মারধরও করিলেন, কিন্তু কিছুতেই ফল হইল না । অবশেষে তিনি ক্রুদ্ধ হই, কষ্ঠার অসন্মতি সত্বেও তাহার অন্যত্র বিবাহ দিলেন । কিন্তু পলাশ্ন কিছুতেই স্বামীর বাড়ি যাইত না । অবশেষে পঞ্চায়েত সে-বিবাহ ভাfডয়া দিতে বাধ্য হইল, পলান্মার পিতা বরপক্ষকে যাবতীয় দানের সামগ্ৰী ফিরাইয়। দিলেন । এদিকে পলান্স যাহাতে রামাইয়ার সঙ্গে দেখা করিতে না পারে, তাহার জন্য তিনি সতত চেষ্ট করিতে লাগিলেন । তাহাকে অন্য গ্রামে পাঠাইয়া দিলেন, কিন্তু সে রহিল না । তখন তিনি রাত্রে, বিশেষ করিয়া আমোদ-উৎসবের রাত্রে, বাড়ির চারিদিকে লাঠি লইয়। পাহারা দিতেন । এমনি ভাবে কিছু দিন গেল । কিন্তু পলান্ম রামাইয়ার বাড়িতে খবর পাঠাইল যে, যদি তাহার বিবাহ না দেওয়া হয় তবে সে জোর করিয়া সেখানে গিয়। বাস করিতে আরম্ভ করিবে, তাহাতে লোকে যাই বলে বলুক না কেন । গ্রামের লোক অবশেষে রামাইয়ার পিতার দ্বারা বিবাহের প্রস্তাব পাঠাইল । পলাঞ্জার পিতা ত প্রস্তাব শুনিলেনই ন, উপরন্তু ভদ্রলোকদের অপমান করিয়া তাড়াইয়া দিলেন । ইহাতেও কিন্তু কিছু হইল না । ইতিমধ্যে রামাইয়ার শ্বশুর স্বীর কন্যার দুঃখের দিন আসিতেছে ভাবিয়' তাহাকে নিজের কাছে লইয়া গেলেন, আর পাঠাইলেন না। রামাইয়া বহু চেষ্টাতেও স্ত্রীকে আনিতে ন৷ পারিয়া শেষে একদিন সবান্ধবে শ্বশুরের বাড়ি পন্থছিলণ*খগুর তাহার নির্দোধিতা শুনিয়াও কিছুতেই اهقة মুলিয়া সমাজ بهم سينفنية " " কন্যাকে পাঠাইতে স্বীকৃত হইলেন না । উপরন্তু পঞ্চায়েৎ ডাকিয় বিবাহবিচ্ছেদের প্রস্তাব করিলেন । রামাইয়ারও ইচ্ছা নাই, তাহার স্ত্রীরও সম্পূর্ণ আপত্তি ; তেপাকাটি বা ভেল। তৰু কিন্তু শেখ পৰ্য্যস্ত পুর টাকা দিয়া অনেক করিয়া রামাইয়ার মুখ দিয়া বাহির করা হইল যে সে বিবাহ ভাঙিয়। দিতে প্রস্তুত আছে । বিবাহ ভাঙিয়া গেল, রামাইয়া যথেষ্ট টাকা পাইল, কিন্তু সে সে-সকল কিছু নী লইয়া তাহার স্ত্রীকে দান করিয়া চলিয়া গেল । পুরী .*-* o যাইতেছে বলিয় গেল, কিন্তু শেষে তাহার এক বন্ধুর ' পরামর্শ পাশ্ববৰ্ত্তী গ্রামে গিয়া সে কয়েকদিন বাস করিল। সেইথানে থাকিতে থাকিতে অবশেযে একদিন তাহার স্ত্রীর সহিত গোপনে চরের সাহায্যে যড়যন্ত্র করিল। তাহার স্ত্রী পিতামাতার কাছে শাস্তশিষ্ট ভাবে কয়েকদিন থাকিয়া একদিন ভিন্ন গ্রাম হাটে যাইবার অনুমতি চাহিল। হাটে অবগু গেল, কিন্তু হাট হইতে সে স্বামীর সহিত পলায়ন করিল এবং তাহার পর হইতে তার পিত্রালয়ের দিকে যায় নাই । রামাইয়ার স্ত্রী পলান্সার প্রেমের কথা সবই জানিত, কিন্তু তাহাতেও তাহকে বিচলিত করিতে পারে নাই । এদিকে পলান্সার জিদ ক্রমশঃ বাড়িয়া বাইতে লাগিল । শেষে বাস্তবিকই একদিন , সে “রামাইয়ার বাড়ি আসিয়া বাস বধিবে যখন এমন ভয় দেখাইল, এবং গ্রামের লোকজনও তাহাকে ধরাধরি করিতে লাগিল, তখন বাধ্য হইয় তাহার পিতা বিবাহে স্বীকৃত হইলেন ।