পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫২৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8t*8 অক্সিজেনের সঙ্গে আছে ১৭ ও ১৮ওয়ালা অক্সিজেন, ৮০ ০০ হাজারটি ১৬ অক্সিজেনের সহিত মিশিয়া আছে ২টি ১৭ ও ১৮ অক্সিজেন এই অকুপাতে । অক্সিজেনের আণবিক ওজন ১৬ ধরিলে হাইড্রোজেনের দাড়ায় ১.০০৭৭ ৷ অক্সিজেন ঠিক ১৬ গুণ না হইয়া এই যে সামান্য একটু তফাৎ হয় তাহার যথাযথ কারণ নির্দিষ্ট হইয়াছে । সে কথা যাক, এখন অক্সিজেনের ১৭, ১৮ জুড়িদার বাহির হওয়ায় হাইড্রোজেনের কোন সঙ্গী আছে কিনা খোজ পড়িল । খোজ মিলিল । দেখা গেল সাধারণ হাইড্রোঞ্জেনের সঙ্গে আছে আর এক রকমের হাইড্রোজেন যাহার আণবিক ওজন হুইল ২.০ ৩৬ এবং ইহার আছে সাড়ে ছয় হাজারে এক, এই অনুপাতে। একটি হাইড্রোজেন মলিকিউল অপেক্ষ এই নূতন হাইড্রোজেন ওজনে অল্প কিছু কম । ইংলেণ্ডের বৈজ্ঞানিকের বলিলেন যে নবজাত শিশুর নামকরণ তাহার জনকই করিয়া থাকেন, সুতরাং ইহার আবিষ্কারক, আমেরিকার বৈজ্ঞানিকেরাই ইহার নাম দিন । র্তাহারা বলিলেন ইহা এখন সমস্ত বৈজ্ঞানিকের সম্পত্তি – তাহারা সকলে মিলিয়৷ ইহার নাম ঠিক করুন। বিভিন্ন নাম আসিতে লাগিল, দেখা যাইতেছে নাসে৷ মুনির্যস্য মতং ন ভিন্নম্।’ যত দিন চূড়ান্ত ভাবে কিছু নিম্পত্তি না হয় তত দিন ইহা ‘ভারি হাইড্রোজেন’ নামে আখ্যাত হইতেছে । সমস্ত জিনিষটার অন্য দিক দিয়া যাচাই হইল। বিভিন্ন মৌলিক পদার্থের বর্ণচ্ছত্র বিভিন্ন ; এই বর্ণচ্ছত্র দিয়া অনেক সময় অনেক অজ্ঞাত পদার্থকে চেনা গিয়াছে। আচ্ছ, ৩৫ ক্লোরিণ আর ৩৬ ক্লোরিণ ইহারা ত সত্য সভাই বিভিন্ন পদার্থ, মৃতরাং ইহাদের বর্ণচ্ছত্র ত বিভিন্ন হওয়া উচিত ; উচিত শু বটে, কিন্তু এই বিভিন্নত এত অল্প যে বর্ণচ্ছত্র মাপিৰার যন্ত্রে ধরা পড়িবার কথা নয়। কিন্তু এই কয়েক বৎসরে এই যন্ত্র এত উন্নতি লাভ করিয়াছে যে ইহাতে অতি অল্প তফাংও ধরা পড়িতেছে । এই যন্থসাহায্যে ঐ হাইড্রোজেনের জুড়িদারেরও সন্ধান হইল ; সাক্ষাৎ মিলিল এবং এই উপায়ে তাহার যে আণবিক ওজন নিরূপিত হইল তাহা পূর্বফলের সঙ্গে হুবহু মিলিয়া গেল। ** দেখা যখন মিলিল তখন বিভিন্ন রাসায়নিক প্রক্রিয়া "প্রবাসী স্ট ఏ98ఏ স্বারা ঐ ভারি হাইড্রোজেনকে তফাৎ করিম ফেলিবার চেষ্টা চলিতে লাগিল ; তরল হাইড্রোজেন লইয়া পরীক্ষা হইতে লাগিল এবং শেষ অবধি সফলতা আসিল । এই ভারি হাইড্রোজেনকে অক্সিজেনের সহিত মিশাইয়া পাওয়া গেল যে জল, সাধারণ জলের সঙ্গে তাহ মিলিল না, আর মিলিবার কথাও নয়। দেখা গেল এই ভারি জল জমে সেন্টিগ্রেডের oতে নয়—৩.৮এ, বাম্পে পরিণত হয় ১০১.৪২এ এবং ইহার গুরুত্ব সৰ্ব্বাপেক্ষ বেশী হয় ৪এ নয় ১১.৬এ । আমেরিকার বৈজ্ঞানিকদিগের চেষ্টায় এই “ভারি জল এখন এত প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যাইতেছে যে ইহা লইম্বা এখন সহজেই বিভিন্ন রাসায়নিক ও অল্পবিধ পরীক্ষা করিবার উপায় হইয়াছে ; প্রচুর মানে অবশু ঘড়া ঘড়া নয়, একসঙ্গে ২০॥২৫ সি, পি, সংগৃহীত হইতেছে। উদ্ভিদংদেহে ও প্রাণী-দেহে এই ভারি জলের ক্রিয়া কিরূপ তাহ লইয়া নানাবিধ গবেষণা চলিতেছে এবং সাধারণ হাইড্রোজেনযুক্ত যৌগিক পদাপে এই ভারি হাইড্রোজেন আসিলে তাহদের গঠন গুণাবলী কিরূপ দড়িাইবে তাহা লইম আলোচনা শুরু হইয়াছে। রসায়নশাস্ত্রে এই ভারি হাইড্রোজেন এক যুগান্তর উপস্থিত করিয়াছে । পদার্থবিজ্ঞানেও ইহা এক অমূল্য সম্পদৰূপে দেখা দিয়াছে। কিছু দিন হইতে এটমকে ভাঙিবার চেষ্টা চলিতেছে। প্রায় ১৫ বৎসর পূৰ্ব্বে রদারফোর্ড প্রথম নাইট্রোজেন এটমকে ভাঙিলেন ; ভাঙিলেন রেডিমম হইতে নির্গত আলফা-রশ্মির সাহায্যে। কিন্তু পৃথিবীতে রেডিয়ম আছেষ্ট বা কতটুকু এবং তাহা হইতে আলফা-রশ্মি বাহির হইতেছেই বা কি পরিমাণে ? স্বতরাং পদার্থকে ভাঙিতে হইলে যদি শুধু আলফ রশ্মির উপর নির্ভর করিতে হয় ত এই ভাঙার পরিমাণ কতটুকুই বা হইবে । আলফা-রশ্মি ব্যতীত অন্ত কোন প্রচণ্ড শক্তি দিয়া এই ভাঙনক্রিয়া সম্পাদন করিবার চেষ্টা চলিতে লাগিল । দুই বৎসর পূৰ্ব্বে ক্যাভেণ্ডিস ল্যাবরেটরিতে কক্ক্রফট ও ওয়ালটন প্রোটনকে খুব বেশী ভোল্টের তড়িৎ স্বারা শক্তিশালী করিয়া লিথিয়মকে ভাঙিলেন। এর পর প্রোটন ছাড়িয়া লাগান হইল নিউট্রন ; শেব অবধি দেখা গেল যে এই ভারি হাইড্রোজেন সৰ্ব্বাপেক্ষা বেশী কার্ধ্যকরী, আর এই ভারি হাইড্রোজেন স্বপ্রাপ্য না